এখানে এমনই কিছু সহজলভ্য ও উপযোগী উপাদানের নাম উল্লেখ করা হলো, যা ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকর।
হলুদ
‘কারকিউমিন’ নামক উপদানের উপস্থিতির কারণে এই মশলার রং হলুদ হয়। এতে থাকে প্রদাহরোধী উপাদান যার কার্যকারিতা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধের কাছাকাছি। হাড়ের জোড়, মাংসপেশির ব্যথা ও ফুলে যাওয়া সারাতে হলুদ অত্যন্ত উপকারী। দুধ কিংবা চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
আদা
এতেও আছে প্রদাহরোধী উপাদান যা বাতের ব্যথা, পেট ব্যথা, বুক ব্যথা, মাসিকের ব্যথা এবং মাংসপেশির ব্যথা সারাতে সহায়ক।
‘রেসভেরাট্রল’ নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের উপস্থিতির কারণে ফলটির রং লালচে হয়। হাড়ের জোড় ও মেরুদন্ডের ব্যথা সারাতে কার্যকর এই উপাদান। একমুঠ পরিমাণ আঙুর খেলে ব্যথায় আরাম পাওয়া যাবে।
পিপারমিন্ট
ভেষজ গুণের জন্য পরিচিতি আছে মেনথলের। মাংসপেশি, দাঁত, মাথা ও স্নায়ুজনিত ব্যথার চিকিৎসায় কার্যকর। মন-মেজাজও ঠান্ডা করে এটি। মেনথল বা পুদিনাপাতা চিবিয়ে খেতে পারেন যেকোনো ব্যথা উপশমের জন্য।
লবণ
১০ থেকে ১৫ টেবিল চামচ বা এক কাপ লবণ এক বালতি পানিতে গুলিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট পর গোসল করতে হবে। এতে শরীরের কোষে জমে থাকা পানি বেরিয়ে যাবে ফলে ব্যথা কমবে।
সয়া
‘ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশন (এনসিবিআই)-এর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, সয়াতে থাকা আমিষ বাতের ব্যথা ও অস্টিওপোরোসিসের উপসর্গ থেকে রক্ষা করে। সয়াতে থাকে ‘আইসোফ্লাভনেস’, যা প্রদাহরোধী উপাদান হিসেবে সুপরিচিত। উপকার পেতে সয়া দুধ পান করা যেতে পারে।
শরীরের ফোলাভাব, প্রদাহ ও ব্যথা সারাতে দই বেশ উপাকারী। দইয়ে থাকা স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া হজমে সহায়তা করে এবং তলপেটের ব্যথা থেকে মুক্তি দেয়। এক বাটি দই স্বাস্থ্যের জন্য যেমন উপকারী তেমনি ব্যথা দূর করতেও সহায়ক।
ঝালমরিচ
এতে থাকা ‘ক্যাপসাইসিন’ নামক সক্রিয় উপাদান অসংখ্য ব্যথানাশক ক্রিমের অন্যতম উপাদান। এটি স্নায়ুর প্রান্তগুলোকে আরাম দেয় এবং ব্যথা তৈরির রাসায়নিক উপাদান গ্রাস করে ফেলে। খাবারে কিংবা সুপের মধ্যে আধা চা চামচ ঝালমরিচ মিশিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
কফি
এতে আছে ক্যাফেইন, যা ব্যথার মাত্রা কমায়। পাশাপাশি অন্যান্য ব্যথানাশকের কার্যক্ষমতা বাড়ায়। তবে নিয়মিত কফি খাওয়া অভ্যাস থাকলে শরীরে কফির ব্যথানাশক গুণ কাজ নাও করতে পারে।
চেরি
এই ফলের ব্যথানাশক গুণ সম্পর্কে জানা নেই অনেকেরই। এতে থাকে ‘অ্যান্থোসায়ানিনস’ নামক অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান যা জ্বালাপোড়া ও ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। তবে একবারে একমুঠোর বেশি খাওয়া যাবে না।