বিশ্বের অনেক সাংস্কৃতিক চর্চা এবং ধর্ম এমন চর্চাকে সমর্থন করে যেখানে পুরুষদের একাধিক স্ত্রী থাকা অপ্রত্যাশিত নয়। একাধিক স্বামীসহ একজন নারীর কথা খুব কমই শোনা যায়। তবে নারীর বহুবিবাহ হলো বহুবিবাহের এমন এক রূপ যেখানে একজন নারীর একাধিক স্বামী থাকে।
নেপাল, চীনের কিছু অংশ এবং উত্তর ভারতের অংশে তিব্বতিদের মধ্যে এ ধরনের বহুগামী নারী দেখা যায়। যেখানে একজন স্ত্রীর কাছে একাধিক পুরুষ/স্বামী রাত্রিযাপন করতে পারে।
নাইজেরিয়া
নাইজেরিয়াতে এমন উপজাতি রয়েছে যারা বহুপতিত্বের অনুমতি দেয়। উত্তর নাইজেরিয়ার ইরিগওয়ের মধ্যে, মহিলারা ঐতিহ্যগতভাবে “সহ-স্বামী” নেয়। নাইজেরিয়ার ইরিগওয়ে একজন মহিলার সহ-স্বামী থাকার ব্যাপারটা অবশ্য ১৯৬৮ সালের পর বেআইনি হয়ে যায়।
ভারত
ভারতে একাধিক উপজাতি বহুপতিত্ব অনুশীলন করে। জৌনসারবাওয়ার অঞ্চলে পাহাড়িদের দ্বারা উত্তর ভারতের কিছু অংশে বহুপতী প্রথার প্রচলন রয়েছে। হিমাচলের কিন্নর-এ সংখ্যালঘু মানুষ বহুপতী প্রথা অনুশীলন করে। পঞ্চ পান্ডবদের (পাঁচ ভাই যারা রাজা পাঞ্চালের কন্যা দ্রৌপদী নামে একজন মহিলার স্বামী ছিলেন) এর বংশধর হিসেবে তারা বিশ্বাস করে যে তাদের এই ঐতিহ্য বজায় রাখতে হবে।
তাদের পাশাপাশি, নীলগ্রিসের টোডা উপজাতি, ত্রাভাঙ্কোরের নাজানাদ ভেল্লালা এবং দক্ষিণ ভারতের কিছু নায়ার বর্ণের প্রথাও বহুপতিত্ব পালন করে।
1988 সালে তিব্বত ইউনিভার্সিটির 753 টি তিব্বতি পরিবারের একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে 13% বহুপতী প্রথার চর্চা করে।
কেনিয়া
কেনিয়ার কিছু অঞ্চলে এক নারীর বহুস্বামী আছে। ওই নারী দুই পুরুষের সঙ্গে একসঙ্গে থাকে এবং দেখা যায় তারা সুখেই সংসার করছে। কেনিয়ার আইনে এটাকে (পলিঅ্যান্ড্রি) নিষিদ্ধ করা হয়নি।
চীন
চীন ও ভারতের নেপালের অংশে তিব্বতের জনগণের মধ্যে ভাইয়েরা সাধারণত টাকা বাঁচাতে এক নারীকে বিয়ে করে। এমনকি পালাক্রমে ভাইয়েরা ওই স্ত্রীর সঙ্গে রাত্রিযাপন করে। কৃষিজমি ও সম্পত্তি এক পরিবারে রাখতেই তারা এ কাজ করে।
দক্ষিণ আমেরিকা
দক্ষিণ আমেরিকার উপজাতিদের মধ্যেও বহুপতিত্বের অস্তিত্ব ছিল। বোরো গোষ্ঠীর লোকেরা বহুপতিত্ব অনুশীলন করত। আমাজনীয় সংস্কৃতিতেও এর প্রচলন আছে।