নিচের ১০টি উপায়ে কোলন ক্যান্সারে মৃত্যুর সম্ভাবনা ৫০% কমিয়ে আনুন
আমাদের সবার প্রিয় এই পৃথিবীতে প্রতিনিয়ত ক্যান্সার হওয়ার পরিমাণ বেড়েই চলেছে। কোলন ক্যান্সার হওয়ার পরিমাণ আগের তুলনায় অনেক কমে গেলেও এখনো বছরে অন্তত এক লক্ষাধিক মানুষ কোলন ক্যান্সারে মারা যায়।
কোলন আমাদের শরীরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। আমাদের শরীরের মল ও অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ জমা রাখা এবং বের করে দেওয়া এটির কাজ। যার কারণে এটি ফেলে দেওয়াও শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তাই চলুন কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধের উপায়গুলো জেনে নেই-
শাকসবজি ও ফল খাওয়া বাড়িয়ে দিন
ফল এবং শাকসবজিতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের অভ্যন্তরীণ ফ্রি-র্যাডিকেল বা মুক্তমুলকগুলো ধ্বংস করে শরীরকে ক্যান্সারের হাত থেকে রক্ষা করে।
ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার খান
ভিটামিন-ডি ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। তাই নিয়মিত ভিটামিন-ডি যুক্ত খাবার গ্রহণের চেষ্টা করুন। এছাড়া দিনের কিছু সময় সূর্যের আলোতে থাকার চেষ্টা করুন। সূর্যের আলোতে ভিটামিন-ডি থাকে। তবে প্রখর রোদ থেকে দূরে থাকুন।
প্রোসেস্ড মিট খাওয়া বন্ধ করুন
অতিরিক্ত ফ্রাই করা মাংস, গ্রিল্ড, সল্টেড, স্মোক্ড ইত্যাদি ধরনের মাংস খাওয়া বন্ধ করুন। এগুলোতে কেমিকেল ও প্রিসারভেটিভ থাকে যা ক্যান্সার সৃষ্টির অন্যতম কারণগুলোর একটি।
রেড মিট খাওয়া বন্ধ করুন
সাধারণত রেড মিট সমস্যা নয়, কিন্তু যে প্রাণীর রেড মিট খাচ্ছেন সেটাকে যদি গ্লাইফসফেট মিশ্রিত দানাশস্য খাওয়ানো হয় তবে সেই রেড মিট কোলন ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে।
ধূমপান ও মদ্যপান
অতিরিক্ত ধূমপান ও মদ্যপান শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর এবং কোলনের জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতিকর। এগুলো থেকে দূরে থাকুন।
ব্যায়াম
নিয়মিত সকালে অথবা সন্ধ্যায় ব্যায়াম করুন। এতে করে শরীরের রক্ত সঞ্চালনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ কার্যকর থাকে।
পেঁয়াজ খান বেশি করে
পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে কুয়েরসেটিন থাকে যা শরীরের ভেতরের ক্যান্সার কোষগুলো থেকে শরীরকে রক্ষা করে এবং এগুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে।
অন্ধকারে ঘুমান
শরীরের ভেতর মেলাটোনিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে যা কোলন ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। লাইটের আলো সেগুলো কমিয়ে আনে। তাই ঘুমানোর সময় লাইট বন্ধ করে ঘুমান।
ভেষজ চা পান করুন
বিভিন্ন ধরনের ভেষজ চা যেমন- জিনসেং টি, গ্রিন টি ইত্যাদি ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
ফ্রাইড ও প্রিজার্ভড ফুড
এগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কেমিকেল পাওয়া যায়। তাই এগুলো খাওয়া বন্ধ করুন। এমনকি অতিরিক্ত রান্না করা সাধারণ খাবারও কোলন ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। তাই অতিরিক্ত রান্না করা খাবার যতসম্ভব কম খেতে পারেন ততো ভালো।