অনেকেই ভাবেন তেল একটু বেশি না দিলে ডিম ভাজার সময় ডিম তাওয়ায় লেগে যাবে। এটাও ভুল ধারণা। তাওয়ায় আগেই একগাদা তেল ঢেলে দেবেন না। আগুন জ্বালিয়ে এক চা চামচ তেল দেবেন। এরপর সঙ্গে সঙ্গে, মানে তেল গরম হওয়ার আগেই তাতে ডিমটা ঢেলে দেবেন। এরপর অল্প আঁচে ডিমটা ভাজুন। ডিম তাওয়ায় লেগে থাকবে না। ডিম কিন্তু পানিতেও পোচও করতে পারেন। এতে তেলই লাগবে না। স্বাদও থাকবে একই। ডিম ভাজার চেয়ে সেদ্ধ খাওয়ার অভ্যাস করুন।
মুরগি বা গরু রান্নার সময় মাংসের মধ্যে অনেক চর্বি থাকে। যা অতটা খারাপ নয়। ওই চর্বি থেকেই বের হয় তেল। পরে সেই চর্বি না খেলেই হলো। রান্নায় আগের চেয়ে তেলের পরিমাণ অর্ধেক করে ফেলুন। দেখবেন স্বাদে কোনও পার্থক্য টের পাবেন না। এক্ষেত্রে গরম মশলায় পেঁয়াজসহ টেলে নিয়েও তেলের কাজ সারা যায়।
একটু টাকা জমিয়ে পারলে এয়ার ফ্রায়ার কিনে ফেলুন। ভাজাভাজিতে তেলের খরচ অন্তত ৯০ ভাগ কমে আসবে তাতে।
সপ্তাহে এক দিন বা দুদিন তেলমুক্ত খাবার খান। এতে শুধু টাকা বাঁচবে তা নয়, শরীরও বাঁচবে। হার্ট ভালো থাকবে।
আলু ভর্তায় তেল লাগে না। আবার ভাতেও লাগে না। টুকটাক সালাদ বা ফল খেতেও তেল লাগে না। চিড়া, দই, কলা এসবও তেল নির্ভর নয়। সুতরাং নিয়মিত খাদ্যতালিকায় এসব নিয়ে আসুন।
তেলের দাম তিনশ টাকা হোক, আর একশ টাকা, আপনি ব্যবহার করা বন্ধ করুন, তেলের মজুত ও দাম তলানিতে এসে ঠেকবে। আর দাম কমলেও আবার খাওয়া বাড়িয়ে দেবেন না যেন।
মনে রাখুন ও মনে প্রাণে বিশ্বাস করুন: সয়াবিন তেল একটি নীরব বিষ!
খরচ কমানোর আরও কৌশল আসছে অচিরেই। সাইটটি সাবসক্রাইব করে সাথে থাকুন।