শরীরের অন্যান্য ত্বকের তুলনায় ঠোঁট অনেক বেশি পাতলা এবং ঠোঁটের কোনো তৈলগ্রন্থি নেই। যার ফলে ঠোঁট সহজে শুকিয়ে যেতে পারে। আবহাওয়া, শীতল বায়ু, শুষ্ক বায়ু, ইনডোর হিটিং, লিপস্টিকের রাসায়নিক উপাদান ও কিছু ওষুধের কারণে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে যায়। যার ফলে ঠোঁট ফেটে যায় ও ঠোঁটে একধরনের ছাল বা আবরণ সৃষ্টি হয়। এখানে ঠোঁট শুষ্ক হওয়ার কয়েকটি কারণ নিম্নরুপ-
ঠোঁট চাটা: রুক্ষঠোঁট কিছুক্ষণ পরপর জিভ দিয়ে ভিজালে তা ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর। ঠোঁটলেহনে ঠোঁট শুকিয়ে যায়। লালাতে এনজাইম থাকে যা ঠোঁটকে শুষ্ক করে এবং ঠোঁটের ত্বককে ইরিটেট করে দেয়।
লিপস্টিকের ব্যবহার: লিপস্টিকের ব্যবহারে আপনার ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে। তাই লিপস্টিক প্রয়োগের পূর্বে ময়েশ্চারাইজিং লিপ বাম ব্যবহার করে নিন। তাহলে শুষ্ক হবে না।
ভুল টুথপেস্টের ব্যবহার: নিয়মিত দাঁত ব্রাশ ক্যাভিটি প্রতিরোধ করে এবং এটি মুখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। তবে ভুল টুথপেস্টের ব্যবহারে ঠোঁট শুকিয়ে যেতে পারে। খেয়াল রাখুন যাতে আপনার টুথপেস্ট আপনার ঠোঁটকে ইরিটেট করতে না পারে। কখনো কখনো টার্টার নিয়ন্ত্রণ করে এমন টুথপেস্ট ঠোঁটকে ইরিটেট করে দেয়। যদি আপনি মনে করেন যে, আপনার টুথপেস্টের কারণে ঠোঁট শুকিয়ে যাচ্ছে, অন্য ব্র্যান্ডের টুথপেস্ট ব্যবহার করুন।
হট শাওয়ারের আসক্তি: হট শাওয়ার ত্বকের প্রতিরক্ষামূলক তেল দূর করে এটিকে শুষ্ক, টাইট ও চুলকানিযুক্ত করে দিতে পারে। তাই ঠোঁটের শুষ্কতা এড়াতে কুসুম গরম পানিতে গোসল করুন।
সান প্রোটেকশন ব্যবহার না করা : ঠোঁটকে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা না করা ঠোঁট ফাটার অন্যতম করণ। ঠোঁটের ত্বককে সুস্থ রাখতে ইনডোর ও আউটডোরে থাকাকালীন ইমোলিয়েন্ট ব্যবহার করুন। এছাড়া যেসব লোকের অসুরক্ষিত ঠোঁট সূর্যরশ্মির সংস্পর্শে বেশি আসে তাদের স্কিন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
মুখে শ্বাসকার্যের অভ্যাস: হাইড্রেশনের অভাবে ঠোঁট শুষ্ক হয়ে থাকে। আবার নাকের পরিবর্তে মুখ দিয়ে শ্বাসকার্য চালালেও আপনার ঠোঁট শুষ্ক হতে পারে।
ওষুধ: যে ওষুধ মুখ শুষ্ক করতে পারে সে ওষুধ ঠোঁটকেও শুষ্ক করতে পারে এবং ঠোঁট ফেটে যেতে পারে। ঠোঁটকে শুষ্ক করতে পারে অ্যান্টি-ডিপ্রেস্যান্ট, অ্যান্টিহিস্টামিন, অ্যান্টি-অ্যানজাইটি ওষুধ, ডিকনজেস্ট্যান্ট, মাসল রিলাক্স্যান্ট ও ব্যথার ওষুধ। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজিং লিপ বাম ব্যবহার করতে পারেন।