আবার, ঘুম থেকে উঠার পরই চা বা কফির মগে মুখ না দিলে দিন খারাপ যায় তাই না! এটা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। ঘুম থেকে উঠার পর হাত মুখ ধুঁয়ে এক গ্লাস পানি খেতে হবে।
ভাত খাওয়ার সময় পাশে পানি না থাকলে অনেকের খাওয়া যেনো সম্পূর্ণ হয় না। এটা কিন্তু একদম ঠিক না। অন্তত খাওয়ার এক ঘণ্টা পর পানি খেতে হবে। তবে হজম অনেক ভালো হবে।
অনেকেরই খুব পছন্দের খাবার হলো চিংড়ি মাছ। তবে অ্যালার্জির ভয়ে অনেকেই এই মাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন। তবে চিংড়ি মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-১২। যা হার্টের জন্য খুবই উপকারি। এছাড়াও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধিতে চিংড়ি খুব ভালো কাজ করে। তাই যাদের অ্যালার্জির সমস্যা নাই, তাদের অবশ্যই চিংড়ি মাছ খাওয়া উচিত।
খাওয়ার পরে অনেকেই টকদই খেতে পছন্দ করেন। আর খাওয়ার পর টকদই খাওয়া শরীরের জন্যও খুবই ভালো। কারণ টকদই শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। সেইসঙ্গে শরীরে টক্সিন জমতে বাঁধা দেয়। এজন্য শরীর সুস্থ থাকে ও অন্ত্রনালী পরিষ্কার থাকে। এছাড়াও টক দই খেলে ত্বক সুন্দর ও সতেজ হয় আর ত্বক থেকে বয়সের ছাপ দূর হয়। তাই দুপুরের খাওয়ার পর টকদই খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে।
নিমপাতার উপকারিতা সকলেরই জানা। এ নিমপাতা চর্মরোগ দূর করে থাকে। নিম পাতা সেদ্ধ করা পানি দিয়ে প্রতিদিন গোসলের মাধ্যমে বিভিন্ন চর্মরোগ প্রতিরোধ সম্ভব। এছাড়াও নিম পাতা বা নিম ফুল বেটে গায়ে মাখালে ত্বক অনেক সুন্দর হবে। সেই সঙ্গে নিম পাতা ত্বক থেকে ব্রণ ও ফুসকুড়ি দুটো দূর করতে সাহায্য করবে।
ডিহাইড্রেশনের ফলে প্রচন্ড মানসিক চিন্তা বেড়ে যায়। আর চিন্তা বেড়ে গেলে দূর্বল বোধ করাটায় স্বাভাবিক। তাই এ সময় একটু পর পর অল্প করে পানি খেতে হবে তাহলে স্ট্রেচ বা চিন্তা অনেকটাই কমে যাবে। আর অন্য কোনো সমস্যায় আক্রান্ত হয়ার সম্ভাবনাও থাকবে না।
ওজন বেড়ে যাওয়ার সমস্যা প্রতিরোধের জন্য অনেকেই শসা খেয়ে থাকেন। শসা মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে শরীরে মেদ জমে না। এছাড়া শসা কিন্তু ডায়বেটিসও নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীরা চিকিসৎসকের পরামর্শ নিয়ে শসা খেতে পারেন।
চুল পড়ে যাওয়া নিয়ে অনেকের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। এছাড়াও মাথায় খুশকি হলে চুল পড়ে যায়। কারণ খুশকি হলে চুলের গোড়া নরম হয়ে যায়। লেবুর রসের সঙ্গে টক দই মিশিয়ে পেস্ট করে মাথায় লাগিয়ে ২০ মিনিটের মতো অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুঁয়ে নিতে হবে। এ টিপসটি অনুসরণ করলে খুশকি চলে যাবে আর চুল পড়াও অনেকটা কমে যাবে।
প্রতিদিন একটি করে কাঁচা মরিচ খাওয়া উচিত। কারণ পুরুষদের মূত্রনালীর ক্যান্সারের সমস্যা অনেকটা দূর করে কাঁচা মরিচ। সেই সঙ্গে মুত্রাশয়ের অন্যান্য সমস্যাও কাঁচা মরিচ দূর করে থাকে। তাই প্রতিদিন খাবারের সঙ্গে একটি করে কাঁচা মরিচ খেতে হবে।