এবার নওয়াজুদ্দিনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ

ব্যতিক্রমধর্মী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধে এবার যৌন হেনস্তা ্এর অভিযোগ তুললেন সাবেক মিস ইন্ডিয়া ও ‘মিস লাভলি’ অভিনেত্রী নীহারিকা সিং। বেশ কয়েকদিন স্তিমিত হয়ে এসেছিল হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন। নীহারিকার বক্তব্যে ফের উঠল মি টু ঝড়।

নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকি অভিযোগকারিণীর সাবেক প্রেমিক ও ‘মিস লাভলি’ চলচ্চিত্রের সহ-অভিনেতা।

সম্প্রতি নীহারিকা সিং একটি খোলা চিঠি লিখেছেন, যেখানে তিনি বিনোদন জগতে তাঁর অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন, বলেছেন #মিটু গল্প।

বলে রাখা জরুরি, বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থা পেঙ্গুইন থেকে এর আগে বের হয়েছিল নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির স্মৃতিকথানির্ভর বই ‘অ্যান অর্ডিনারি লাইফ’। বইয়ে নওয়াজুদ্দিন প্রকাশ করেছিলেন, নীহারিকা সিংয়ের সঙ্গে তাঁর প্রেমময় সম্পর্ক ছিল। তবে পরে নীহারিকা অভিযোগ করেন, তাঁর অনুমতি না নিয়ে বইয়ে প্রেমের কথা ফাঁস করা হয়েছে। কিন্তু এ বিতর্ক তুঙ্গে উঠলে নওয়াজুদ্দিন তাঁর বইটি প্রত্যাহার করে নেন।

সেই ঘটনার এক বছর পর এখন বিনোদন জগতে নিজের যাত্রার কথা লিখলেন নীহারিকা। এ দুনিয়ায় তিনি অনেক রকমের মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। সাংবাদিক সন্ধ্যা মেনন নীহারিকার লেখাটি মাইক্রো-ব্লগিং সাইট টুইটারে প্রকাশ করেছেন। নীহারিকা তাঁর লেখার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বলেছেন, এ লেখার মাধ্যমে জানা যাবে ‘কাদেরকে আমরা শাস্তি দিতে পারি আর কাদেরকে ক্ষমা করা যায়।’

নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকির বিরুদ্ধে ‘মিস লাভলি’ অভিযোগ করেন, তিনি একাধিক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক রাখতেন, প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদা গল্প বলতেন। তাঁদের মধ্যে একজন নীহারিকাকে মুঠোফোনে কলও দিয়েছিলেন।

নীহারিকা বলেন, নওয়াজুদ্দিন প্রকাশ্যে তাঁর বইটি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ার এক সপ্তাহ পরও বইটি তাঁর বাসায় এসেছে। ‘সে ক্ষমা চেয়ে সামাজিক মাধ্যমে বইটি প্রত্যাহার করার কথা বলে। সপ্তাহখানেক পর আমি অনলাইনে বইটি অর্ডার দিই এবং আমার ঘরে পৌঁছে যায় বইটি’, লেখেন নীহারিকা।

সাবেক এই ভারত সুন্দরীর অভিযোগ, ‘একদিন সকালে আমি ঘরেই ছিলাম। সে সারারাত শুটিং করেছিল। নওয়াজ একটি ম্যাসেজ পাঠিয়ে জানাল, সে আমার বাড়ির সামনেই। আমি তাঁকে আমন্ত্রণ জানালাম। বললাম ঘরে এসো, নাশতা করো আমার সঙ্গে। যখন আমি দরজা খুললাম, সে আমাকে জড়িয়ে ধরল। আমি তাঁকে সরানোর চেষ্টা করলাম, কিন্তু সে সরছিল না। সামান্য বলপ্রয়োগের পর অবশেষে তাঁকে ভেতরে ঢোকালাম। সম্পর্ক নিয়ে আমি তেমন নিশ্চিত ছিলাম না। সে আমাকে বলল, পরেশ রাওয়াল ও মনোজ বাজপেয়ীর মতো তাঁরও স্বপ্ন মিস ইন্ডিয়া অথবা অভিনেত্রী স্ত্রীকে পাওয়া। তাঁর এই স্বীকারোক্তি ফানি হলেও প্রীতিকরই ছিল।’

যাহোক, একবার এক ঘটনায় নওয়াজুদ্দিনের সঙ্গে সম্পর্ক চুকেচুকে ফেলার সিদ্ধান্ত নেন নীহারিকা। কিন্তু নওয়াজুদ্দিন চান ফের সম্পর্ক গড়তে।

‘সে আমার সঙ্গে ফের যৌনসম্পর্কে জড়ানোর চেষ্টা করে, তাঁর সঙ্গে থাকার জন্য অনুরোধ করে; কিন্তু আমি তাঁকে প্রত্যাখ্যান করি। এটাও বলি যে, তাঁর সঙ্গে বন্ধু হয়ে থাকতে চাই, আর কিছু না’, বলেন নীহারিকা। নীহারিকা আরো জানান, যখন বারবার নওয়াজুদ্দিনকে প্রত্যাখ্যান করেন, তারপর থেকে তিনি মানুষকে বলতে থাকেন যে, নীহারিকা বাজে অভিনেত্রী।

টি-সিরিজের কর্ণধার ভূষণ কুমার ও পরিচালক সাজিদ খানের বিরুদ্ধেও যৌন হেনস্তার অভিযোগ তোলেন নীহারিকা।

সাবেক মিস ইন্ডিয়া তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেছিলেন, এক দশক আগে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিং চলাকালে তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকার। এর পরই শুরু হয় মি টু ঝড়। বেরিয়ে আসে নামকরা চলচ্চিত্রনির্মাতা, অভিনেতার নাম। সুভাষ ঘাই, সাজিদ খান, বিকাশ বেহল, রজত কাপুরসহ অনেকের বিরুদ্ধেই যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

বাংলাদেশের তিন অধিনায়ক যখন রাজনীতিতে