ঢাবির হলে মাদক সেবনের অভিযোগে তিন ছাত্র আটক, কক্ষ সিলগালা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হলে মাদক সেবন করার সময় ছাত্রলীগের সাবেক দুই নেতাসহ তিনজনকে আটক করেছে শাহবাগ থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীম উদ্দীন হলে এই ঘটনা ঘটে। হলের ৩২১ নম্বর কক্ষ থেকে তাদের আটক করা হয়। পরবর্তীতে ওই কক্ষটি সিলগালা করে দেয় হল প্রশাসন।

আটককৃতরা হলেন, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক শাহরিয়ার মাহমুদ রাজু, কবি জসীম উদদীন হল ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রমজান হোসাইন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পিজে হার্টগ হলের (আন্তর্জাতিক হল) মালি সুমন লাল দে। এর মধ্যে সুমনকে এর আগেও মাদকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সূর্যসেন হল থেকে আটক করা হয়েছিল। আটক দুই ছাত্রলীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, কবি জসীম উদদীন হলের উত্তর ব্লকের ৩২১ নং কক্ষে থাকেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদ্য বিদায়ী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল পাঠান সেতু। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ওই দুই ছাত্রলীগ নেতা ও এক কর্মচারীসহ কক্ষটিতে মাদক সেবন করছিলেন। খবর পেয়ে হল প্রাধ্যক্ষ কয়েকজন আবাসিক শিক্ষককে নিয়ে কক্ষটিতে আসেন এবং বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পুলিশে খবর দেন। পরে শাহবাগ থানা পুলিশ এসে প্রক্টরিয়াল টিমের সহায়তায় তিনজনকে আটক করেন।

এ বিষয়ে হল প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক রহমত উল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে তাদের এই কক্ষটিতে আসা-যাওয়ার তথ্য ছিল আমাদের কাছে। তবে এদের কেউ হলের আবাসিক ছাত্র নয়। রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে তারা হলে থাকতো। হলের শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের তথ্যের ভিত্তিতে কক্ষটিতে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে এবং কক্ষটি সিলগালা করা হয়েছে।’
এই বিষয়ে আশিকুল পাঠান বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি হলের বাইরে ছিলাম। পরে শুনলাম তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ। আমি মাঝে মাঝে কক্ষটিতে থাকি। আমি রুমে একা থাকি না। আমরা দুইজন রুমে থাকি। সপ্তাহে দুই দিন আমি হলে থাকি। মাদকের কথা আমি আপনাদের থেকে জানতে পেরেছি।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর একেএম গোলাম রব্বানী বলেন, ‘রুমের মধ্যে মাদক সেবনের জন্য দুইজন সাবেক শিক্ষার্থীসহ একজন কর্মচারীকে পুলিশ আটক করেছে।’
শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক সাহেব আলী জানান, ‘ওই কক্ষটি থেকে একটি মদের বোতল, একটি বিয়ারের বোতল ও তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।’