অভিনব কায়দায় মাদক পাচার; ধরা খেলেন বাঙালি অভিনেত্রী

জন্মসূত্রে তিনি বাঙালি। বাড়ি ওপার বাংলায়। রূপালী জগতের খোঁজে গত ৫ বছর ধরে তিনি মুম্বাইয়ে থাকন। ভারতের আলো ঝলমলে এই সিটিতে মডেলিংয়ের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি তেলুগু ছবিতে নায়িকার ভূমিকাতেও অভিনয় করেছেন। টলিউডেও তিনি বেশ পরিচিত মুখ। ২০০৯ সাল থেকে একাধিক বাংলা ছবিতে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সেই বাঙালি অভিনেত্রী এবার ধরা খেলেন মাদকসহ! অভিনব কায়দায় মাদক লুকিয়ে রেখেছিলেন তিনি।

ওপার বাংলার গণমাধ্যম জানিয়েছে, জিনস-টপ পরে পরিপাটি করে চুলের খোপা বেঁধে ওই অভিনেত্রী মুম্বাই বিমানবন্দরে যান। সিকিউরিটি চেকিংয়ের জন্য নির্দিষ্ট পর্দা ঢাকা ঘরে নারী সিআইএসএফ কর্মী দেহ তল্লাশি করে প্রায় ছেড়েও দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎই তার চোখ যায় মডেলের খোঁপাতে। অনুরোধ করলেন খোঁপা খুলতে। প্রথমে রাজি হচ্ছিলেন না ওই অভিনেত্রী।

শেষ পর্যন্ত সিআইএসএফ কর্মীর চাপে খোঁপা খুলতেই বেরিয়ে আসে প্লাস্টিকের প্যাকেটে মোড়া এক মুঠো রঙিন ট্যাবলেট! সঙ্গে সঙ্গে তাকে আটক করা হয়। কারণ অভিজ্ঞ সিআইএসএফ কর্মীদের সন্দেহ হয়, ওই ট্যাবলেট কোনো নিষিদ্ধ মাদক। পরে বিশেষজ্ঞরা ওই ট্যাবলেট পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন সেগুলো নিষিদ্ধ মাদক ‘এমডিএমএ’।

পুলিশি জেরার মুখে ওই অভিনেত্রী স্বীকার করেন, তিনি একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন মধ্য কলকাতার একটি পাঁচতারা হোটেলের ডিস্কোতে। সেখানে অনেকেই বিভিন্ন ধরনের মাদক নিচ্ছিলেন। ওই ডিস্কো থেকেই এমডিএমএ সংগ্রহ করেন ওই মডেল। তবে তার দাবি, এই প্রথমবার এমডিএমএ নিয়েছেন। পাচার করার উদ্দেশ্যে নয়, নিজেই ব্যবহার করার জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি।

তবে তদন্তকারীরা নিশ্চিত নন, তিনি নিজের ব্যবহারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিলেন না মাদক পাচার চক্র তাকে কাজে লাগাচ্ছিল ‘বাহক’ হিসাবে। এজন্য অধিকতর তদন্ত চালানো হচ্ছে। কারণ ওই অভিনেত্রী নাকি জেরার মুখে বলেছেন, ওই ডিস্কো পার্টিতে কলকাতা এবং মুম্বাইয়ের মডেলিং এবং ফ্যাশন জগতের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। বর্তমানে তাকে সিআইএসএফ পরবর্তীতে ওই মডেলকে নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরোর(এনসিবি) জিম্মায় আছে। পরবর্তী সিদ্ধান্তের জন্য আদালতে দ্বারস্ত হয়েছেন কর্মকর্তারা।