সুসপ্ত পাঠকের ফেসবুক স্ট্যাটাস : বাংলাদেশের গণতন্ত্র আমেরিকার চাইতেও শক্তিশালী

সুসপ্ত পাঠক

” ক্লিনটন যখন ক্ষমতায় তখন একজন সাধারণ মার্কিন তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার সময় তাঁকে মনিকা লিউনস্কির লেখা একটি বই উপহার দিয়েছিলেন, যে বইটি ক্লিনটন ও মনিকা লিউনস্কির যৌন কেলেংকারি নিয়ে লেখা। একজন রানিং প্রেসিডেন্ট, তার ওপর বিশ্বের অন্যতম ক্ষমতাধর প্রেসিডেন্টকে বিব্রত করে নিরাপদ ও স্বাভাবিক থাকাটা মার্কিন গণতন্ত্রেই সম্ভব…।

বাংলাদেশের গণতন্ত্র আমেরিকার চাইতেও শক্তিশালী। এখানে চরম মাত্রায় গণতন্ত্র বিরাজ করে। যেমন ধরুন খালেদা জিয়া মাত্র কয়েক কোটি টাকা নয়ছয় করেই এখন জেল খাটছেন। তিনি কয়েকবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। বিএনপির মত একটি দলের প্রধান, তবু আইন তাঁকে সমান চোখেই দেখেছে। এটিই গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের প্রতিফলন। আবার তারেক জিয়ার কথাই ধরুন, তাঁর মত একক ক্ষমতা বাংলাদেশে কেউ আগে কোনদিন ভোগ করেনি। তাঁর আঙ্গুলের নির্দেশে দেশের সকল সিদ্ধান্ত বদলে যেত। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনা করেছিলেন। ঠান্ডা মাথায় খুনের পরিকল্পনা করে কিন্তু পার পাননি । দুনীর্তি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য তারেক জিয়াকে কোমড়ে দড়ি দিয়ে বেঁধে আদালতে তোলা হয়েছিলো। ফেরারী আসামী হয়ে এখন বিদেশে পড়ে আছেন। এটি চরম আইনের শাসনের একটি দেশের চিত্র। তুমি যত ক্ষমতাধরই হও, আইন তোমাকে ছাড় দেবে না…।

তবে এই গণতন্ত্র আর আইনের শাসন আপনার ওপর তখনই প্রয়োগ হবে যখন আপনি ক্ষমতার বাইরে! যেমন কামাল হোসেনকে রাজাকার নিয়ে প্রশ্ন করা ‘স্বাধীন সাংবাদিকতার’ একটি নমুনা কারণ কামাল হোসেন ক্ষমতায় নেই। এ কারণেই ‘স্বাধীন সাংবাদিকতা’ , যিনি ক্ষমতায় আছেন, তাঁকে প্রশ্ন করতে পারবে না – ‘আপনার দলে এত রাজাকার কেন? আপনার বেয়াই বাড়ি রাজাকার কেন? আপনি হেফাজত ইসলামের সংবর্ধনা নিলেন কেন? আপনি ওলামা লীগ বানালেন কেন?…’