দুবাইতে সততার নজীর গড়লেন বাংলাদেশি বাছির আহমেদ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে সততার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন বাংলাদেশি বাছির আহমেদ। ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার কসবার মইনপুরের আমির হোসেনের ছেলে বাছির মানুষের হারিয়ে যাওয়া মালামাল পুলিশের মাধ্যমে ফিরিয়ে দিয়ে সততার অনন্য উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন। দেশের এনেছেন সুনাম। বাংলাদেশি মানুষের এমন সততায় মুগ্ধ দুবাই পুলিশ।

বাছির ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি আরব আমিরাতের রাজধানী আবুধাবিতে আসেন। সেখানে কাজ করার পর ২০১৫ সালে দুবাইয়ে পাড়ি জমান। স্টার সিকিউরিটি সার্ভিস দুবাইয়ে সিকিউরিটির কাজ করেন তিনি। তার কাজের এলাকা দুবাইয়ের ড্রাগন মার্ট।

সিকিউরিটির কাজ করা অবস্থায় মলে আসা মানুষদের স্বর্ণ, টাকা, মানিব্যাগসহ দরকারি জিনিসপত্র তিনি পেয়ে থাকলে ঠিক ওই জায়গা থেকেই সিসিটিভি চেক করেন। এরপর ওই মানুষটা কোনো গাড়িতে বা কিভাবে বের হয়ে গেছে দেখে তার তথ্য উদ্ধার করে স্থানীয় পুলিশে মালগুলো তিনি জমা দেন। পরে হারিয়ে যাওয়া মালের মানুষ উপযুক্ত প্রমাণ দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে মালগুলো ফেরত নেন। এ জন্য শুধু পুলিশ নয় অনেক হারানো মালের মানুষও তাকে পুরস্কৃত করেছেন।

বাছির আহমেদ শুধু হারানো মাল ফেরত দেন না বরং তার কর্ম এলাকার আশপাশে কোনো অবৈধ কাজও হতে দেন না। এ জন্য পুলিশের সহযোগিতা নেন তিনি। পুলিশ সেজন্যও তাকে সনদ প্রদান করেছে।

বাছির আহমেদ ২০১৬ সালের ৭ জুন প্রথম ধন্যবাদপত্র পেয়েছেন আল রাশেদিয়া পুলিশ স্টেশন থেকে। ৫ জুলাই ২০১৮ সালে প্ল্যানিং এন্ড ডিপ্লম্যান্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে দুবাই পোর্ট কাস্টমস এন্ড ফ্রিজোন কর্পোরেশন থেকে, সার্টিফিকেট পেয়েছেন। এ ছাড়া ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ সালে আল নাখিল থেকে সার্টিফিকেট এবং ২ এপ্রিল ২০১৯ দুবাই পুলিশ প্রসংশাপত্র পেয়েছেন।

এমন কাজ করে নিজের মনে শান্তি পান বাছির। আগামী জীবনে বিদেশের মাটিতে নিজের সততায় দেশকে তোলার চেষ্টার কথা জানিয়েছেন তিনি।

দুবাইপ্রবাস