আজ সোমবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররমস্থ সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
পবিত্র আশুরা মুসলিম উম্মাহর জন্য তাৎপর্যময় ও শোকাবহ দিন। দিনটি মুসলমানদের কাছে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার দিন। ৬১ হিজরি সালের এই দিনে মহানবী হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রাণপ্রিয় দৌহিত্র হজরত ইমাম হুসাইন (রা.) ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা ইয়াজিদের সেনাদের হাতে কারবালার ময়দানে শহীদ হন।
দিবসটির গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনুধাবন করে ইসলাম ধর্মাবলম্বী, বিশেষ করে শিয়া সম্প্রদায়ের মুসলমানরা নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। অনেকে রোজাও রাখে। তারা কারবালার সেই ঐতিহাসিক হৃদয়বিদারক ঘটনার স্মরণে আজ প্রতীকী দুলদুল ঘোড়া সাজিয়ে, বুক চাপড়িয়ে, ধারালো ফলার আঘাতে শরীর রক্তাক্ত করে বের করে থাকে তাজিয়া মিছিল। অশ্রুসজল চোখে তারা ‘হায় হোসেন’ ‘হায় হোসেন’ বলে মাতম করে।
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে তিন দিন ধরে রাজধানীর শিয়া সম্প্রদায়ের শত শত মানুষ তাদের পবিত্র স্থান হোসেনি দালান ঘিরে পালন করেছে নানা আনুষ্ঠানিকতা। শোকের আবহে কালো পতাকা ওড়ানো হয়েছে। ইমাম হুসাইন (রা.) স্মরণে আয়োজন করা হয়েছে বয়ান, জিকির, মাতম, শিরনি বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি।