শিশুর ডায়রিয়া হলে অবশ্যই পালনীয়
ডায়রিয়া শুরু হলেই শিশুর সব খাবারদাবার বন্ধ করে দিয়ে নির্জলা উপোসের যে সনাতন প্রথা, চিকিৎসাবিজ্ঞানের এই চরম উন্নতির দিনেও সেই প্রথার প্রতি আনুগত্য একেবারে বিরল নয়। শরীর থেকে জল বা খাবার প্রচুর পরিমাণে বেরিয়ে গেলে সেই অভাব পূরণ করাটাই হল চিকিৎসাবিজ্ঞানের বহুকালের বিধান। তবু বড়দের মতো শিশুদেরও পেট খারাপ হলেই জল বা খাবার নিয়ন্ত্রণে এমনকী বহু শিক্ষিত মানুষ আজও আগ্রহী।
বাচ্চাদের যে কোনও ডায়রিয়াতেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া দরকার, হাতের কাছে ডাক্তার পাওয়া না গেলে সময় নষ্ট না করে চলে যেতে হবে সবচাইতে কাছের স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে।মৃদু জলশূন্যতা থেকে ছোট শিশুর খুব তাড়াতাড়ি তীব্র জলশূন্যতার পরযায়ে চলে যেতে পারে। এরকম তীব্র জলশূন্যতায় বাচ্চার শিরায় নানা ধরনের ‘ফ্লুইড’ না দিতে পারলে বাচ্চাকে বাঁচানো প্রায় অসম্ভব।
শিশুর ডায়রিয়া হলে অবশ্যই পালনীয়
১। বাচ্চা সাবাভাবিক অবস্থায় যা খায় বাচ্চাকে তার চাইতে বেশি জল খাওয়ান।আটকে দিন জলশূন্যতা।
২। নুন চিনির জল বানিয়ে খাওয়াতে থাকুন। ছমাসের কম বয়সে বুকের দুধ খায় না এমন বাচ্চাকে এক কাপ ও.আর.এস,-এর পর এক কাপ সাধারণ জল খাওয়ান।
৩। ডালের জল, বার্লি, ডাবের জল, চায়ের পাতলা লিকার (বাচ্চা বড় হলে) যেটা পাবেন সেটাই মাঝে মাঝে দিন।
৪। বাচ্চাকে যথেষ্ট খাবার দিন । আটকে দিন অপুষ্টি ।
৫। বুকের দুধ খায় এমন বাচ্চাকে বার বার বুকের দুধ খাওয়ান।
৬। কৌটা বা গরুর দুধ খাওয়া বাচ্চাকে তাই খাওয়াতে থাকুন। ছমাসের কম বয়েস, শক্ত খাবার খায় না এমন বাচ্চাকে এরকম দুধ প্রথম দু‘দিন সমপরিমাণে পানি মিশিয়ে খাওয়ান।
৭। বাচ্চার বয়স ছমাস বা তার বেশি, শক্ত খাবার খায় এমন বাচ্চাকে চাল, ডাল, সবজি দিয়ে বানানো হালকা খিচুড়ি দিন।
৮। যে কোনো ফলের রস বা পাকা ফল চটকে দিন।
৯। আলুসেদ্ধ বা পাকা কলা বা পাকা টম্যাটো চটকে দিন।
১০। দিনে অন্তত ছবার, একটু একটু করে টাটকা খাবার খাওয়ান।
১১। ডায়রিয়া সেরে যাবার পর দিনে একবার খাবার বেশি খাওয়ান। অন্তত টানা দু-সপ্তাহ ধরে।
https://www.youtube.com/watch?v=r0t64gzuqtg