কেউ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কিছু রটানোর চেষ্টা করছে: তাসকিন

ঢাকা অ্যাটাক’ ছবির অভিনেতা তাসকিন রহমান বিয়ে করেছেন। মেয়ে ইতালিপ্রবাসী জান্নাত ফেরদৌস। ১১ জুন তাসকিনের নিকেতনের বাসায় ঘরোয়াভাবে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। দুই ভাই, এক বোনের সংসারে জান্নাত সবার ছোট। এর আগে একবার বিয়ে হয়েছিল তাসকিনের। বিচ্ছেদও হয়েছে। বিয়ে-বিচ্ছেদসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেতা।

বিয়ের আগে জান্নাত ফেরদৌসের সঙ্গে প্রেম ছিল, নাকি বন্ধুত্ব?
দুটোই। কারণ জান্নাতের সঙ্গে আমার পরিচয় আট-নয় মাস আগে। ও আমার খুব ভালো বন্ধু। দুই মাস হলো, আমাদের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে। আমাদের এই সম্পর্ককে বন্ধুত্ব, প্রেম দুটোই বলা যায়।

আপনাদের কীভাবে পরিচয় হলো?
গত বছর বন্ধুদের এক অনুষ্ঠানে প্রথম জান্নাতের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। সেই পরিচয় থেকেই দিন দিন আমাদের বন্ধুত্বের জায়গাটা শক্তিশালী হয়। নিজেদের মধ্যে বোঝাপড়া ভালো ভাবেই তৈরি হয়। একসময় আমাদের দুজন দুজনের কাছে চাওয়া পাওয়া মিলে যায়। তারপর বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

বিয়ের এক সপ্তাহ পর তা সবাইকে জানালেন। কেন?
আকদের সময় আমাদের দুই পরিবারের বাইরে তেমন কেউ এই অনুষ্ঠানে ছিলেন না। সবকিছু হুট করে হয়েছে। একেবারেই ঘরোয়া আয়োজন বলতে পারেন। তাই বিয়ের পর একটু সময় নিয়ে সবাইকে জানালাম।

বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান কবে করবেন?
জান্নাতের পরিবারের সবাই ইতালির নাগরিক। বাগদানের সময় ওর মা-বাবা উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তাঁর বড় দুই ভাই আসতে পারেননি। তাঁরা ইতালিতেই আছেন। মাসখানেক পর ঢাকায় আসবেন। তখন বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করার ইচ্ছা আছে।

আকদের সময় তাসকিন রহমান ও জান্নাত ফেরদৌসবিয়ে তো হয়ে গেল, দুজন কেমন সময় কাটাচ্ছেন?
জান্নাত আমার বাসায় আছে। বেড়ানোর সুযোগ পাচ্ছি না। কারণ বিয়ের আগে থেকেই ‘শান’ ছবির শুটিং করছি। তবে বিয়ের পরদিন শুটিংয়ে জান্নাতকে নিয়ে গিয়েছিলাম। আমি যে পেশার সঙ্গে জড়িত, সেই পেশা সম্পর্কে ওকে ধারণা দিতে চেয়েছিলাম। ও সারা দিন শুটিংয়ে ছিল। শুটিং দেখা ওর জন্য নতুন অভিজ্ঞতা। শুটিংয়ে সবার সঙ্গে মিশেছে, গল্প করেছে। সবকিছু দারুণ উপভোগ করেছে।

আপনি অভিনয় করছেন। এ ব্যাপারে তাঁর কোনো আপত্তি আছে?
না। কারণ আমার পেশা সম্পর্কে ও আগে থেকেই জানত। তা ছাড়া ও আমার কাজকে সম্মান করে। যেকোনো সৃষ্টিশীল কাজ তাঁর পছন্দ।

আপনি অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক, আপনার স্ত্রী ইতালির। এখন কোথায় স্থায়ী হবেন?
আপাতত অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে স্থায়ী হওয়ার ইচ্ছা। যেহেতু অভিনয়ের জন্য আমাকে বাংলাদেশে প্রায়ই আসতে হয়, সুতরাং অস্ট্রেলিয়া থেকে যখনই আসব, জান্নাত আমার সঙ্গেই থাকবে। আবার জান্নাত ইতালির নাগরিক। মাঝে মাঝে ইতালিতে গিয়েও থাকা হবে। বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া, ইতালি মিলেই আমাদের আঙিনা হবে।

নুসরাত জাহান নামে লন্ডনপ্রবাসী এক মেয়ের সঙ্গে ২০১৭ সালের ২৪ মার্চ আপনার বিয়ে হয়েছিল। তাঁর সঙ্গে বিচ্ছেদ হলো কেন?
হ্যাঁ, আমদের বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু বিয়ের পর কখনো একসঙ্গে থাকা হয়নি। এক মাসের মাথায় বিচ্ছেদ হয়েছে।

কেন?
কারণ আমার পেশা নিয়ে তাঁর পরিবারের আপত্তি ছিল। অথচ বিয়ের আগে তাঁরা আমার পেশা সম্পর্কে জানতেন। কিন্তু বিয়ের পর তাঁদের পরিবারের মানুষদের চেহারা পাল্টে যায়। আমার পেশা নিয়ে নানা ধরনের কথা বলেছেন। আমার পরিচয়, আমি একজন শিল্পী। শিল্পী সত্তাকে আমি ধারণ করি। এর প্রতি যেখানে সম্মান নেই, সেখানে আমি থাকতে চাইনি।

শুনেছি, এর আগে আরও একটি মেয়ের সঙ্গে আপনার বিয়ে হয়েছিল।

একদম মিথ্যা কথা। এবার বিয়ের পর দেখছি, কয়েক দিন ধরে কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা কিছু রটানোর চেষ্টা করছে। এটা ঠিক না। যারা এসব করছেন, প্লিজ এবার থামুন।