শরীরের জন্য ভিটামিন প্রয়োজন। এতে ভুল নেই একফোঁটা । কিন্তু এটি নিয়ে এমন কিছু ধারণা প্রচলিত আছে যার কোনো ভিত্তি নেই। চলুন এমন কিছু ভুল ধারণা ভাঙা যাক এবার।
ভিটামিন রোগের প্রতিষেধক নয়
ভিটামিন কিন্তু অ্যান্টিবায়োটিকের কাজ করবে না। অর্থাৎ রোগ ধরা পড়লে সেটার চিকিৎসা নিজে নিজে ঘরে বসে ভিটামিন-ট্যাবলেট খেয়ে করলে চলবে না। এমনকি এটা আপনার ডায়েট এরও বিকল্প নয়। শরীরে ভিটামিনের ঘাটতি পড়লে তবেই ভিটামিন খাওয়া যায়। এর আগে নয়।
এটি পুরোপুরি নিরাপদ ও প্রাকৃতিক নয়
ভিটামিনের ভেতরকার উপাদানটা নিরাপদ হতে পারে, প্রাকৃতিকও হতে পারে। তবে অনেক সময় ফ্যাক্টরিতে পিলে রূপান্তর করার সময় এটা ক্ষতিকারক হয়ে যেতে পারে। আবার প্রাকৃতিক সবকিছুই তো আর শরীরের জন্য ভাল নয়। আর্সেনিকও কিন্তু পুরোপুরি প্রাকৃতিক উপাদান।
বেশি মানেই ভাল?
ভিটামিনের বেলায় অন্তত এটা খাটবে না। বেশি বেশি ভিটামিন-ট্যাবলেট খেলে গুরুত্বপূর্ণ অনেক অঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত ভিটামিনের কারণে জিনগত ত্রুটি দেখা দিতে পারে অনাগত সন্তানের মধ্যে। আবার হতে পারে স্নায়ুতন্ত্রের ক্ষতিও। অতিরিক্ত ভিটামিন সি খেলে কোষ নষ্ট হয়, ডায়রিয়াও হতে পারে।
সাপ্লিমেন্ট মানেই নিরাপদ নয়, আবার বেদরকারিও নয়
বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরে গুরুত্বপূর্ণ উপাদানের ঘাটতি পড়লে সাপ্লিমেন্ট ভালই কাজে আসে। তবে পুরোপুরি কারখানায় বানানো ওষুধের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে ফল ও সবজি খাওয়াই মঙ্গল। তবে সেটাও যেন হয় মাপা মাপা।
অন্য ওষুধের সঙ্গে খাওয়া যায় না
অন্য ওষুধ নিয়মিত সেবন করে থাকলে ভিটামিনগুলো নিজে নিজে খেতে যাবেন না। এটি অন্য ওষুধের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। তাই পরামর্শ নিন ডাক্তারের।
খালি পেটে খাওয়া ঠিক নয়
অনেকেই ভাবেন এটা খালি পেটেও খাওয়া যায়। মাল্টিভিটামিন সবসময়ই চর্বি জাতীয় খাবারের সঙ্গে খাওয়া উচিৎ।