উরু পর্যন্ত ঢাকা প্লাস্টিকের তৈরি এই জুতোর প্রধান মডেলটি একেবারে চামড়ার রঙের। তাই শরীরের অংশ হিসাবে ভ্রম হবে প্রথম দর্শনেই। আর একটি মডেলের রং কালো। হ্যালোউইনের কথা মাথায় রেখেই এই দুই রংকে বেছেছেন প্রস্তুতকারীরা। তবে চাহিদার কথা ভেবে অন্যান্য রঙের কয়েকটি মডেলও রাখা হয়েছে।
এক ঝলক দেখলে এ জুতো আলাদা করে পরে আছেন বলে মনেই হবে না। বরং আঙুল-সমেত পায়েরই বর্ধিত অংশ বলে মনে হবে। এই জুতোর নকশা এমনই, যাতে কৃত্রিম আঙুলও আছে। পরলে তা পায়ের আঙুলের থেকে আলাদা বোঝার জো নেই!
এই জুতোর হিল এতই উঁচু ও সরু যে পরলে উচ্চতা এক লাফে বেড়ে যাবে অনেকটাই। জুতোর নীচে রয়েছে মোটা একটি প্লাস্টিকের প্ল্যাটফর্ম, যা পায়ের সঙ্গে জুতোর ভারসাম্য রক্ষা করবে ও হাঁটাচলা করতে সাহায্য করবে।
এই জুতোর মাঝে রয়েছে লম্বা লম্বা কাঁটা, যা জুতোর রূপে যোগ করেছে ভৌতিক ছোঁয়া। হলোউইনের সময় চার পাশের ভৌতিক পরিবেশ উদ্যাপনের যে উৎসব, তার সঙ্গে ফ্যাশনকে খাপ খাওয়াতেই এমন নকশার কথা ভেবেছে সংস্থা। এই জুতো পরে ফ্যাশন শুরুও করে দিয়েছেন অনেকেই।
কানাডার দুই বিখ্যাত ডিজাইনার হানা রোজ ডালটন ও স্টিভেন রাজ ভাস্করন এই জুতো তৈরি করেছেন। এই জুতোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এলিয়েন বা অদ্ভুতদর্শন ভৌতিক মুখের মেক আপও করেছেন তাঁরা। সেই ছবি নিজেদের ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন।
এর আগেও ফোটোশপের সাহায্য নিয়ে এমন জুতো পরার ছবি শেয়ার করেছিলেন তাঁরা। সে ছবি ভাইরাল হতে সময় নেয়নি। এ বার এমন জুতোর বাস্তব উপস্থিতি দেখে তাজ্জব তাঁদের অনুরাগীরা।
এমন জুতো কিনে তাক লাগাতে চান? দাম ধার্য হয়েছে ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ লক্ষ ৩৪ হাজার টাকা।