ভয়ে আছেন শার্লিজ থেরন

চলচ্চিত্রের সর্বোচ্চ পুরস্কার অস্কার পেয়েছেন শার্লিজ থেরন। হলিউডপাড়া থেকে শুরু করে বিশ্বব্যাপী নামডাক তাঁর। ভক্তেরও অভাব নেই। তবু চাকরি খোয়ানোর ভয়ে আছেন এ অভিনেত্রী। তাঁর আশঙ্কা, এই বুঝি তাঁকে বের করে দিল চলচ্চিত্র থেকে। একটি চলচ্চিত্রের শুটিং শেষ হলেই হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন তিনি।

মার্কিন একটি সাময়িকীকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমনটি জানালেন এ অভিনেত্রী। শার্লিজ বলেন, ‘প্রতিটি সময়ই মনে হয় আমি নতুন চাকরি শুরু করেছি। আমার ভয় লাগে, এই বুঝি আমাকে বের করে দেওয়া হলো।’

এ ছাড়া শার্লিজ হলিউডের একপেশে চিন্তার দিকটাও তুলে ধরেন। কাউকে গুরুত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে লিঙ্গবৈষম্যের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘হলিউডে নারীদের ব্যর্থতা থেকে ফিরে আসতে অনেক কঠিন পরিশ্রম করতে হয়। কিন্তু পুরুষের বেলায় এত পরিশ্রম করতে হয় না। তাদের বেলায় বলা হয়, ছবিটা ঠিক হিট করেনি। আর নারীর বেলায় বলা হবে, তার জন্যই ছবি ব্যর্থ হয়েছে।’ এই দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের কথা বলেন শার্লিজ। তাঁর কথায় উঠে আসে, প্রযোজকেরা একজন পুরুষ তারকার পেছনে কোনো সংশয়–শঙ্কা ছাড়াই লগ্নি করেন। তিনি বিস্মিত হন, শুধু নারীকে একটি সুযোগ দেওয়ার অভাবেই কত সুন্দর সুন্দর গল্প বলা হয় না। তিনি আরও বলেন, ‘আপনি এমন একটি দুর্দান্ত গল্প বলতে পারবেন না, যেখানে নারীর অংশগ্রহণ নেই। এটা হয় না। অসম্ভব।’ বর্তমানে আলোচনার তুঙ্গে থাকা ‘হ্যাশট্যাগ মি টু’ আন্দোলন নিয়েও বলেন এ অভিনেত্রী। আর এই বৈষম্য ও যৌন হয়রানি ঠেকাতে শুধু নারী নয়, পুরুষেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এত কথা বলার মধ্যেও উদ্বেগের বিষয়টি বেশ প্রকট দেখা যায় ওই সাক্ষাৎকারে। তাঁর সন্তানদের আগামী জীবন নিয়েও উদ্বিগ্ন এ অভিনেত্রী। সূত্র: ডেইলি মেইল