অনলাইন শপে যেভাবে দারুণ ঠকা ঠকছেন!

অনলাইন শপে গেলেই (বিশেষ করে দারাজ বা এ জাতীয় ই-কমার্স সাইট) দেখবেন, পণ্যের ঠিক নিচে একটা দাম লেখা, সেটা আবার কেটে দেওয়া। নিচে লেখা আরেকটা দাম। মানে আগে যা দাম ছিল, তা থেকে কমিয়ে পরের দাম ঠিক করা হয়েছে। আদতে এটা একটা বহুল চর্চিত ও পুরনো আমলের মার্কেটিং পলিসি। নতুন নতুন গ্রাহকদের সঙ্গে ধোঁকাবাজি ছাড়া আর কিছুই নয়।

যেমন দারাজে এই মুহূর্তে  হায়ার ব্র্যান্ডের একটি ৭ কেজি অটোমেটিক ওয়াশিং মেশিনের দাম লেখা দেখবেন ২৪ হাজার টাকা। নিচে কেটে দেওয়া দামটা হলে ২৫,৫০০ টাকা। অর্থাৎ, মনে হবে পুরো দেড় হাজার টাকা ডিসকাউন্ট দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু হায়ারের শো রুমে গিয়ে দেখুন, ওই ওয়াশিং মেশিনের আসল দাম ২১০২৪ টাকা মাত্র। অর্থাৎ ডিসকাউন্টের ফাঁদ পেতে পুরো চার হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা।

আবার এই একই পণ্য কেউ কেউ ২১৯০০ টাকাতেও বিক্রির অফার দিয়েছেন। প্রশ্ন হলো, একই ব্র্যান্ডের একই পণ্য একেক জন একেক দামে বিক্রির অফার দেয় কী করে?

মূলত কিছু অসাধু ব্যক্তি ব্যবসায়ী সেজে এসব ব্র্যান্ডশপের একাউন্ট খুলে বসেছে অনলাইনে। অনলাইন কর্তৃপক্ষও যাচাই বাছাই না করে তাদের একাউন্ট চালু রাখার সুযোগ করে দিয়েছে। সাধারণ মানুষ ভাববে এরা সবাই বুঝি আসল ব্র্যান্ডেরই শাখা বা বিক্রেতা।

 

e-commercehaierlifestyle tipsshoppingwashing machine