থ্রিলার গল্প : দেবদূত বক্সীর অপহরণ

‘ব্লু হোয়েল’ বা ‘মোমো চ্যালেঞ্জ’-এর মতো মারাত্মক সাইবার গেম্স নয়, নিতান্তই একটা নিরীহ অ্যানড্রয়েড মোবাইল অ্যাপ যে শেষ পর্যন্ত আমার এরকম অবস্থা করে দেবে, স্বপ্নেও ভাবিনি।

এই অ্যাপটা খুব একটা জনপ্রিয় না হলেও অনেকেই মজার ছলে ব্যবহার করে। অ্যাপটায় নিজের একটা ছবি আপলোড করতে হয়। তারপর অ্যাপ সেই ছবিটার উপর কারিকুরি প্রসেস করে বৃদ্ধ বয়সে সে কেমন দেখতে হব, দেখিয়ে দেয়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে আমিও মজা করে আমার একটা ছবি আপলোড করেছিলাম। যথারীতি বৃদ্ধ বয়সে আমি কেমন দেখতে হব, অ্যাপ দেখিয়ে দিল। আধমাথা টাক, বাকি চুলগুলো সাদা হয়ে পাতলা। কপালে বলিরেখা। মুখের চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। গালটা একটু তুবড়ে বসা। আমার রিমলেস চশমার জায়গায়, চোখে একটা ভারী মোটা কালো ফ্রেমের হাই পাওয়ারের চশমা।

নিজের মনেই খুব হেসেছিলাম ছবিটা দেখে। অবশ্য ছবিটা যে আমারই খুঁটিয়ে দেখলে বুঝতে অসুবিধা হচ্ছিল না। অ্যাপে একটা অপশন ছিল, ছবিটাকে ফেসবুকে শেয়ার করার। দিয়েছিলাম ফেসবুকে শেয়ার করে। সঙ্গে লিখেছিলাম, ‘কে, চেনা যাচ্ছে?’

যেহেতু আমার টাইমলাইন থেকে শেয়ার করা আর আমার বন্ধুর সংখ্যা নিতান্ত অল্প, তাই জিজো, ঊর্মি, তুহিনের মতো বন্ধুরা আমাকে চিনে নিয়ে পটাপট ছবিটায় লাইক দিয়ে নানা রকম কমেন্ট করতে শুরু করে দিল। তার মধ্যেই ঘটল ঘটনাটা।

ফেসবুক মেসেঞ্জারে একটা মেসেজ রিকোয়েস্ট পেলাম, ‘দেবদূত বক্সীর যে ছবিটা একটু আগে পোস্ট করেছ, সেটা তুমি কখন তুলেছ?’

মেসেজ রিকোয়েস্টটা এসেছে তটিনী সান্যাল নামের একটা মেয়ের কাছ থেকে। ডিপি-তে মেয়েটার একটা ছবি দেওয়া আছে। খাকি রংয়ের পুলিশের উর্দি পরা। ডিপি দেখে মেয়েটাকে চিনতে পারলাম না। তা ছাড়া মেয়ে কেন, কোনও ছেলে পুলিশ অফিসারও আমার ফেসবুকের বন্ধুবৃত্তে নেই। এই নামে আমি কোনও মেয়েকেও চিনি না। প্রথমে ভেবেছিলাম কোনও উত্তর দেব না। কিন্তু কী মনে হল, হয়তো পুলিশের উর্দি দেখেই, একটা উত্তর দিয়েই ফেললাম, ‘আপনার বোধ হয় কিছু ভুল হচ্ছে। ছবিটা আমারই। অ্যাপে বানানো। খেয়াল করে দেখুন, ছবির তলায় অ্যাপের লোগোটা পর্যন্ত আছে।’

কিছুক্ষণের মধ্যেই তটিনী সান্যালের কাছ থেকে মেসেঞ্জারে আর-একটা ছবি পেয়ে অবাক হয়ে গেলাম। ছবিটা একেবারে আমার অ্যাপে তৈরি ছবির মুখের মতো। শুধু জামা, মুখের অ্যাঙ্গেল আর চশমার ফ্রেমটা আলাদা। সঙ্গে তটিনী লিখেছে, ‘এটা দেবদূত বক্সীর দশ দিন আগে তোলা ছবি। রিয়াল ছবি। তলায় কোনও লোগো নেই দেখতেই পাচ্ছ।’

অবাক হয়ে তটিনীকে লিখলাম, ‘অদ্ভুত মিল, সেটা দেখতেই পাচ্ছি। অবশ্য পৃথিবীতে এরকম মিল হয়েই থাকে।’

‘সেটা অসম্ভব নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে তোমার একটা বিপদ শুরু হল।’

‘কীসের বিপদ?’

