টমেটোর মধ্যে আছে জাদুকরী ১৩ গুণ

শীতকালের সবজির মধ্যে সহজলভ্য একটি সবজি হলো টমেটো। কিন্তু টমেটো এখন সারা বছরজুড়েই পাওয়া যায়। টমেটো যেমন কাঁচা খাওয়া যায়, ঠিক একইভাবে রান্না করে বা রান্না সুস্বাদু করার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। শরীরকে সুস্থ-সবল রাখতে টমেটোর ভূমিকার কথা নতুন নয়।
চলুন,দেখে নেয়া যাক এর কিছু উপকারিতা।
১. ক্যান্সার প্রতিরোধক : ক্যান্সার কোষ বিনষ্টকারী প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রাকৃতিক উৎস হলো টমেটো। তাই ক্যান্সারের ঝুঁকি রোধে খেতে পারেন টমেটো।
২. হৃৎপিণ্ডকে শক্তিশালী করে : টমেটোতে রয়েছে প্রচুর আঁশ, পটাশিয়াম এবং ভিটামিন সি। হৃদযন্ত্রকে সুস্থ রাখতে টমেটো খাওয়ার বিকল্প নেই।
৩. হাড় মজবুত করে : টমেটোতে রয়েছে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন কে, যা দেহের হাড় মজবুত করে এবং ভাঙ্গা হাড়কে জোড়া লাগায় দ্রুততার সঙ্গে।
৪. রাতকানা রোগ নিরাময় করে : টমেটো একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়। এতে যে ভিটামিন এ রয়েছে, যা রাতকানা রোগ নিরাময় করে।
৫. চুল পড়া কমায় : টমেটোতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ রয়েছে, যা আমাদের চুল পড়া কমায় এবং চুলকে মজবুত করে।
৬. কিডনিতে পাথর জমা রোধ করে : যাদের কিডনিতে সমস্যা রয়েছে, তারা আজ থেকেই খাদ্যতালিকায় টমেটো রাখবেন। কারণ হলো, টমেটো কিডনিতে পাথর জমতে দেয় না।
৭. ওজন কমায় : স্থুলতা নিয়ে যাদের চিন্তা, তারা এই প্রাকৃতিক খাদ্য গ্রহণ করতে পারেন। প্রতিদিনের প্রচুর পরিমাণে টমেটো আমাদের দেহের অতিরিক্ত চর্বি দূর করে এবং দেহে অতিরিক্ত মেদ জমতে দেয় না।
৮. বাতের ব্যথা দূর করে : যাদের বাতের ব্যথা প্রচণ্ড, তারা টমেটোর খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করবেন, কারণ এটি বাতের ব্যথা অনেকাংশে দূর করতে সক্ষম।
৯. ত্বকের সুরক্ষায় : আমাদের দেহের ত্বককে ক্ষতিকর সূর্যরশ্মি, তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে রক্ষা করতে পারে এই টমেটো। আর আমরাও পেতে পারি সুন্দর ত্বক।
১০. ফুসফুস-যকৃতের ক্যান্সার প্রতিরোধক : টমেটোতে উচ্চমাত্রার আঁশ এবং প্রোটিন থাকে, যা ফুসফুস এবং যকৃতের ক্যান্সার এর ঝুকি কমায়।
১১. উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে : যাদের উচ্চরক্তচাপের সমস্যা আছে, তাদের জন্য টমেটো অনেক বেশি ফলদায়ক।
১২. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে টমেটো : গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন ২৫ গ্রাম টমেটো খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করাটা অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়। পুরুষদের জন্য ২৫ গ্রাম এবং নারীদের জন্য ৩৫ গ্রাম টমেটো ফলপ্রসূ। চমৎকারভাবে দেহের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে এই টমেটো।
১৩. পানিশূন্যতা রোধে টমেটো : দেহের পানিশূন্যতা রোধের জন্য টমেটো হচ্ছে প্রাকৃতিক ওষুধের মতো। দেহে শক্তি যোগায় এই টমেটো।
এছাড়া ক্যালরিতে ভরপুর এই সবজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি। ঠাণ্ডাজনিত ঘা ভালো করে। যেকোনো চর্মরোগ, বিশেষত স্কার্ভি রোগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। ঠাণ্ডায় হাত, বিশেষত পায়ের গোড়ালি ফেটে যায়। ভিটামিন-সি এই ফেটে যাওয়া রোধ করে। টমেটোর ভিটামিন-এ শরীরের মাংসপেশিকে করে মজবুত, দেহের ক্ষয় রোধ করে, দাঁতের গোড়াকে করে আরও শক্তিশালী, চোখের পুষ্টি জোগায়। তাই প্রতিদিনের খাবারের মেন্যুতে রাখুন টমেটো।