ঘুরে আসুন মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি, যশোরের সাগরদাঁড়ি (ভিডিও)

মাইকেল মধুসূদন দত্তের বাড়ি, যশোরের সাগরদাঁড়ি

‘সতত হে নদ তুমি পড় মোর মনে/ সতত তোমার কথা ভাবি এ বিরলে। ‘ – বিদেশের মাটিতে বসে নিজের শৈশবের কপোতাক্ষ নদের কথা মনে করে কালজয়ী কবিতা লিখেছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ছিমছাম কপোতাক্ষ এখন কিছুটা ছোট হয়ে এলেও স্রোত ঠিকই আছে।

আর সেই নদীর তীর ঘেঁষে যশোরের কেশবপুর উপজেলায় আছে সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন। সবুজে ঘেরা এ এলাকায় দেখা মিলবে কবি মাইকেল মধুসুধন দত্তের বাড়ি। বাংলায় সনেট ও অমিত্রাক্ষর ছন্দের জনক বলা হয় যাকে। ঢুকতে নামমাত্র মূল্যে কাটতে হবে টিকিট।

ঢুকতেই দেখা মিলবে একটি সুপরিসর পুকুর ও মার্বেলে খচিত কবির সংক্ষিপ্ত জীবনী।

এরপর আছে কবির একটি আবক্ষ ভাস্কর্য। চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ছাত্র বিখ্যাত চিত্রশিল্পী বিমানেশ চন্দ্র বিশ্বাস এই আবক্ষ মূর্তিটি তৈরি করেন। যা ১৯৮৪ সালে স্থাপিত হয়। ভাস্কর্যের নিচে কবির জন্ম এবং মৃত্যু সাল ইংরেজিতে উল্লেখ আছে।

আছে একটি পুরাতত্ত্ব জাদুঘর। যেখানে শোভা পেয়েছে মাইকেল মধুসূদন দত্তের জীবনের দুর্লভ আলোকচিত্রসমূহ, নিজহাতে লেখা ডায়েরির খণ্ডাংশ, অর্থ সাহায্য চেয়ে কবির লেখা চিঠি এবং কবির পরবর্তী প্রজন্মের ইতিহাস।

এখানে দেখতে পাবেন কবির নিজহাতে লেখা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরসহ বিভিন্ন গুণীজনের কাছে পাঠানো চিঠিপত্র এবং তৎকালীন জমিদারদের ব্যবহার্য দ্রব্যাদি।

জাদুঘর ও মন্দিরের সামনে আছে সুদৃশ্য ফুলের বাগান। বছরের সব সময়ই ‍ফুলে শোভিত থাকে বাগানটি।

বাড়ির ঠিক মাঝখানে রয়েছে একটি দুর্গামন্দির। প্রতিবছর খুব জাঁকজমক করে দুর্গা পূজা করা হতো।

বাড়ির চারপাশ ঘিরে গাছগাছালির যেন শেষ নেই। পাওয়া যাবে অনেক পাখির আনাগোনা। পর্যটকরাই যেন এ নির্জনতায় এখন একমাত্র প্রাণের সাক্ষী।

ছিমছাম গোছানো পরিচ্ছন্ন এ মধুপল্লী যে কারও মন ভালো করে দেবেই। 

পুরো মধুপল্লী দেখুন নিচের ভিডিওতে।

 

 

JessoretravelTravel bangladesh