‘তুমি সন্দেহের তালিকায় পড়ে গেলে।’

‘কীসের সন্দেহ?’

‘দেবদূত বক্সী এক সপ্তাহ হল নিখোঁজ। নিখোঁজ মানে ওঁকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা মুক্তিপণ চেয়েছে এক কোটি টাকা। বাড়ির লোকের সঙ্গে মুক্তিপণ নিয়ে দর কষাকষি চলছে। পুলিশের মোবাইল ট্র্যাকিং এড়াতে ওরা ফেসবুক মেসেঞ্জার ব্যবহার করছে। তবে সাইবার ক্রাইম ডিপার্টমেন্ট গোটা ব্যাপারটার উপর কড়া নজর রেখেছে। তুমি যা জানো ঝটপট বলে দাও।’

 

 

একটু অস্বস্তি হতে শুরু করল। তটিনী সান্যালকে আমি চিনি না। পুলিশের উর্দি পরা তটিনী সান্যাল হয়তো ফেক প্রোফাইল। কেউ ইয়ার্কি করছে, না হয় ব্যাপারটা সত্যিই সিরিয়াস কিছু। তবে একটা সন্দেহ হল। তটিনী সান্যাল ফেসবুকে আমার বন্ধু নয়। তা হলে, আমার টাইমলাইনের ছবি ও দেখতে পেল কী করে?

প্রশ্নটা তটিনী সান্যালকেই করলাম। অবশ্য উত্তরটা তৎক্ষণাৎ পেয়ে একটু বোকাই হয়ে গেলাম, ‘তোমার পোস্টটা শেয়ারড হয়েছে।’

সত্যিই দেখলাম আমার পোস্টটা শেয়ার করেছে আমার স্কুলের বন্ধু ঊর্মি। ঊর্মিকে মেসেজ করলাম, ‘তটিনী সান্যাল বলে তোর ফেসবুকে কোনও বন্ধু আছে?’

ঊর্মি অন-লাইন ছিল। সঙ্গে-সঙ্গে উত্তর দিল, ‘আমার পাঁচহাজার বন্ধু আছে। মনে পড়ছে না। সার্চ করে দেখে তোকে জানাচ্ছি।’

ঊর্মি কিছু জানানোর আগেই মেসেঞ্জারে তটিনী সান্যালের পরের মেসেজ পেলাম, ‘তোমার আই পি ট্র্যাক করে ফেলেছি। লোকেশনও কিছুক্ষণের মধ্যে পেয়ে যাব। তুমি কিন্তু সাইবার ক্রাইমের স্ক্যানারে চলে এসেছ।’

মিথ্যে বলব না, বেশ ঘাবড়ে গিয়ে ফেসবুকে আমার পোস্ট করা ছবিটা তুলে নিয়ে ফেসবুক বন্ধ করে অস্বস্তি নিয়ে চুপ করে বসে থাকলাম। দশ মিনিটের মধ্যে একটা ফোন পেলাম আমার অফিসের সহকর্মী জিসানের কাছ থেকে, ‘তটিনী সান্যাল বলে কেউ তোর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল?’

খুব অবাক হলাম। প্রথমত জিসানের কোনও ফেসবুক অ্যাকাউন্টই নেই। তটিনী সান্যাল নামটা শুনে শুকনো গলায় বললাম, ‘কেন?’

‘আরে, আমাকে হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ করেছে। নিজের পরিচয় দিয়েছে ডি এস পি সাইবার ক্রাইম বলে। তোর গত দশদিনের হোয়ার অ্যাবাউটস জানতে চাইছে। কোন একজন দেবদূত বক্সীর অপহরণের কেসের ব্যাপারে। কোনও উত্তর দিইনি। আজকাল এতরকম ফ্রড হচ্ছে।’

‘তোর হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর জানল কী করে?’

‘জানি না। কত লোকই তো জানে। আমার বিজ়নেস কার্ডেই তো হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরটা দেওয়া আছে। তা ছাড়া অফিসে তোর হোয়ার অ্যাবাউটস জানতে চাইলে পুলিশ আমাকে কেন হোয়াটসঅ্যাপ করবে? এইচ আর ম্যানেজার-কে ফোন করবে।’

জিসান যত সহজে ব্যাপারটাকে উড়িয়ে দিল, আমি তত নিশ্চিন্ত হতে পারলাম না। দুশ্চিন্তাটা আরও বাড়িয়ে দিল ঊর্মি। রাত প্রায় বারোটায় আমাকে ফোন করে বেশ মিয়ানো গলায় বলল, ‘তটিনী সান্যাল আমার ফ্রেন্ড লিস্টে নেই। কিন্তু তুই তোর ছবিটা তুলে নিয়েছিস কেন? কিছুই বুঝতে পারছি না।’

 

ঢোঁক গিলে বললাম, ‘কী হয়েছে?’

