মি টু আন্দোলনকে অনেকে সমর্থন দিলেও তাতে সায় নেই পামেলা অ্যান্ডারসনের। নব্বইয়ের দশকে টিভি শো ‘বেওয়াচ’ দিয়ে জনপ্রিয়তার চূড়ায় উঠেছিলেন পামেলা। জনপ্রিয় ‘প্লে বয়’ ম্যাগাজিনের প্রচ্ছদে একাধিকবার সাহসী ভঙ্গিমায় ধরা দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি এক টক শোতে এ আন্দোলনকে তুলোধুনো করলেন তিনি।
পামেলা মনে করেন, যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হবে, তবে আজকাল একটু বাড়াবাড়িই হচ্ছে, যা পুরুষদের পঙ্গু করে দেওয়ার পক্ষে যথেষ্ট।
‘আমি নিজেও নারীবাদী। কিন্তু এখনকার তৃতীয় তরঙ্গের নারীবাদ বিরক্তিকর। আমি মনে করি, এটা পুরুষকে পঙ্গু করে দেবে’, বলেন পামেলা। তিনি আরো বলেন, ‘এই হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলনকে বাড়াবাড়ি মনে হচ্ছে। আমি দুঃখিত, সম্ভবত এটা বলার জন্য আমাকে খুন করে ফেলা হবে।’
হার্ভি ওয়েনস্টিনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তা তো বটেই, ধর্ষণের অভিযোগও রয়েছে। এ ব্যাপারে জিজ্ঞেস করা হলে পামেলা অ্যান্ডারসন বলেন, যে নারী হোটেল কক্ষে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন, তাঁর ‘কমন সেন্স’ বা কাণ্ডজ্ঞান থাকা উচিত।
পামেলা হেসে বলেন, ‘মা আমাকে শিখিয়েছিল, অচেনা লোকের সঙ্গে হোটেল কক্ষে ঢোকা উচিত নয়। বাথরোব পরে কেউ দরজা খুললে তো কথাই নেই, সেটা কখনো পেশাগত মিটিং হতে পারে না। তাই কখনো অচেনা লোকের সঙ্গে হোটেলে দেখা করতে গেলে সঙ্গে কাউকে নিতে হয়। এইটুকু সাধারণ কাণ্ডজ্ঞান তো সবারই থাকা উচিত। তা সত্ত্বেও কেউ যদি অচেনা কারো হোটেল কক্ষে ঢোকে, তাহলে আগেপরে ভেবেই নিশ্চয়ই গেছে। তাহলে আর প্রতিবাদ কেন? কাজ হাসিল করে বেরিয়ে এসো।’
চলতি বছরের অক্টোবরে বলিউডে হ্যাশট্যাগ মি টু আন্দোলন শুরু হয়।
সাবেক মিস ইন্ডিয়া তনুশ্রী দত্ত অভিযোগ করেছিলেন, এক দশক আগে ‘হর্ন ওকে প্লিজ’ ছবির শুটিং চলাকালে তাঁকে যৌন হেনস্তা করেছিলেন বর্ষীয়ান অভিনেতা নানা পাটেকার। এর পরই শুরু হয় মি টু ঝড়। বেরিয়ে আসে নামকরা চলচ্চিত্রনির্মাতা, অভিনেতার নাম। সুভাষ ঘাই, সাজিদ খান, বিকাশ বেহল, রজত কাপুরসহ অনেকের বিরুদ্ধেই যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠে। সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে