ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ, প্রকারভেদ, ডায়াগনোসিস, চিকিৎসা

ফুসফুস ক্যান্সার পৃথিবীতে ক্যান্সারে মৃত্যুর প্রধান কারণ। এটি সাধারণত ফুসফুসে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। কিন্তু এই ক্যান্সার সবচেয়ে বেশি ক্যান্সারে মৃত্যুর কারণ হলেও অন্যান্য ক্যান্সারের চেয়ে এটি সবচেয়ে বেশি প্রতিরোধযোগ্য। ধূমপান ত্যাগ করে এবং ধূমপানরত মানুষ থেকে দূরে থাকলেি এই ক্যান্সার অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়।

 

লাং ক্যান্সার বা ফুসফুস ক্যান্সার এর প্রকারভেদ

ফুসফুস ক্যান্সারের ২০ এরও অধিক প্রকারভেদ আছে। তবে এগুলোকে প্রধানত দুইভাগে ভাগ করা হয়ঃ

 

Non-Small Cell Lung Cancer

Adenocarcinoma: এটি ফুসফুস ক্যান্সারের সবচেয়ে পরিচিত প্রকার। সারা পৃথিবীর ফুসফুস ক্যান্সার আক্রান্তদের ৪০% এই ক্যান্সারে আক্রান্ত। প্রধানত ধূমপায়ীদের এই ক্যান্সার বেশি হয়। ছেলেদের চেয়ে মেয়েদের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার হার বেশি। অন্যান্য ফুসফুস ক্যান্সারের চেয়ে এই ক্যান্সারে আক্রান্ত মানুষ তুলনামূলকভাবে কম বয়সী হয়। এই ক্যান্সার ফুসফুস থেকে লিম্ফ নোড, হাড় এবং অন্যান্য অঙ্গ যেমন লিভারেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 

Squamous cell carcinoma: এই টাইপের ক্যান্সার ফুসফুসের বড় অংশ যা central bronchi নামে পরিচিত এতে শুরু হয়। মোট ক্যান্সার রোগীর প্রায় ৩০% এই ক্যান্সারে আক্রান্ত। এই ক্যান্সার ধূমপায়ী পুরুষের মধ্যে বেশি দেখা যায়। এই ক্যান্সার ফুসফুস থেকে অন্যান্য অঙ্গ যেমন লিম্ফ নোড, হাড় এবং লিভারেও ছড়িয়ে পড়ে।

 

Large-cell carcinomas: বড় কোষ যুক্ত এই টাইপের ক্যান্সার গুলো ফুসফুসের বাহিরের প্রান্তে শুরু হয়। এই টাইপের ক্যান্সার মোট ফুসফুস ক্যান্সারের রোগীর ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এর মধ্যে দেখা যায়। এই টিউমার খুব দ্রুত বড় হয় এবং লিম্ফ নোড সহ শরীরের দূরবর্তী অংশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 

Small Cell Lung Cancer

ফুসফুসের ক্যান্সার সমূহের মধ্যে এটি সবচেয়ে আগ্রাসী। এটি সাধারণত ফুসফুসের বড় central bronchi থেকে শুরু হয়। এই ক্যান্সারে আক্রান্তদের অধিকাংশই ধূমপায়ী হয়। এটি খুবই দ্রুত ছড়ায়। এমনকি কোনো লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার আগেই এটি অনেক অনেক ছড়িয়ে পড়ে। অনেক সময় এটি লিভার, হাড় এবং ব্রেইন পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে।

 

ফুসফুস ক্যান্সার এর কারন

ধূমপান হচ্ছে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ। বিশ্বব্যাপী ফুসফুস ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ৮৫% ঘটে ধূমপানের কারণে।

ধূমপান ত্যাগ ক্যান্সার আক্রান্তের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়। যদিও অধূমপায়ীদের চেয়ে প্রাক্তন ধূমপায়ীদের এই ক্যান্সার আক্রান্তের ঝুঁকি সামান্য বেশি থাকে।

 

জেনেটিক ত্রুটির কারণেও অনেকের এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

 

ধূমপায়ীর সাথে বসবাস করাও এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার একটি কারণ। ধূমপানমুক্ত বাড়িতে বসবাসকারীর চেয়ে ধূমপায়ীর সাথে বসবাসকারীর এই ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি।

 

কিছু কিছু বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থও ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ। যারা অ্যাসবেসটস নিয়ে কাজ করে বা ইউরোনিয়াম কনার সংস্পর্শে আসে বা রেডিওঅ্যাক্টিভ রেডন গ্যাসে শ্বাস নেয় তাদের ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্তের ঝুঁকি অনেক বেশি।

 

কোন অসুখ বা সংক্রমণ দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত ফুসফুস এর টিস্যুও ক্যান্সারে আক্রান্ত হতে পারে। একে scar carcinoma বলে।

 

কোন কোন গবেষকের মতে খাদ্যাভাসও অনেক সময় ফুসফুস ক্যান্সারের কারণ হতে পারে। তবে এটি এখনো প্রমাণিত হয়নি।

 

ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ

ফুসফুস ক্যান্সারের প্রাথমিক স্তরে সাধারণত কোনো লক্ষণ প্রকাশ পায় না। প্রকাশ পাওয়া এর লক্ষণগুলো হচ্ছেঃ

 

  • দীর্ঘস্থায়ী, দম-আটকানো এবং খসখসে কাশি এবং মাঝে মাঝে কফের সাথে রক্ত পড়া
  • দীর্ঘসময় কাশি থাকার পরে তার পরিবর্তন
  • যক্ষা, নিউমোনিয়া বা অন্যান্য ফুসফুসের সংক্রমণ বারবার হওয়া
  • শ্বাসকষ্ট তীব্র হওয়া
  • শ্বাসপ্রশ্বাসে বাঁশির মতো শব্দ হওয়া
  • দীর্ঘসময় বুকে ব্যাথা থাকা
  • গলার স্বর কর্কশ হয়ে যাওয়া
  • ঘাড় এবং মুখ ফুলে যাওয়া
  • কাঁধ, বাহু এবং হাতে ব্যাথা এবং দুর্বলতা
  • অবসাদ, দুর্বলতা, ওজন হ্রাস, ক্ষুধামন্দা, ঘন ঘন জ্বর, তীব্র মাথাব্যাথা এবং শরীর ব্যাথা
  • খাবার বা পানি গিলতে কষ্ট হওয়া

 

এই লক্ষণগুলো সাধারনত শ্বাসপ্রশ্বাসের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হওয়ার কারনে কিংবা ক্যান্সার ফুসফুস থেকে শরীরের অন্যান্য অংশ ছড়িয়ে পড়ার কারনে প্রকাশ পায়।

 

ফুসফুস ক্যান্সারের স্ক্রীনিং

আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি এবং ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউট এর মতে যাদের ক্যান্সারের উচ্চ ঝুঁকি আছে তাদের অল্পমাত্রার helical CT স্ক্রিনিং করা উচিৎ। উচ্চ ঝুঁকির তালিকায় আছে ধূমপায়ী এবং প্রাক্তন ধূমপায়ী যাদের বয়স ৫৫ থেকে ৭৪ বছর এবং ৩০ প্যাক-বছর অথবা তার বেশি ধূমপান করে অথবা পূর্বে করত এবং ১৫ বছরের কম সময় আগে ধূমপান ত্যাগ করেছে।

 

এখানে প্যাক-বছর হচ্ছে প্রতিদিন যে কয়েক প্যাকেট সিগারেট পান করা হয় এবং মোট যে কয় বছর ধূমপান করা হয়েছে তার গুণফল। যেমন কেউ যদি প্রতিদিন ২ প্যাকেট সিগারেট ৩ বছর ধরে পান করে তাহলে সে ৬ প্যাক-বছর মাত্রায় ধূমপান করে।

এই সাবধানতা মুলক CT স্ক্রিনিং এর ফলে ফুসফুসে ক্যান্সারের মৃত্যুর হার কমে। যদিও এতে প্রচুর “ফলস অ্যালার্ম” তথা ক্যান্সার না থাকলেও ক্যান্সার হবার ফলাফল আসে যা আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ভুল প্রমাণিত হয়।

 

যেভাবে স্ক্রিনিং করা হয়

ফুসফুস ক্যান্সারের স্ক্রিনিংয়ে low-dose computer tomography নামে একটি প্রক্রিয়া ব্যবহার করা হয় যেখানে এক্স-রের মাধ্যমে ফুসফুসের বিস্তারিত ছবি তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়াটা অনেক সহজ এবং এর জন্য কোন বিশেষ প্রস্তুতি প্রয়োজন হয় না।

