তিনি বলেন, ‘ নুসরাতকে বাঁচানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়েছে। তবে ডিপ বার্ন হওয়ায় প্রথম থেকেই বাঁচার সম্ভাবনা ছিল ক্ষীণ। আজকেও সিঙ্গাপুরের চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা হয়েছিল। কাল সকালে নুসরাতের পোস্টমর্টেম করা হবে। আজকে লাশ হিমঘরে রাখা হবে। পোস্টমর্টেম শেষে তাকে ফেনী নিয়ে যাওয়া হবে।’
ঢামেকের বার্ন ইউনিটের আইসিইউ’তে লাইফ সাপোর্টে থাকা নুসরাত বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মারা যান।
গত ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম পর্যায়ের আরবি প্রথমপত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে যান নুসরাত। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে বোরকা পরা ৪/৫ ব্যক্তি তার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ফেনী সদর হাসপাতালে পাঠান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়।