হবিগঞ্জের দর্শনীয় কিছু স্থান (ছবি সহ)

এক নজরে হবিগঞ্জ (Hobiganj Tourist Spots)

হবিগঞ্জ বাংলাদেশের ঐতিহাসিক একটি জেলা। চা বাগান, জলের অববাহিকা এবং বনে জঙ্গলে ছাওয়া প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ হবিগঞ্জ। এই সীমান্ত-পার্শ্ববর্তী জেলায় কিছু অন্যান্য ঐতিহাসিক ভবন এবং একটি জাতীয় উদ্যান রয়েছে। রেমা কালেঙ্গা সংরক্ষিত বন এই জেলাটিকে প্রকৃতি প্রেমীদের কাছে করেছে অনন্য। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ছড়িয়ে আছে ২৪৩ একর জুড়ে। আছে কমলা রানীর সাগর দীঘি, বানিয়াচং রাজবাড়ি, রামকৃষ্ণ মিশন এবং কিছু জমকালো চা বাগান এই জায়গাটিকে ভ্রমণচারীদের কাছে আকর্ষণীয় করেছে।  পুরো জেলাটিকে বলা যায় বন্যপ্রাণীদের অভয়ারণ্য। রাজধানী ঢাকা থেকে মাত্র ১৬৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত হবিগঞ্জ।

 

তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধ

তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধটি ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সভা এবং মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি নিবেদিত একটি স্মৃতিসৌধ। এই স্মৃতিসৌধটি হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়া চা বাগানে অবস্থিত। এখানে মুক্তিযোদ্ধাদের ১১টি সেক্টর তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

 

সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান

২০০৫ সালে সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড়ে একটি অভয়ারণ্য হিসেবে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করে। ছড়ি মানে ঝরনা। এখানে সাতটি ঝরনা পাওয়া যাবে। আছে ১৪৫ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৬ প্রজাতির উভচর, ১৮ প্রজাতির সরীসৃপ এবং ২৪ ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী। সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে আরও দেখা যাবে প্রায় ১৫০ প্রজাতির পাখি।

Hobiganj Tourist Spots

শংকর পাশা শাহী মসজিদ

হবিগঞ্জ জেলার রাজিউড়া ইউনিয়নে আছে শংকর পাশা শাহী মসজিদ। এটি ১৫ শতকে নির্মিত। পোড়ামাটির তৈরি মসজিদটি সুলতানি আমলের অন্যতম নিদর্শন। দরবেশ শাহ মজলিস আমিন এর নির্মাণকাজ শুরু করেন। সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের শাসনামলে শেষ হয় শংকর পাশা মসজিদ নির্মাণকাজ।

 

রশিদপুর চা বাগান

যারা একইসঙ্গে চায়ের নির্যাস ও সবুজের মাঝে সময় কাটাতে আগ্রহী তাদের জন্য হবিগঞ্জের পাঁচটি চা বাগানের মধ্যে রশিদপুর চা বাগান উপযুক্ত গন্তব্য। বাহুবল উপজেলায় অবস্থিত চা বাগানটি প্রায় সাড়ে ৫ হাজার হেক্টর এলাকা জুড়ে রয়েছে।

 

 

কমলা রানীর সাগর দীঘি

কমলা রানীর সাগরদিঘী হবিগঞ্জ জেলার বানিয়াচং উপজেলায় অবস্থিত একটি বৃহৎ জলাধার। এই দীঘি ৬৬ একর এলাকা জুড়ে। আয়তনের দিক থেকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম জলাধার এটি। ১২ শতকে স্থানীয় সামন্ত রাজা পদ্মনাভ হ্রদটি খনন করেন। এটি রানী কমলাবতীর দীঘি নামেও পরিচিত।

 

 

শ্রী শ্রী রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রম

হবিগঞ্জের রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রম ১৯২১ সালে নির্মিত। সেই থেকে সনাতন ধর্মীয় গোষ্ঠীর জন্য এই পবিত্র স্থানটিতে নিয়মিত পূজা ও ধর্মীয় ক্লাসের আয়োজন করা হয়। দুর্গা পূজা এবং কালী পূজার পাশাপাশি, এই আশ্রমটি শ্রী রামকৃষ্ণ, শ্রী সারদা দেবী এবং স্বামী বিবেকানন্দের জন্মদিন উদযাপনের আয়োজন করে।

 

 

বানিয়াচং রাজবাড়ি

বানিয়াচং রাজবাড়ী হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় অবস্থিত, যা একটি প্রাচীন রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ। এই ধ্বংসাবশেষ সংলগ্ন প্রাচীন প্রাচীর এখনও মুঘল আমলের প্রতিধ্বনি করে। এখানে বানিয়াচংয়ের তৎকালীন শাসক হাবিব খান নামে পরিচিত গোবিন্দ সিং-এর মাজার রয়েছে।

Hobiganj Tourist Spots

travel destinations