গাজী খায়রুল আলম:
১। আমাদের দেশে মা এবং নবজাতকের থাকার ঘর নির্বাচন নিয়ে নানা কুসংস্কার ও ভ্রান্ত ধারণা প্রচলিত আছে। অনেক পরিবারের মুরুব্বীরা শিশু ও মায়ের ইপর নজর লাগা বা খারাপ বাতাস লাগার ভয়ে ড্রথম ৪০ দিন মা ও শিশুকে অন্ধকার কুঠুরির মতো একটি ঘরে আবদ্ধ করে রাখেন। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা এবং অত্যন্ত বিপদজনক ও ক্ষতিকর একটি ব্যবস্থা।
২। প্রকৃতপক্ষে নবজাতক ও শিশুর থাকার জন্য এমন একটি ঘর নির্বাচন করা উচিত যার আশপাশ খোলা এবং যে ঘরটির ভিতরে পরযন্ত আলো বাতাস ঢোকে। যে ঘরে নবজাতক ও শিশু থাকবে প্রতিদিন দিনের বেলা সে ঘরের সব দরজা জানালা খোলে দিতে হবে।, যেন ঘরে ভালোভাবে আলো বাতাস চলাচল এবং সে সূরযের আলো প্রবেশ করতে পারে।
৩। শিশুর ঘরের সব আসবাবপত্র পরিস্কার পরিচ্ছন্ন এবং মেঝে পরিস্কার শুকনো রাখতে হবে। শিশুর ভেজা কাপড় কোনো অবস্থাতেই শিশুর থাকার ঘরে শুকোতে দেয়া যাবে না্। কারণ এতে ঘর স্যাঁতসেঁতে হয়ে মিশুর সহজে রোগক্রান্ত হতে পারে।
৪। নবজাতক শিশুর ঘরে ধুপ, ধোঁয়া দেয়া যাবে না। ধূমপান করা একবারেই নিষেধ। মশার কয়েল জ্বালানো, মশার ঔষধ বা সুগন্ধি স্প্রে করা যাবে না।
৫। নবজাতকের ঘরের তাপমাত্রার দিকে সবসময় লক্ষ্য রাখতে হবে। শিশুর ঘরের তাপমাত্রা ২৫-২৮ ডিগ্রী সেন্টিগ্রেড এর ভিতর রাখতে হবে। শিশুর ঘরের তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য সবচেয়ে ভালো হয় যদি ঘরে একটি রুম থার্মোমিটার রাখা হয়। শীতকালে তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘরে হিটার জ্বালিয়ে রাখা যাবে।