 

এখানে আপনাকে প্রায় ৬ সেকেন্ড নিশ্বাস বন্ধ করে রাখতে হবে যখন একজন টেকনিশিয়ান আপনার ফুসফুস স্ক্যান করবে। পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে ১০ মিনিটের মত সময় লাগে।

 

একটি জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন। মাঝে মাঝে এই স্ক্রিনিং ক্যান্সারের রিপোর্ট দিলেও বাস্তবে ক্যান্সার থাকে না। একে ফলস পজিটিভ রেজাল্ট বলে।

ফুসফুস ক্যান্সার অন্যান্য ক্যান্সারের চেয়ে অনেক বেশী প্রাণঘাতী

 

ফুসফুস ক্যান্সারের ডায়াগনোসিস

আপনার ডাক্তার ফুসফুস ক্যান্সারের আশংকা করতে পারে যদি আপনার রুটিন স্বাস্থ্যপরীক্ষায় নিচের লক্ষণগুলো প্রকাশ পায়ঃ

 

  • যদি আপনার কন্ঠার উপরে লিম্ফ নোড ফোলা থাকে
  • দুর্বল শ্বাসপ্রশ্বাস
  • ফুসফুসে অস্বাভাবিক শব্দ
  • বুকে চাপড় দিলে ফাঁপা শব্দ
  • দুই চোখের তারা অসমান হওয়া
  • চোখের পাতা ঝুলে থাকা
  • এক হাতে দুর্বলতা
  • বাহু, বুক এবং ঘাড়ের রক্তনালী সম্প্রসারণ হওয়া
  • মুখ ফুলে যাওয়া

 

কিছু ফুসফুস ক্যান্সার রক্তে অস্বাভাবিক পরিমাণে নির্দিষ্ট কিছু হরমোন বা অন্যান্য পদার্থ যেমন ক্যালসিয়াম উৎপাদন করে। যদি কারো মধ্যে এগুলো দেখা যায় এবং এজন্য অন্য কোনো কারণ খুঁজে না পাওয়া যায় তাহলে তার ক্যান্সার নির্ণয়ের পরীক্ষা করা উচিত।

 

ফুসফুস ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশ যেমন হাড়, লিভার, ব্রেইন ইত্যাদিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই শরীরের অন্য অংশের ক্যান্সার ধরা পড়লে তার উৎসও ফুসফুস ক্যান্সার হতে পারে।

 

ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার পরে বুকের এক্স-রে তে এটি দেখা যায় তবে। x-ray এর চেয়ে CT Scan বেশি কার্যকর।

 

কফ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিপূর্ণ ক্যান্সার কোষের অস্তিত্ব বোঝা গেলেও ফুসফুস ক্যান্সার নির্ণয়ের জন্য কার্যকর পদ্ধতি হচ্ছে ফুসফুসের বায়োপসি। এই পদ্ধতিতে রোগীকে হালকা চেতনানাশক দিয়ে তার নাকের ভিতর দিয়ে আলোকোজ্জ্বল একটি চিকন টিউব ঢোকানো হয়। এই টিউব বাতাসের নালীর ভিতর দিয়ে টিউমার এর কাছে নেওয়া হয় এবং টিউমার থেকে কিছু টিস্যুর স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়।

 

যদি এই টিস্যু পরীক্ষা করে ক্যান্সারের অস্তিত্ব পাওয়া যায় তাহলে অন্যান্য পরীক্ষা দিয়ে ক্যান্সারের ধরণ এবং মাত্রা নির্ণয় করা হয়।

 

যদি ফুসফুসের লাইনিং এ তরল পদার্থ থাকে তাহলে সিরিঞ্জ দিয়ে সেই তরল বের করে ডায়াগনোসিস করা হয়। যদি সেই তরলে ক্যান্সারের কোষের উপস্থিতি না পাওয়া যায় (৬০% ক্ষেত্রেই পাওয়া যায় না) তাহলে video-assisted thoracoscopic surgery (VATS) নামে একটি প্রক্রিয়ায় ফুসফুসের লাইনিং পরীক্ষা এবং বায়োপসি করা হয়।

 

ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা

ফুসফুস ক্যান্সারের চিকিৎসা নিচের বিষয়গুলোর উপরে নির্ভর করেঃ

 

