ডিমের খোসা ফেলনা নয়। ডিমের খোসার আছে আরও কাজ। ডিম খাবার পর খোসাটা ময়লার সঙ্গে ফেলে দেয়ার মতো ভুল করবেন না। ডিমের খোসা ডিমের চেয়েও বেশি উপকারী। কোথায় কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিনতাজা ডিমের খোসা ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন।
খোসাগুলো ফুটন্ত পানিতে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। এরপর পানি ঝরিয়ে, কড়া রোদে শুকিয়ে নিন। চাইলে চুলার নিচে বা ওভেনে ১০ মিনিট বেক করে নিতে পারেন। এবার ডিমের খোসাগুলো কফি গ্রাইন্ডার বা ব্লেন্ডারে মিহি গুঁড়া করে এয়ারটাইট বয়ামে ভরে রাখুন।
- যে কোনো খাবার তৈরির সময় ১ চামচ খোসাগুড়া মিশিয়ে দিলে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি হবে না শরীরে। স্যুপ, নুডলস, পাস্তা, পিজ্জা, কেক, বিস্কুটেও মিশিয়ে দিতে পারেন।
- ঘরের পোষা পশু ও পাখির খাদ্যকেও ক্যালসিয়ামের পরিপূর্ণতা দিতে পারে ডিমের খোসার গুঁড়া। বিড়াল, কুকুর, খরগোশ বা পোষা পাখির জন্য ডিমের খোসার চূর্ণ দিয়ে মিনারেল ব্লক বানিয়ে দেওয়া যায়। গবাদি পশুর খাবারেও ক্যালসিয়ামের ঘাটতি মেটাতে পারে ডিমের খোসার গুঁড়া।
- ডিমের খোসা গুঁড়া দিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ত্বকচর্চায় ব্যবহার করুন। খোসা গুঁড়োর সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে নিন এবং মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে হালকা হাতে ঘষে তুলে নিন। এতে মৃতকোষ দূর হবে এবং ত্বক নরম থাকবে।
- বাগানের গাছের ক্যালসিয়ামের চাহিদা মেটাবে ডিমের খোসা। কুঁড়ি, ফুল, ফল ঝরে পড়া ঠেকাতে ও অপুষ্টির জন্য গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়া দিন।
- রান্না করার সময় হাঁড়িতে পোড়া দাগ হলে সেটা ঝকঝকে করে তুলতে ডিমের খোসা ব্যবহার করুন। পোড়া পাত্রে ডিমের খোসার গুঁড়া, লবণ আর পানি ফুটিয়ে নিন। কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নামিয়ে ধুয়ে ফেলুন। পোড়া দাগ উঠে যাবে।
- ডিমের অমলেট বা পোচ করার পর গোটা ডিমের খোসাটা রেখে দিন ঘরের এক কোনে। এতে টিকটিকির উপদ্রব কমবে সহজেই।
- ব্লেন্ডারের ব্লেড ভোঁতা হয়ে গেলে কয়েকটা ডিমের খোসা আর পরিমাণমত পানি দিয়ে ব্লেন্ড করুন। ব্লেন্ডের ধার বাড়বে আর ব্লেন্ডার জগের ভেতরটাও পরিষ্কার হয়ে যাবে।