আলাপচারিতায় জানালেন, সঙ্গীতের প্রতি বাড়তি ভালবাসা পারিবারিকভাবেই ধারণ করছেন। আরেফিনের মা সঙ্গীত চর্চা করতেন ভালোবেসে। মায়ের কাছ থেকে পাওয়া সঙ্গীতের প্রতি এই ভাললাগা এতটাই গভীর ছিল যে পঞ্চম শ্রেণিতে থাকতেই কচি কচি হাতে কয়েকটা গানের কথা লিখে ফেলেন তিনি।
তবে শ্রোতাদের সামনে স্টেজে প্রথম গান গাওয়া ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায়। কুমার বিশ্বজিতের গাওয়া জনপ্রিয় গান ‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে…’ গেয়ে শিল্পী হিসাবে স্বীকৃতি পান আরেফিন সাদ।
অষ্টম শ্রেণিতে থাকা অবস্থায় নিয়মিত বিভিন্ন গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে নিয়মিত গান করেন। বর্তমান সুইডেনের মাল্মো শহরের সুইডেন মাল্মো বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়ছেন।
অবসর সময়টা সঙ্গীত সেবায় ব্যয় করছেন। গাওয়ার পাশাপাশি নিজে গান লিখেন, সুরও করেন। ইতিমধ্যে তার শ্রোতাদের মাঝে নিজের ৫ /৬ টি মৌলিক জনপ্রিয় হয়েছে।
তার অনেক স্বপ্ন গান নিয়ে। ভবিষ্যতে শ্রোতাদের মাঝে মেলোডিয়াস গানের প্রিয় গায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার স্বপ্ন দেখেন। ইতিমধ্যে নিজের লেখা গান ও সুর নিয়ে কয়েকটি মিউজিক ভিডিও তৈরি করছেন ।
প্রবাসে গড়ে ওঠা শ্রোতারাও চান- আরেফিন সাদের কণ্ঠ ও সুরের মূর্ছনা শুধু ডেনমার্ক-সুইডেনই নয়- ছড়িয়ে পড়ুক ইউরোপ-আমেরিকা-অস্ট্রেলিয়া-আফ্রিকা-এশিয়া ও মধ্যপ্রাধ্যজুড়ে।
প্রবাসে থাকা দেশীয় সঙ্গীতের সমঝদার বোদ্ধাজন মনে করছেন, আরেফিন সাদের কণ্ঠে রয়েছে সুরের মাদকতা। সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটু পৃষ্ঠপেষকতা-সহযোগিতা পেলে সঙ্গীত ভুবনে এগিয়ে যাবেন অনেক দূর।
আরেফিন সাদের প্রিয় শিল্পী তালিকায় আছেন বাপ্পা মজুমদার ও পার্থ বড়ুয়া।