রঙ্গিন মাছের বিবরণ ও চাষ পদ্ধতি

 

রঙ্গিন মাছের বিবরণ ও চাষ পদ্ধতি

 

 

রঙ্গিন মাছকে অ্যাকোয়ারিয়ামে রাখা হয়। বিভিন্ন রকমের রঙ্গিন মাছ হয়। নীচে চারটি রঙ্গিন মাছ সম্বন্ধে বর্ণনা দেওয়া হল।

ব্ল্যাক মলি – এই মাছ ছোট হয়। এরা সাধারণত ৪-১২ সেন্টিমিটারের হয়। পুচ্ছ পাখনা বিচিত্র ধরনের হয়। এদের রঙ হয় কালো। রঙ্গিন মাছের  মধ্যে পুরুষ মাছ স্ত্রী মাছের তুলনায় আকারে ছোটো ও সরু হয়। এরা সব রকম আবহাওয়াতে থাকতে পারে। এদের থাকার জন্য জলের তাপমাত্রা ২২-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে। এরা সাধারণত ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন ও জুপ্ল্যাঙ্কটন খেয়ে থাকে। এরা শান্ত স্বভাবের হয় এবং একসাথে থাকে। বাচ্চা দেওয়ার পর এরা খুব  ক্ষুদার্থ হয়ে পরে,  তার ফলে অনেক সময় এরা নিজেদের বাচ্চাকেও খেয়ে ফেলে। এরজন্য বাচ্চা হওয়ার আগে এদেরকে চিহ্নিত করতে হবে এবং আলাদা রাখতে হবে। চিহ্নিত করার উপায় হলো স্ত্রী মাছের গ্লেভিড দাগ দেখে। বাচ্চা দেওয়ার পর বাচ্চাগুলোকে আলাদা করে দিতে হবে নাহলে বাচ্চাকে খেয়ে নেবে।

 আরো পড়ুন : রঙিন মাছ চাষ পদ্ধতি ও আয়

সোর্ডটেল – পুরুষ মাছ ২-৮ সেন্টিমিটার লম্বা হয়, স্ত্রী মাছ ১২ সেন্টিমিটার অবধি হয়। এরা বিভিন্ন রঙের হয় তবে সবুজ ও লাল রঙের মাছ বেশী দেখা যায়। পুরুষ মাছের লেজের একটা দিক লম্বা ও তরোয়ালের মতো হয়। সব রকম আবহাওয়াতে এরা বেঁচে থাকতে পারে। থাকার জন্য জলের তাপমাত্রা ২২-২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে। এরা সবকিছুই খায়। এরা একসাথে থাকতে ভালোবাসে।

অ্যাঞ্জেল মাছ – এরা লম্বায় ১৫-২৬ সেন্টিমিটার হয় ও চওড়ায় ১১-১৫ সেন্টিমিটার হয়। পায়ুর পাখা বড় হয়। শরীরে সাদা ও কালো রঙের ছোপ থাকে। এদের থাকার জন্য জলের তাপমাত্রা ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে হবে। এরা শান্ত  প্রকৃতির হয় অন্য মাছের সাথে এরা থাকতে পারে। স্ত্রী মাছ ডিম পাড়ার পর এদেরকে আলাদা করে রাখাই ভালো নাহলে এরা বাচ্চাদের খেয়ে নিতে পারে। এরা জুপ্ল্যাঙ্কটন বেশী পছন্দ করে।

ফাইটিং মাছ – মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডে এই মাছ বেশী পাওয়া যায়। এদের শরীরের দু পাশ চ্যাপ্টা হয় ও এরা আকারে লম্বা হয়। পায়ুর পাখনা চওড়া হয়। পিঠের দিকের পাখনা বেশ লম্বা হয়। এরা বিভিন্ন রঙের হয় আর পুরুষ মাছ স্ত্রী মাছের থেকে বেশি রংচঙে হয়। জলের ২৫-৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এরা ভালো থাকে। এরা জুপ্ল্যাঙ্কটন খেতে বেশী পছন্দ করে। স্ত্রী মাছেরা পুরুষ মাছের তুলনায় শান্ত হয়। একটা পুরুষ মাছ অন্য পুরুষ মাছের প্রতি শত্রুভাবাপন্ন হয় ও এরা একে অপরকে আক্রমণ করে। অন্ধকার পরিবেশে পুরুষ ও স্ত্রী মাছের মিলন হয় ও স্ত্রী মাছ এই সময় ডিম পাড়ে। স্ত্রী মাছ একসাথে ৫-২০টি ডিম পাড়ে। পুরুষ মাছ ওঁই ডিম ও পরে বাচ্চাদের পাহারা দেয়। এরপর বাচ্চারা বড় হলে পুরুষ মাছকে তুলে নেওয়া হয়।

 

ফণীর আঘাতে লণ্ডভণ্ড ওড়িশা, নিহত ৫

রঙ্গিন মাছের