বাংলাদেশের ঝালকাটি, বরিশাল ও পিরোজপুর জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় এশিয়ার সবচেয়ে বড় ভাসমান পেয়ারা বাজার ও পেয়ারা বাগানের চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে ঝালকাঠি থেকে প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে ভিমরুলিয়া গ্রামে সবচেয়ে বড় ভাসমান পেয়ারার বাজার রয়েছে।
ভাসমান পেয়ারা বাজারটি তিনটি বিক্ষিপ্ত খালের সংযোগস্থলে। এখানে সারা মৌসুমে (জুলাই থেকে আগস্ট) চাষিদের ব্যস্ততা লক্ষ্য করা যায়।
২০০ বছরের পুরনো মনোমুগ্ধকর এ ভাসমান পেয়ারা বাজার পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হয়েছে। পেয়ারা ভর্তি নৌকা দেখা যায় এখানে। জলে ভ্রমণের সময়, নীল আকাশের পরিষ্কার পটভূমি আর চারপাশের সবুজ যেকোনও ব্যস্ত মনকে করবে শান্ত।
নৌকার মাঝিরা সাধারণত বাগান মালিকদের হয়ে পেয়ারা বিক্রি করে। তারা খুব ভোরে তাজা ফল সংগ্রহ করে এবং গ্রাহক ও পাইকারদের জন্য খালে নৌকা নিয়ে অপেক্ষা করে। শত শত নৌকা একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মিলিত হয়। স্থানটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সুগন্ধে পূর্ণ হয়। সবুজাভ হলুদের একটি মায়াময় দৃশ্যের অবতারণা হয় সেখানে।
জায়গাটি দেখার সেরা সময় জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর। দমকা হাওয়া বা বর্ষণে সৌন্দর্য বেড়ে যাবে দশগুণ।
ভাসমান পেয়ারা বাজার কিভাবে যাবেন
ঢাকা থেকে বরিশালে কিছু বিলাসবহুল জাহাজ আছে। রাজধানী ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থেকে মাঝারি নৌযানে বরিশালে পৌঁছাতে রাত লাগবে। তারপর অটোরিকশায় করে স্বরূপকাঠি লঞ্চ টার্মিনালে যেতে হবে। তারপর, সন্ধ্যা নদীতে যাওয়ার জন্য একটি ছোট ট্রলার ভাড়া করুন। তারপর ঘুরতে পারেন আটঘর, কুড়িয়ানা, ভিমরুলি বাজারে।
বরিশালে কোথায় থাকবেন আর কী খাবেন
দর্শনার্থীরা বরিশালের প্রধান শহরে বেশ কয়েকটি হোটেলে থাকার জায়গা খুঁজে পেতে পারেন। বরিশাল ঠিক সেই জায়গা যা একজন খাদ্যপ্রেমী আকাঙ্ক্ষা করে। খাবার এবং মিষ্টির বৈচিত্র্য এই স্থানটিকে অসাধারণ করে তুলেছে। বিশেষ করে ভিমরুলী ও কুড়িয়ানা বাজারের মিষ্টির নিজস্ব খ্যাতি রয়েছে। এবং, অবশ্যই, আপনি ভাসমান বাজার থেকে পেয়ারার স্বাদ নিতে পারেন। বরিশাল তার নির্ভেজাল সবজি এবং মাছের জন্যও বিখ্যাত।
ভাসমান পেয়ারা বাজার, বরিশাল, ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, বরিশালে ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, বরিশালের দর্শনীয় স্থান, বরিশালের পেয়ারা বাগান, travel bangladesh, travel, বাংলাদেশ পর্যটন