ওই দুই সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নিয়ে ওই ভিডিও মুছে দেওয়া হয়।
বিষয়টি নিয়ে সহকারী পরিচালক সমিতির সভাপতি এসআই ফারুক বলেন, “‘শাহেন শাহ’ ছবিতে শামীম আহমেদ রনির প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন আলোক হাসান। তিনি আমাদের সমিতির সদস্য নন। বিষয়টি আমরা এর আগে শাকিব খান ও শামীম আহম্মেদ রনিকে জানিয়েছি। আমাদের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সদস্যপদ ছাড়া কেউ কাজ করতে পারবে না। তাই বিষয়টি জানানোর জন্য আমরা শুটিং সেটে গিয়েছিলাম। সেখানে এমন উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হবে, বিষয়টি আগে বুঝতে পারিনি।”
সাংবাদিক জিয়াউদ্দিন আলম বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহ করা আমার কাজ। এফডিসির মতো জায়গায় যদি কোনো বিশৃঙ্খলা হয় আর সেখানে যদি শাকিব খানের মতো তারকা শিল্পী থাকেন, তবে সেটা আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নিউজ। যে কারণে আমি বিষয়টি ভিডিও করেছি। কিন্তু আমার হাত থেকে মোবাইল কেড়ে নেন শাকিব খান এবং সব ভিডিও ডিলিট করে দেন।
বিষয়টি নিয়ে অভিনেতা শাকিব খান বলেন, ‘সহকারী পরিচালকদের সঙ্গে আমার কী হয়েছে, এটা একেবারেই আমাদের ভেতরের বিষয়। এমন বিষয় কেন ভিডিও করা হবে? আমাদের মাঝে ঝামেলা হবে, আবার তা শেষ হয়ে যাবে। আমি চাই না, এমন ঘটনা বাইরের মানুষকে দেখানো হোক। তাই আমি ভিডিওটি ডিলিট করিয়েছি।’
এ বিষয়ে শাকিব আরো বলেন, ‘শুটিং স্পটে সাংবাদিক আসার কোনো নিয়ম নেই। আমি সবাইকে ছোট ভাইয়ের চোখে দেখি, তাই তাদের বসতে দিই, চা খাওয়াই। না বলে যদি কেউ ভিডিও করে, তবে তা মেনে নেওয়ার কোনো কারণ থাকে না।’