রান্না ঘরে ঘাম নিয়ন্ত্রণের উপায়

রন্ধনবিদ শাহরিয়া আতিক সুমির পরামর্শ হলো, ‘রান্না শুরুর প্রথমেই চুলা জ্বালাবেন না। প্রথমে কাটাকুটির কাজ শেষ করে নিন। রান্নার আয়োজন সব শেষ করে চুলা জ্বালিয়ে রান্না শুরু করুন। রান্না করার সময় চুলার খুব কাছে না দাঁড়িয়ে কিছুটা দূরে অন্তত দেড় মিটার দূরে দাঁড়িয়ে রান্না করুন। শরীরে চুলার তাপ যত কম লাগবে ঘামও তত কম হবে। রান্নাঘরে এগজস্ট ফ্যান থাকা খুবই জরুরি। গরম কমাতে এগজস্ট ফ্যানের পাশাপাশি  ছোট একটি টেবিল ফ্যান উল্টো করে রান্নাঘরের দরজা বা জানালার কাছে রাখুন। টেবিল ফ্যান রান্নাঘরের গরম বাতাস টেনে বাইরে বের করে দেবে। রান্নার ফাঁকে ফাঁকে টেবিল ফ্যানের সামনে বিশ্রামও নেওয়া যাবে।’

রূপবিশেষজ্ঞ আফরোজা পারভীন জানালেন,  ‘রান্নার সময় ঢিলেঢালা সুতির পোশাক পরার পরামর্শ দেব। রান্না শুরুর আগে কপালে একটা সুতির রুমাল ব্যান্ডেনার মতো বাঁধলে ঘাম তুলনামূলক কম হবে। পুদিনা-লেবুর শরবত, তাজা ফলের জুস বা আইস টি বানিয়ে ফ্রিজে রাখুন। রান্নার সময় অল্প অল্প করে ঠাণ্ডা পানীয় পান করলে শরীর ঠাণ্ডা থাকবে, আর ঘামও কম হবে। রান্নাঘরে ঘাম প্রতিরোধে আরেকটি টিপস হলো, কিচেন অ্যাপ্রন ডিপফ্রিজে রাখুন কিছুক্ষণের জন্য। রান্নার সময় ফ্রিজ থেকে অ্যাপ্রন রেব করে পরুন। ঘাম থেকে স্বস্তি মিলবে বেশ কিছুক্ষণের জন্য।

পুষ্টিবিদ আশফি মোহাস্মদ বলেন, কারো ঘাম বেশি হয় আবার কেউ তুলনামূল কম ঘামেন। তবে গরমে ঘাম হওয়া স্বাভাবিক। সরাসরি সূর্যালোকে, বদ্ধ জায়গায় কিংবা রান্নার সময় চুলার গরমে ঘামের প্রবণতা বেড়ে যায়। ঘাম পুরোপুরি বন্ধ করার কোনো উপায় নেই। সেটা ঠিকও নয়। সুস্থ থাকতে ঘামেরও প্রয়োজন আছে। তবে ঘামের সঙ্গে শরীর থেকে পানি, খনিজ লবণ বের হয়ে যায়। ঘাম কমাতে গরমের সময়টা প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। বেশি মসলাদার, ভুনা ও তেলে ভাজা খাবার ঘামের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই এ ধরনের খাবার যতটা সম্ভব কম খাওয়া ভালো।