মুহাম্মদ শফিকুর রহমান : মাত্র ১৭ বছর বয়সে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন। ফ্রিল্যান্সিং করে মাসে তার আয় লাখ টাকার উপরে। এ পর্যন্ত– ফ্রিল্যান্সিং করে প্রায় ২০ লাখ টাকা আয় করেছেন। ডিজিটালিও নামে একটি এজেন্সির নির্বাহী কর্মকর্তা । এজেন্সিতে ৭ জন বাংলাদেশী এবং ২ জন ইন্দোনেশিয়ান কাজ করছে। এতক্ষন যার সাফল্যের কথা বলা হলো তিনি হলেন মোঃ আহসান হাবিব নাঈম। খোলাডাঙ্গা,ভেকুটিয়া,যশোরে তার বাড়ি। নাঈম ইউনিভার্সিটি জিওম্যাতিকা মালেশিয়াতে ব্যচেলর অব কম্পিউটার সাইন্স ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করছেন। তিনি স্টাডি এন্ড ট্যুর ইন মালয়শিয়া নামে একটি কম্পানির ডিজিটাল মার্কেটিং কনসাল্টেন্ট। তিনি তার অভিজ্ঞতার আলোকে ফ্রিল্যান্সিংয়ে ভালো করার জন্য কিছু পরামর্শ দিয়েছেন।

ছাত্রদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
যারা ছাত্র। কিন্ত ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে চায়। তাদের জন্য নাঈমের পরামর্শ হলো, প্যাশন কাজ করে এমন একটি হার্ড স্কিল ভালোভাবে আগে রপ্ত করুন। পাশাপাশি কমিউনিকেশনসহ বেশ কিছু সফট স্কিল শিখুন। পজিটিভ মানুষজনের সাথে যোগাযোগ রাখুন। এতে করে চেষ্টা আর ইচ্ছাটা জাগ্রত থাকে সবসময়। এরপর দক্ষ হয়ে কাজ শুরু করে দেওয়া।
একদম নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং
ফ্রিল্যান্সিংয়ে একদম নতুন যারা। তাদের জন্য নাঈমের পাচটি পরামর্শ হলো, কন্টিনিউসলি নিজের স্কিল আপডেট করা এবং শিখতে থাকা। ডলারের উপর ফোকাস না করে ক্লাইন্টের কাজের আউটপুটের উপর ফোকাস করুন, আউটপুট ভালো আসলে, ডলার এমনিতেই আসতে থাকবে। টাইম ম্যানেজমেন্টে মনোযোগ দিন। ফাইনান্সিয়ালি স্টাবল হওয়ার জন্য শুরু থেকেই প্লানিং করুন। প্রতি মাসের আয়ের কিছু অংশ দিয়ে নিজের স্কিলকে আরো মজবুত করার জন্য শেখার পেছনে ইনভেস্ট করুন।
ভবিষ্যতে ফ্রিল্যান্সিংয়ে যেসব কাজের চাহিদা থাকবে
ফ্রিল্যান্সিংয়ে অনেক ধরনের কাজ করা যায়। এমন কাজ বেছে নিতে হবে। যার চাহিদা ভবিষ্যতেও থাকবে। সে রকম কিছু কাজ হলো সাইবার সিক্যুরিটি,এ আই ও মেশিন লার্নিং ,ডাটা এনালিস্ট, ব্লকচেইন , সফটওয়্যার ও ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, ভিডিও এডিটিং ও মোশন গ্রাফিক ডিজাইন,ডিজিটাল মার্কেটিং,এসইও ।
ফ্রিল্যান্সিং নিয়ে কিছু ভুল
ফ্রিল্যান্সিং করার জন্য অনেক পড়াশোনা করতে হয়। কথাটি সম্পূর্ণভাবেই ভুল । আপনার যদি কর্মদক্ষতা থাকে এবং যোগাযোগ দক্ষতা থাকে তাহলে আপনি ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিংয়ে একটি বিষয়ে দক্ষতা থাকা এবং সেই দক্ষতা বিক্রি করার দৰতা থাকাই হলো মুল কথা। আপনি দেখতে কালো না সাদা, কোন দেশের, কী বিষয়ে পড়েছেন এসব একদমই বিবেচ্য বিষয় না।
প্রতারকদের চেনার উপায়
ফ্রিল্যান্সিং শেখানোর নামে যারা প্রতারণা করে। তাদের চেনার কিছু উপায় আছে। মার্কেট প্লেসে তাদের প্রোফাইল খুজে পাওয়া যায় না। কোন প্রফেশনাল প্রোরাফাইল থাকে না তাদের। কোর্সের দাম যা হওয়া উচিত তার চেয়ে অনেক কম টাকায় অফার করে।লেকচারে মুখরাচক কথা বলে। এদের অফিস থাকে না।
ফ্রিল্যান্সারদের চাই কভার লেটার
ফ্রিল্যান্সিংয়ে কাজ পাওয়ার জন্য কভার লেটার টা এমন ভাবে লিখতে হয় যেন ক্লাইন্ট দেখেই মনে করে আপনি কাজ টা পারবেন। আপনার উপর আস্থা রাখা যায়। কভার লেটার এর মধ্যে কাজের কিছু স্যাম্পল দেয়া ও পুরো কাজ টা কিভাবে করবেন তার সুন্দর একটা স্টেপ বাই স্টেপ কৌশল দেখাতে হয়।
লেখক:
এসিস্ট্যান্ট ম্যানেজার, সেলস অপারেশনস
ফেয়ার ডিষ্টিবিউশন লিমিটেড
ঢাকা।