  • কি ধরনের ক্যান্সার
  • ক্যান্সারের স্টেজ
  • ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়েছে কিনা
  • চিকিৎসার সম্ভাব্য সাইড ইফেক্ট
  • রোগীর বয়স এবং স্বাস্থ্যের অবস্থা

 

সার্জারি

ক্যান্সার খুব বেশি ছড়িয়ে না পরলে সার্জারি চিকিৎসার একটি অংশ হতে পারে। এটি সাধারণত non small cell ফুসফুস ক্যান্সার চিকিৎসার সর্বোত্তম উপায়। সার্জারিতে সাধারণত ফুসফুসের যে অংশে টিউমার আছে সেই অংশসহ আশেপাশের কিছু টিস্যু অপসারন করা হয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ ফুসফুস অপসারণ করা হয়। সার্জারির পরে সাধারণত রেডিয়েশন বা কেমোথেরাপি দেওয়া হয়।

 

বর্তমানে প্রায়ই আরও সহজ পদ্ধতিতে টিউমার অপসারণ করা হয়। এক্ষেত্রে বুকে ছোট ছিদ্র করে একটি চিকন টিউব ঢুকিয়ে টিউমার ও তার আশপাশের টিস্যু অপসারণ করা হয়।

 

small cell ফুসফুস ক্যান্সারের ক্ষেত্রে সার্জারি কার্যকর নাও হতে পারে।

 

রেডিও ফ্রিকুয়েন্সি অপসারণ

small cell ফুসফুস ক্যান্সারের ক্ষেত্রে যখন সার্জারি কার্যকর না হয় তখন এই চিকিৎসা ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে চিকন একটি সুই চামড়ার মধ্য দিয়ে প্রবেশ করিয়ে টিউমারে স্পর্শ করানো হয়। তারপর বিদ্যুৎপ্রবাহ চালিয়ে তাপ সৃষ্টি করে ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করা হয়।

 

রেডিয়েশন

এ ক্ষেত্রে অতি শক্তিশালী এক্স-রে এর মাধ্যমে টিউমারকে ধ্বংস করা হয়। এই পদ্ধতি small cell এবং non small cell উভয় প্রকারের জন্যই কার্যকর।

 

এটি কখনও সার্জারির আগে টিউমারকে সংকুচিত করার কাজে ব্যবহার হয় যেন সার্জারির সময় টিউমার সহজে অপসারণ করা যায় অথবা সার্জারির পরে কোন অবশিষ্ট ক্যান্সার কোষ থাকলে তা ধ্বংস করার জন্য ব্যবহৃত হয়।

 

কোন কোন ক্ষেত্রে এটি কেমোথেরাপির সাথে যুগ্মভাবে ব্যবহার করা হয়। এটি ফুসফুস ক্যান্সারের কিছু উপসর্গ যেমন ব্যথা অথবা রক্তপাত বন্ধে সাহায্য করে।

 

কেমোথেরাপি

এই ক্ষেত্রে ঔষধ ব্যবহার করে ক্যান্সারের কোষগুলোকে ধ্বংস করা হয়। এটি small cell এবং non small cell উভয় প্রকারের ক্যান্সারে কার্যকর। কেমোথেরাপি সার্জারির আগে বা পরে দেওয়া হতে পারে। অনেক সময় একে রেডিওথেরাপির সাথে যুগ্মভাবে দেওয়া হয়। সার্জারি প্রযোজ্য না হলে এটি প্রধান চিকিৎসা হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

 

ফুসফুস ক্যান্সার প্রতিরোধ

ধূমপান হচ্ছে ফুসফুস ক্যান্সারের প্রধান কারণ। ধূমপান বর্জন করেই ফুসফুস ক্যানসারের ঝুঁকি প্রায় সম্পূর্ণ দূর করা যায়। এছাড়াও এই ক্যান্সারের ঝুঁকি দূর করার জন্য নিচের পদক্ষেপগুলো নিতে পারেনঃ

 

  • অ্যাসবেস্টস, আর্সেনিক কিংবা ধূমপায়ী থেকে দূরে থাকুন
  • আপনার বাসায় রেডন গ্যাসের লেভেল পরীক্ষা করুন। যদি রেডন লেভেল বেশি থাকে তা কমিয়ে আনুন।
  • অপ্রয়োজনে বুকের এক্স-রে করা থেকে বিরত থাকুন
  • সবুজ শাকসবজি এবং উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করুন
ক্যান্সারেরফুসফুস ক্যান্সারের