ক্যারিয়ারে গঠনে দরকারি ৫টি সাধারণ দক্ষতা

প্রতিযোগিতার বর্তমান যুগে সফল ক্যারিয়ার গড়তে দক্ষতা বা স্কিলের কোন বিকল্প নেই। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি বিশেষ কোন স্কিল থাকলে তা বেশ কাজে দেয়। তবে কিছু স্কিল প্রায় সব ক্যারিয়ারেই প্রয়োজন হয়। আজ আমরা জেনে নেবো এমন ৫টি সাধারণ দক্ষতা সম্পর্কে।

তথ্য প্রযুক্তির জ্ঞান

প্রায় সব ধরনের অফিসে কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যবহার এখন সাধারণ একটি ব্যাপার। তাই তথ্য প্রযুক্তির সাথে সম্পর্কিত পেশাতে না থাকলেও এ ব্যাপারে প্রাথমিক পর্যায়ের জ্ঞান রাখা জরুরি। যেমনঃ

পেশাদারি কায়দায় ইমেইল লেখা;
ওয়ার্ড প্রসেসর প্রোগ্রামের (উদাঃ মাইক্রোসফট ওয়ার্ড) মাধ্যমে ডকুমেন্ট তৈরি করা;
স্প্রেডশীটের (উদাঃ মাইক্রোসফট এক্সেল) মাধ্যমে হিসাব-নিকাশ বা বাজেটের কাজ করা;
প্রেজেন্টেশন সফটওয়্যারের (উদাঃ মাইক্রোসফট পাওয়ারপয়েন্ট) মাধ্যমে মিটিং বা সেমিনারে তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপন করা।

রিপোর্ট লেখার দক্ষতা

আপনি যে পেশাতেই থাকুন না কেন, বিভিন্ন প্রয়োজনে ও সময়ে কাজের আপনাকে রিপোর্ট লিখতে হবে। দক্ষভাবে এ কাজ করতে পারলে আপনি নিজের ও প্রতিষ্ঠানের কাজের অগ্রগতির হিসাব রাখতে পারবেন।

কাজভেদের রিপোর্টের ধরন আলাদা হয়। তাই নিজের ইন্ডাস্ট্রিতে যে ফরম্যাটের ব্যবহার বেশি, তা অনুসরণ করুন। প্রয়োজনে এ বিষয়ের উপর কোর্স নিন।

যোগাযোগের দক্ষতা

যোগাযোগ ছাড়া কোন কাজ সম্পন্ন করা অসম্ভব। ভাষার উপর চমৎকার দক্ষতা থাকলে আপনি ক্লায়েন্ট থেকে শুরু করে নিজের প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মীদের সাথে খুব সহজে ভালো সম্পর্ক তৈরি করতে পারবেন।

আমাদের দেশে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা চান প্রায় সব চাকরিদাতা। মৌখিক ও লিখিত – দুই ভাগের উপর নিয়মিত অনুশীলন করলে আপনিও পরিষ্কারভাবে নিজেকে অন্যদের কাছে তুলে ধরতে পারবেন। বক্তৃতা বা প্রেজেন্টেশন দেবার গুণ থাকলে তা আরো ভালো হবে আপনার জন্য।

বিশ্লেষণী ক্ষমতা

নিজের কাজকে ঠিকভাবে করতে হলে এর প্রতিটা দিক সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা প্রয়োজন। এর জন্য আপনাকে বিশ্লেষণী ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। তাই যেকোন বিষয় সম্পর্কে কোন মতামত বা সিদ্ধান্তে আসার আগে এর বিভিন্ন দিক নিয়ে যৌক্তিক চিন্তা করুন। দরকার হলে অন্যদের সাহায্য নিন। তাহলের নিজের চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে এসে নতুনভাবে সে বিষয়কে দেখতে পারবেন।

সমস্যা সমাধানের দক্ষতা

পেশাদারি কাজ করা মানেই হলো ছোট-বড় বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা। তাই যেকোন পরিস্থিতিতে সমস্যা সমাধান করতে পারাকে সৃজনশীল একটি গুণ হিসাবে বিবেচনা করা হয়।

আজকাল নতুন কর্মী নিয়োগের ইন্টারভিউতে বহু নিয়োগদাতা সম্ভাব্য সমস্যায় করণীয় বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এর মাধ্যমে চাকরিপ্রার্থীর উপস্থিত বুদ্ধিমত্তা যাচাই করেন তারা।