ইবনে সিনার বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডা. মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের পরামর্শ : দীর্ঘদিন বাঁচতে হলে ধূমপান নয়
ধূমপান-এর ফলে যে অনুভূতি হয়, সেটাই বেশির ভাগ ধূমপায়ী পছন্দ করেন। আর এই অনুভূতিটা আসে সিগারেটে থাকা ক্ষতিকর নিকোটিন থেকে। অনেকে আবার মনে করেন, ধূমপান তাঁদের শরীরের ওজন কমাতে বা শরীরকে স্লিম বানাতে সাহায্য করে। ধূমপান স্বাধীনতার অনুভূতি দেয়। কেউ কেউ আবার ধূমপানকে স্টাইল হিসেবেও গ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারগুলো যদি আপনার ক্ষেত্রেও ঘটে থাকে, তাহলে এখনই থামুন। চিন্তা করুন, ধূমপানসম্পর্কীয় যে ব্যাপারগুলো আপনি পছন্দ করেন, সেগুলো আদৌ আপনার জীবনের সমতুল্য কি না কিংবা এই সামান্য অনুভূতির কারণে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হচ্ছে কি না?
ধূমপানের ক্ষতিকর দিক
নিকোটিন যে ধরনের ভালো লাগার অনুভূতি দেয়, ঠিক একই অনুভূতি আপনি খেলাধুলা ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর কর্মকাণ্ড থেকেও পেতে পারেন। মূলত সিগারেট শরীরে যে খারাপ প্রভাব ফেলে, তার চেয়ে ওই ভালো লাগার অনুভূতির দাম কি আপনার জীবনের চেয়ে বেশি? জীবনের মূল্য কি নিকোটিনের সামান্য ভালো লাগার চেয়ে কম?
♦ ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধানতম কারণ ধূমপান। বিশ্বে প্রতিবছর ধূমপানের কারণে শুধু ফুসফুসের ক্যান্সারে ২০ লাখের বেশি লোক মারা যাচ্ছে। হিসাব করলে দেখা যাবে, হাতে গোনা কয়েকজন অধূমপায়ী ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন অথবা প্রতিটি ফুসফুসের ক্যান্সারের রোগীর ইতিহাস নিলে দেখা যাবে, পুরো ইতিহাস ধূমপানের কালো ধোঁয়ায় ভরা।
♦ যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁরা প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। এর কারণ হলো, ধূমপানের ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার ও এমফাইসিমা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। রোগীকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দুর্বলতা ও অসুস্থতার মধ্যে কাটাতে হয়।
আরো পড়ুন : সেক্সের পর কান্না, নারী-পুরুষের কিসের লক্ষণ?
♦ ধূমপান মানুষের ওজন কমাতে সাহায্য করে না। যদি তা সত্য হতো, তাহলে প্রত্যেক ধূমপায়ী হালকা-পাতলা হতো।
♦ প্যাসিভ স্মোকিং কথাটি বেশ প্রচলিত। এর অর্থই একজন ধূমপায়ীর পাশে বসে থাকা মানুষের নাক দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া প্রবেশ করানো। এতে তিনি শুধু নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা নয়, বরং পরোক্ষ ধূমপানের ফলে তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি প্রিয় সন্তানেরও তিনি সর্বনাশ ডেকে আনছেন।
♦ গর্ভবতী ধূমপায়ী মায়ের ধূমপানের ফলে গর্ভস্থ সন্তানেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়।
তাই আসুন, আজ থেকেই ধূমপান ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিই। আপনার একটু সচেতনতাই পারে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে সুস্থভাবে জীবনযাপনে সাহায্য করতে।
লেখক : বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেশন সেন্টার, লালবাগ, ঢাকা।
ধূমপান-এর ফলে যে অনুভূতি হয়, সেটাই বেশির ভাগ ধূমপায়ী পছন্দ করেন। আর এই অনুভূতিটা আসে সিগারেটে থাকা ক্ষতিকর নিকোটিন থেকে। অনেকে আবার মনে করেন, ধূমপান তাঁদের শরীরের ওজন কমাতে বা শরীরকে স্লিম বানাতে সাহায্য করে। ধূমপান স্বাধীনতার অনুভূতি দেয়। কেউ কেউ আবার ধূমপানকে স্টাইল হিসেবেও গ্রহণ করেন।
এ ব্যাপারগুলো যদি আপনার ক্ষেত্রেও ঘটে থাকে, তাহলে এখনই থামুন। চিন্তা করুন, ধূমপানসম্পর্কীয় যে ব্যাপারগুলো আপনি পছন্দ করেন, সেগুলো আদৌ আপনার জীবনের সমতুল্য কি না কিংবা এই সামান্য অনুভূতির কারণে জীবনের ঝুঁকি নেওয়া ঠিক হচ্ছে কি না?
