পোলো বেশ জনপ্রিয় একটি খেলা। অঞ্চলভেদে এই খেলার বেশ কয়েকটি সংস্করণ দেখা যায়। ভারতে প্রচলন ঘটে একটি বিশেষ ধরনের পোলো খেলার। এই পোলো খেলা হয় হাতির পিঠে চড়ে। ফলে খেলাটির নাম রাখা হয় হাতি বা এলিফেন্ট পোলো।
এ খেলায় একটি হাতির পিঠে থাকে দুজন ব্যক্তি। একজন ‘মাহুত’। অপরজন খেলোয়াড়। মাহুতের কাজ খেলোয়াড়ের নির্দেশনা অনুযায়ী হাতিকে পরিচালনা করা। আর পোলো বল নিয়ন্ত্রণের জন্য খেলোয়াড়ের হাতে থাকে ছয় থেকে ৯ ফুট লম্বা বাঁশ কিংবা বেত দিয়ে বানানো সোজা কোনো নল। নলের মাথায় থাকে ম্যালেট। ম্যালেট হলো পোলো বলে আঘাত করার জন্য হাতুড়ির মতো লম্বা লাঠি। বলটি হবে পোলো খেলার আদর্শ বলটির মতোই। তবে হাতির গতি কিছুটা ধীর বলে পোলো খেলার পিচটি তুলনামূলক ছোট হয়। প্রতিপক্ষ দুটো। খেলাটির বাকি নিয়ম-কানুন পোলোর মতোই।
ভারতের রাজস্থান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ডে খেলাটি খেলতে দেখা যায়। তবে বিংশ শতকের শুরুর দিকে ভারতে প্রথম এই খেলাটির প্রচলন ঘটে। ইংরেজরা যখন প্রথমবারের মতো ভারত আসে, তখন তারা ঘোড়ার পিঠে চেপে পোলো খেলার পরিবর্তে হাতির পিঠে চেপে খেলতে থাকে। সেখান থেকেই এই খেলার যাত্রা হয়। তবে হাতির পিঠে চেপে আধুনিক পোলো খেলার প্রবর্তন ঘটান সুইজারল্যান্ডে প্রয়াত জিম এডওয়ার্ডস ও জেমস ম্যানক্লার্ক। আর এর শুরু হয় নেপালে।