গাজর: এমনিতেই গাজর ওজন কমাতে খুব সাহায্য করে। গাজরে থাকা খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন শরীরকে রোগের সঙ্গে লড়ার শক্তি প্রদান করে। তাই প্রতি দিন গাজর খেলে কমে সাধারণ অসুখবিসুখের প্রবণতা। তবে গাজর কাঁচা না খেয়ে সিদ্ধ করে বা ভাপিয়ে খান, তাতে গাজরের খাদ্যগুণ বাড়ে।
কাঁঠালি কলা: কাঁঠালি কলা সহজেই ঠান্ডা লাগা প্রতিরোধে সক্ষম। প্রতি দিন খাদ্যতালিকায় কাঁঠালি কলা রাখলে তা শ্লেষ্মার কারণে গলার খুসখুসে ভাব কমায়। নন অ্যাসিটিক এই ফলে তাই আস্থা রাখেন চিকিৎসকেরাও।
ডিম: আমাদের অনেকেরই ধারণা, হাঁসের ডিমে ঠান্ডা লাগার প্রবণতা বাড়ে। যদিও চিকিৎসাশাস্ত্রে এর কোনও প্রমাণ নেই বলেই মত মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ভাস্কর দাসের। বরং তাঁর মতে, পোলট্রির ডিম না খেয়ে খান দেশি হাঁস-মুরগির ডিম। ডিমের সাদা অংশ গলার সংক্রমণ দূর করে এবং গলা ব্যথা কমায়।
দুধ বা স্যুপ: বৃষ্টি ভিজে ফিরলে গরম দুধ বা স্যুপ খান। গরম স্যুপে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান। গলা খুসখুসের জন্য দায়ী জীবাণু ও মিউকাস কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। গরম দুধও শ্লেষ্মাজনিত কারণে হওয়া গলার অস্বস্তি দূর করে। শরীরকে গরম রাখে।
আদা চা: আদার অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান গলার খুসখুসে ভাব দূর করে। এক কাপ জলে আদা কুচি দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এ বার তাতে সামান্য মধু মিশিয়ে খান। আদা-মধুর অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ও অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ঠান্ডাজনিত অসুখ থেকে দূরে রাখে। ব্যাকটিরিয়ার আক্রমণ রুখে গ্ল্যান্ডের অসুখও কমায়।