‘তোর ছবিতে আমি কিছু কমেন্ট লিখে এমনিই শেয়ার করেছিলাম। সেটাকে রেফার করে তটিনী সান্যাল নামের সাইবার ক্রাইমের একজন ডি এস পি আমাকে মেসেজ করেছে, দেবদূত বক্সী বলে এক বৃদ্ধের অপহরণের সঙ্গে নাকি তোর সঙ্গে আমি যুক্ত। ফেসবুকের কমেন্টসে আমরা নাকি কোড ল্যাঙ্গোয়েজে কথাবার্তা বলছি। তুই পোস্টটা তুলে নিয়ে আরও সন্দেহ বাড়িয়ে দিয়েছিস। তটিনী সান্যাল গত দশদিন আমাদের সমস্ত হোয়ার অ্যাবাউটস নিয়ে কালকে লালবাজারে সাইবার ক্রাইম সেলে দেখা করতে বলেছে। কী ব্যাপার বল তো? তটিনী সান্যাল নামে আমার কোনও বন্ধু আছে কিনা তুই জানতে চেয়েছিলি। তারপর এইসব। আমার তো বেশ নার্ভাস লাগছে।’

রাত হয়েছে। ঊর্মিকে বিশেষ কিছু বললাম না। বললাম, কাল দেখা করব। ততক্ষণ যেন ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপটা না খোলে। আরও রাতের দিকে জিজো আর তুহিনের ফোন পেলাম। ওরাও ঊর্মির মতো প্রায় একই কথা বলল, আমার ছবিতে কমেন্ট করে তটিনী সান্যালের মেসেজ পেয়েছে। সব শুনে রাতে আমার আর ঘুমই হল না।

পরের দিন সকালে আমরা ঠিক করলাম, ব্যাপারটা নিয়ে লালবাজারে সাইবার ক্রাইম সেলে গিয়ে কথা বলব। সবার অফিস কাজকর্মে যাওয়া ডকে উঠল। বেলা এগারোটা নাগাদ সবাই লালবাজারের কাছে একটা কফি শপে এসে জড়ো হলাম সইবার ক্রাইম সেলে যাওয়ার আগে শেষ মুহূর্তের পরামর্শ করতে।

জিজো বলল, ‘তটিনী সান্যালকে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছি। অনেক রাত পর্যন্ত অনলাইন দেখেছি। কিন্তু ফ্রেন্ড রিকোয়েস্টটা অ্যাকসেপ্ট করেনি।’

ঊর্মি ওর ঝুলে পড়া চশমাটা নাকের উপর ঠেলে তুলে আমাকে বলল, ‘আমিও প্রোফাইলটা চেক করেছি। আমার তো একজনও কমন ফ্রেন্ড দেখতে পেলাম না। আমার শেয়ার করা ছবি কীভাবে দেখতে পেল বুঝে পাচ্ছি না। তুই চেক করেছিস?’

সত্যি কথা বলতে আমি এত ঘাবড়ে গিয়েছিলাম যে আর কিছু খতিয়ে দেখিনি। ঊর্মিই জোর করল, ‘লালবাজারে যাওয়ার আগে দ্যাখ, তটিনী সান্যালের সঙ্গে তোর কোনও কমন ফ্রেন্ড আছে কিনা?’

মোবাইলে আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্টটা খুলে তটিনী সান্যালের প্রোফাইলে আমার একজনও কমন ফ্রেন্ড খুঁজে পেলাম না। নিজের সম্পর্কে ইন্ট্রোতে ‘সত্যমেব জয়তে’ আর ‘ডি এস পি সাইবার ক্রাইম’ ছাড়া আর কোনও তথ্যও দেয়নি তটিনী। তবে বেশ কিছু ছবি আছে ‘ফোটোজ়’-এর মধ্যে। নানা অ্যাকশনের ছবিগুলো দেখলে কোনও সন্দেহ বাকি থাকছে না যে, তটিনী সান্যাল একজন দুধর্ষ সুন্দরী চৌখস পুলিশ অফিসার।

আমার ঘাড়ের দু’দিক দিয়ে ঝুঁকে পড়ে সবাই আমার মোবাইলে একটা-একটা করে ছবি দেখছিল। তটিনীর একটা মুখের ক্লোজ় আপের ছবি দেখে জিজো বলল, ‘চেনা-চেনা মনে হচ্ছে। কিন্তু কোথায় দেখেছি, কোথায় দেখেছি কিছুতেই মনে পড়ছে না।’

‘চোখের মণিটা নীল, খেয়াল করেছিস?’ তুহিন বলল।

‘যাই বল, ভেরি সেক্সি পুলিশ অফিসার। কি ফিগার!’ জিজো কাঁধ ঝাঁকিয়ে বলল।

‘মাথার ওপর খাঁড়া ঝুলছে, মুখগুলো সব আমসি, তার মধ্যেও তোদের এখন এইসব মনে হচ্ছে?’ ঊর্মি ধমকে উঠে বলল, ‘সবাই ভাল করে দেখে মনে করার চেষ্টা কর, কোথায় দেখেছি মেয়েটাকে?’

