ছোট বারান্দায় বাগান

আধুনিক বাড়িতে বড় জায়গা মেলা ভার। কিন্তু বাগান করার শখ থাকলে বা মানসিক চাপ কমাতে ছোট বারান্দায় করতে পারেন বাগান। সে বিষয়ে থাকল বেশ কিছু টিপস।

বারান্দায় বাগান করার ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখতে হবে, পর্যাপ্ত আলো আছে কিনা। আলো না থাকলে তা বিবেচনা করে গাছ বাছাই করতে হবে। অল্প আলোতেও টিকে যায় পাতাবাহার, মানিপ্ল্যান্ট কিংবা বিভিন্ন প্রকার ফার্ণ, ইনডোর প্ল্যান্ট ও লতানো গাছ।

বারান্দার দেয়াল, সিলিং ও গ্রিলেও ঝুলিয়ে রাখা যায় এমন টব রাখতে হবে।

মাটির পাত্রের পানিতে মশার বিস্তার রোধে রাখতে পারেন গাপ্পি মাছ। এ মাছ মশার লার্ভা খেয়ে ফেলে। তবে নিয়মিত পাত্রের পানি ও আগাছা পরিবর্তন করতে হবে।

বারান্দায় রয়েছে নিম, তুলসী, পুদিনা, কালোমেঘ, অরিগ্যানো, কারিপাতার মতো ওষধি গাছও লাগাতে পারেন।

বারান্দায় রাখতে পারেন গোলাপ, রজনীগন্ধা, রঙ্গন, দোলনচাঁপা, বেলিগাছ। লক্ষ রাখুন, সব ঋতুর ফুলের গাছ রাখতে। এতে বছরজুড়ে বাগানে ফুল থাকবে, থাকবে সুবাস।

আবার ধরুন, ধোঁয়া ওঠা গরম ভাতের সঙ্গে যদি নিজের বাগানের কাঁচা মরিচেই কামড় বসিয়ে দেওয়া যায়? কিংবা নিত্য দিনের রান্নায় টমেটো, মুলা, গাজরের জন্য বাজারে ছুটতে না হয়! বাড়ির বারান্দাতে করতে পারেন এসব সবজির চাষও। এমনকি নানা প্রকার শাকও চাষ করা যায়।

গাছের জন্য প্রয়োজনীয় কম্পোস্ট–মিশ্রিত মাটি এবং সার ও পাবেন নার্সারিতেই। তৈরি করতে পারেন জৈব সার। শাকসবজি বা ফলের অবশিষ্টাংশ কিংবা চা বা কফির ফেলে দেওয়া গুঁড়ো দিয়েই তৈরি করা যায় জৈব সার।

বারান্দায় বাগান তো করা হলো। এবার সেখানে একটি ছোট্ট বসার জায়গা করে নিন।