ধূমপানের ক্ষতিকর দিক
নিকোটিন যে ধরনের ভালো লাগার অনুভূতি দেয়, ঠিক একই অনুভূতি আপনি খেলাধুলা ও বিভিন্ন স্বাস্থ্যকর কর্মকাণ্ড থেকেও পেতে পারেন। মূলত সিগারেট শরীরে যে খারাপ প্রভাব ফেলে, তার চেয়ে ওই ভালো লাগার অনুভূতির দাম কি আপনার জীবনের চেয়ে বেশি? জীবনের মূল্য কি নিকোটিনের সামান্য ভালো লাগার চেয়ে কম?
♦ ফুসফুসের ক্যান্সারের প্রধানতম কারণ ধূমপান। বিশ্বে প্রতিবছর ধূমপানের কারণে শুধু ফুসফুসের ক্যান্সারে ২০ লাখের বেশি লোক মারা যাচ্ছে। হিসাব করলে দেখা যাবে, হাতে গোনা কয়েকজন অধূমপায়ী ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন অথবা প্রতিটি ফুসফুসের ক্যান্সারের রোগীর ইতিহাস নিলে দেখা যাবে, পুরো ইতিহাস ধূমপানের কালো ধোঁয়ায় ভরা।
♦ যাঁরা ধূমপান করেন, তাঁরা প্রায়ই অসুস্থ থাকেন। এর কারণ হলো, ধূমপানের ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার ও এমফাইসিমা হওয়ার ঝুঁকি থাকে। রোগীকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত দুর্বলতা ও অসুস্থতার মধ্যে কাটাতে হয়।
আরো পড়ুন : সেক্সের পর কান্না, নারী-পুরুষের কিসের লক্ষণ?
♦ ধূমপান মানুষের ওজন কমাতে সাহায্য করে না। যদি তা সত্য হতো, তাহলে প্রত্যেক ধূমপায়ী হালকা-পাতলা হতো।
♦ প্যাসিভ স্মোকিং কথাটি বেশ প্রচলিত। এর অর্থই একজন ধূমপায়ীর পাশে বসে থাকা মানুষের নাক দিয়ে সিগারেটের ধোঁয়া প্রবেশ করানো। এতে তিনি শুধু নিজে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা নয়, বরং পরোক্ষ ধূমপানের ফলে তার আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, এমনকি প্রিয় সন্তানেরও তিনি সর্বনাশ ডেকে আনছেন।
♦ গর্ভবতী ধূমপায়ী মায়ের ধূমপানের ফলে গর্ভস্থ সন্তানেরও মারাত্মক ক্ষতি হয়।
তাই আসুন, আজ থেকেই ধূমপান ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিই। আপনার একটু সচেতনতাই পারে আপনাকে ও আপনার পরিবারকে সুস্থভাবে জীবনযাপনে সাহায্য করতে।
লেখক : বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ, ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক ও কনসালটেশন সেন্টার, লালবাগ, ঢাকা।