শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অতিরিক্ত ফি মওকুফে নির্দেশনা আসছে

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাসিক ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ফি আদায় করা যাবে না। এ বিষয়ে চলতি সপ্তাহে নির্দেশনা জারি করা হচ্ছে বলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে জানা গেছে।

জানা গেছে, করোনা পরিস্থিতির কারণে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবক তার কর্মস্থল থেকে চাকরিচ্যুত হয়েছেন। অনেকের বেতন কমিয়ে দেয়া হয়েছে। অনেকের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এ কারণে তারা সন্তানের টিউশন ফি পরিশোধ করতে হিমশিম খাচ্ছেন। টিউশন ফি কমাতে রাজধানীর একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আন্দোলনও হয়েছে।

এমন পরিস্থিতি বিবেচনা না করে উল্টো নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে অভিভাবকদের কাছ থেকে টিউশন ফির সঙ্গে নানা ধরনের ফি আদায় করছে কর্তৃপক্ষ। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ বিষয়ে অভিভাবক-কর্তৃপক্ষকে বারবার মানবিক হওয়ার আহ্বান জানালেও শীর্ষপর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আমলে নিচ্ছে না। এসব কারণে অতিরিক্ত ফি মওকুফ করার বিষয়ে নির্দেশনা জারির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

মাউশি থেকে জানা গেছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় টিউশন ফি আদায়ে একটি গাইডলাইন তৈরি করা হচ্ছে। এতে শিক্ষার্থীদের মাসিক বেতনের সঙ্গে মিলাদ-মহাফিল ফি, বিদ্যুৎ, পানির বিল, ল্যাব ফি, খেলাধুলা ফিসহ বিভিন্ন ফি বাতিল করে শুধু টিউশন ফি আদায় করতে বলা হবে। এ জন্য ঢাকাসহ দেশের জেলা শহরগুলোর শীর্ষপর্যায়ের স্কুল-কলেজ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী নানা ধরনের অতিরিক্ত ফি শনাক্ত করে তা বাতিলে চলতি সপ্তাহে নির্দেশনা জারি করা হবে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক সোমবার জাগো নিউজকে বলেন, আগামী দুই-তিনদিনের মধ্যে টিউশন ফি সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হবে। তার ভিত্তিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ বেতন আদায় করবে।

তিনি বলেন, আমরা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে তথ্য সংগ্রহ করেছি। কোন প্রতিষ্ঠানে কত আদায় করা হচ্ছে তা চিহ্নিত করা হয়েছে। তার আলোকে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক টিউশন ফির সঙ্গে অতিরিক্ত ফি বাদ দিয়ে আদায় করতে বলা হবে।

যেসব প্রতিষ্ঠান টিউশন ফি আদায় করছে সেসব প্রতিষ্ঠানে কী ধরনের নির্দেশনা থাকবে- তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নির্দেশনা জারির আগে যেসব প্রতিষ্ঠানে অর্থ আদায় করা হবে তারা পরবর্তী মাসের সঙ্গে সমন্বয় করতে বলা হবে। শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতনভাতা ও প্রতিষ্ঠান চালাতে অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। তাই যারা ক্ষতিগ্রস্ত হননি তাদের সম্পূর্ণ অর্থ পরিশোধ করার আহ্বান জানাচ্ছি।