মেগাফোন কূটনীতি বনাম ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক ইফতার কূটনীতি

FacebookTwitterEmailShare

দ্রুত নির্বাচন দাবি করা নেতারা গতকাল বড় ধাক্কা খেয়ে চুপ হয়ে গেছে, মনে হচ্ছে ডক্টর ইউনুস তাদের গালে সজোরে আঘাত থাপ্পড় মারছে….

আওয়ামীলীগের ৫-৭ হাজার লিস্টেড প্রোপাগাণ্ডার চ্যানেল আছে। মাসে পেইড এড রান করে ৩০-৫০ লাখ টাকার। ভারতের তো বিজেপির আইটি সেল নিয়া আর বলতে হবে না। এইযে বিদ্বেষ ছড়ানো মিডিয়ার মাধ্যমে, এটাকে বলে মেগাফোন কূটনীতি।

এই কূটনীতির উপর ভিত্তি করে আমেরিকা কোল্ড ওয়ার জিতসে, পশ্চিমা সফলভাবে ইসলামোফোবিয়া ছড়াতে পারছে, বিজেপি সফলভাবে মুসলিম জেনোসাইডের দিকে আগাচ্ছে।

বাট, ইন্ডিয়া + আওয়ামীলীগ দুইটাই আপ্রাণ চেষ্টা করছে ইউনুসকে খারাপ বানানোর মেগাফোন কূটনীতির মাধ্যমে। অনেক বিনিয়োগ করছে।

ফলাফল?

শূন্য।

কী আজিব অবস্থা।

ইউনুস সাহেব পরিচয় করালো নতুন এক কূটনীতির। যেটার নাম ‘ইফতারি কূটনীতি’।

আমিও অবাক হলাম উনার এই এপ্রোচ দেখে। তব্দা খেয়ে ভাবলাম। জাতিসংঘের লিস্টেড দেশ হইছে ১৯৪টা। জাতিসংঘের মহাসচিব যেখানে যাবে, এই ১৯৪ টা দেশ সে নিউজ করতে বাধ্য। খোদ আমিরিকা থেকে দক্ষিণ সুদান পর্যন্ত।

ইউনুস বেচারা গুতেরেসকে পাঞ্জাবি আর টুপি পরিয়ে হাজির করে ১ লাখ রোহিঙ্গার সামনে। নিজেও পরছে টুপি। ইসলামোফোবিয়ার বিরুদ্ধে কঠিন এক অবস্থান। যেখানে মুসলিমরা উলটা কাজ করে। পশ্চিমা দেখলে দাড়িও ছিড়ে ফেলে। শুধু তাই না। তিনি ঘোষণা দিলেন আঞ্চলিক ভাষায় আগামী ইদ যেন নিজের এলাকায় কাটাতে পারে রোহিঙ্গারা এবং উনাকেও যেন দাওয়াত দেয়। খেয়াল রাখবেন উনার পাশে কিন্তু গুতেরেস এইটা বলার সময়।

এই খবর ১৯৪টা দেশে প্রচারিত হইছে। আমার মনে আছে। ইউনুস সাহেব বলছিলেন এসেই ‘আমরা কেন যাব? সবাই আসবে আমাদের কাছে।’

কথাটা যেন সত্যি হচ্ছে। গুতেরেস আসছে, ইলন মাস্ক এ বছর খুব সম্ভাবনা আছে, সৌদি আরবের আরামকো আসতেসে, মালেশিয়া থেকে কোম্পানি আসতেসে।

ইফতারিকে কাজে লাগিয়ে বিশাল এক বার্তা দিলেন। প্লেকার্ড সেট করসে স্ট্র‍্যাটেজিক লোকেশনে। যাতে মিডিয়া যেভাবেই প্রচার করুক প্লেকার্ড চোখে পড়ে।

এইযে মেগাফোন ডিপ্লোমেসিকে উড়িয়ে দিবেন এইভাবে, আমরা ভাবতে পারি নাই। এরকম একজন ক্যারিশমাটিক লিডার আর আসবে কি না সন্দেহ আছে।

আরও বলি, রামাদানে তো সব পণ্যের দাম কমছে। প্রথমবার একচুয়াল ডিফ্লেশন শুরু হইসে ফেব্রুয়ারি থেকে। প্রমান?

বলছি।

ক্যাপিটাল মার্কেট যেটা রাষ্ট্রের অর্থনীতির মেরুদণ্ড সেটা ঠিক হওয়া শুরু করছে। বন্ডে সুদের হার ১০.৫ এ নামছে ১৫-১৬% থেকে। তারমানে ইনফ্লেশন কমতেসে। যদি ইনফ্লেশন বাড়ে বন্ডে সুদের হার বাড়িয়ে দেয় সরকার। শেয়ার মার্কেট ভালো হয় না। যেমন হাসিনার আমলে গায়ে আগুন ঢেলে অনেকে আত্মহত্যা করছে। তখনই দেশের ইকোনোমির ১২ টা বাজায় দিছে। এখন উলটা চিত্র৷ বন্ডে সুদের হার কমতেসে। কোম্পানি নিজের শেয়ার কেনা শুরু করে। মেবি ১ বছরের মধ্যে কমপক্ষে ১০০ কোম্পানি পাওয়া যাবে যেগুলো মিডেল ক্যাপের মধ্যে। অনেক কোম্পানি ব্লু চিপ হবে।

এটা হচ্ছে একদম আতসকাচের মত ইনফ্লেশন মাপার এক প্রক্রিয়া।

আরেকটা কথা, দেশে কারিগরি শিক্ষার উপর জোর দিয়ে যাস্ট ফ্রি তে চায়নাসহ অনেক দেশ কলেজ খুলবে যেগুলোতে পড়ে সরাসরি ছেলে-মেয়েরা বাইরে গিয়ে ভালো ও যোগ্য কাজ করতে পারে।

দেশে এই পর্যন্ত নির্বাচন হইছে ১০ বার। ১০ বার সরকার বদলাইসে। জিয়াউর রহমান ছাড়া কেউ দেশের ভালো চায় নাই, করে নাই। ইউনুস করতেসে। নির্বাচন দরকার। কিন্তু ইউনুস সাহেব দেশটাকে একটা ব্লু প্রিন্ট দিয়ে যাক, যাতে সেটার উপর নির্বাচিত সরকার চলতে বাধ্য।

বিএনপিকে আল্লাহ হেদায়াত দিক।

আর সবাই ইউনুস সাহেবের জন্য দোয়া করেন। আল্লাহ যাতে উনাকে সুস্থ রাখেন। স্বাভাবিক রাখেন। এমন একটা লোক আমাদের অনেক দরকার। যে মুখে না, মাথায় খেলে।

dr yunusop-ed