ছবিটা খুঁটিয়ে দেখে আমারও মনে হচ্ছিল, কোথাও যেন দেখেছি মেয়েটাকে। হঠাৎ আমার মাথায় একটা বিদ্যুৎ ঝিলিক দিল। তটিনীর ছবিটা ডাউনলোড করলাম। তারপর আমার সেই অ্যাপটা খুলে তটিনী সান্যাল বৃদ্ধ বয়সে কেমন দেখতে হবে প্রসেস করতে দিলাম।

 

দশ সেকেন্ডের মধ্যে ফুটে উঠল তটিনী সান্যালের আশিবছর বয়সের ছবি। মাথা ভর্তি সাদা চুল, মুখের চামড়া কুঁচকে গিয়েছে। গালটা একটু তুবড়ে বসা। চোখে একটা ভারী মোটা কালো ফ্রেমের হাই পাওয়ারের চশমা। কাচের পিছনে চোখগুলো বড়-বড় করে আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে।

জিজো রুদ্ধশ্বাসে ছবিটা দেখে ঊর্মির দিকে তাকিয়ে বলল, ‘এ তো তোর ঠাম্মা!’

তুহিন বলল, ‘একদম। অবিকল।’

‘তার মানে, তটিনী সান্যাল হচ্ছিস তুই! কাকিমা বলেন তুই একদম তোর ঠাম্মার মুখ পেয়েছিস,’ কথা বলতে গিয়ে বিস্ময়ে আমার কথা আটকে যাচ্ছিল, ‘আমাদের সঙ্গে একটা মজা করার জন্য তুই এতসব করেছিস? এত মেক ওভার, এত ছবি তুলিয়েছিস?’

চোখ থেকে মোটা পাওয়ারের চশমাটা খুলে ঊর্মি বলল, ‘আমি কোনও ইনভেস্ট করিনি। নীল কনট্যাক্ট লেন্স, উইগ থেকে পুলিশ উইনিফর্ম, যা ইনভেস্ট করার আমার প্রোডিউসার করেছে। একটা নতুন ওয়েব সিরিজ়ে লিড রোলে কাজ করলাম, ডিএসপি তটিনী সান্যাল। ফার্স্ট সিজ়নে ছ’টা এপিসোড। দেবদূত বক্সীর অন্তর্ধান। টিজ়ারটা গতকাল ইউটিউবে লঞ্চ করেছে। খবরটা তোদের আগে জানাতে পারিনি, কারণ গোপনীয়তার চুক্তি ছিল। শুটিংয়ের ছবিগুলো দিয়ে প্রোফাইলটা কালকেই খুলেছি। ছোটবেলায় স্কুলে আমার পনি টেল আর চশমা নিয়ে খুব বুলি করতিস। স্লাইট একটু বদলা নিলাম। তোর অ্যাকাউন্ট থেকে তোর ছবি নিয়ে তোর অ্যাপেই প্রসেস করে, লোগো ক্রপ করে মেসেঞ্জারে তোকেই পাঠিয়েছি আর তোর অফিসের জিসান আর আমি তো তোর ‘গো ফর গ্রিন কলকাতা’ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে আছি। বুঝলি হাঁদারাম? আর হ্যাঁ, জিজো তুই কী যেন বলছিলি? তটিনী সান্যাল কেমন যেন দেখতে?’

মাথার মধ্যে থেকে জগদ্দলের বোঝাটা নামিয়ে আমাদের সামনে বসে আছে সুন্দরী তটিনী সান্যাল। জিজো ওর হাই পাওয়ারের চশমাটা টেবিলের উপর থেকে উঠিয়ে নিয়ে ওকে পরিয়ে দিয়ে বলল, ‘মোস্ট বিউটিফুল লেডি আফটার ইউ, ঊর্মি মা আমার। সবার অফিস যখন আজ কামাই করিয়েই দিলি, তোর ডি এস পি হওয়াটা সেলিব্রেট করতে লাঞ্চটা আজ তুই-ই খাওয়াতে নিয়ে যাবি চল।’

 

ছবি : প্রীতম দাশ