তিনটি রংয়ের আসেছে পিক্সেল ৩এ। জাস্ট ব্ল্যাক, ক্লিয়ারলি হোয়াইট এবং পার্পল-ইশ।
গুগল এই ফোনের ক্যামেরাকেই প্রাধান্য দিয়েছে। উচ্চ প্রযুক্তির ক্যামেরাই এর মূল আকর্ষণ। যারা আইফোন বা স্যামসাং গ্যালাক্সি ও নোট সিরিজ কিংবা পিক্সেলের অন্য মডেলের ফোনের ক্যামেরার মজা পেতে ৮০০ ডলারের বেশি খরচ করতে পারেন না, ঠিক তাদের ক্যামেরার শখ পূরণ করতেই মিলবে গুগলের পিক্সেল ৩এ। এর জন্যে অবশ্য অনেক কিছুই করতে হয়েছে গুগলকে। কমমূল্যের হার্ডওয়্যার এবং জিনিসপত্র ব্যবহার করে অন্য দিকের খরচ কমানো হয়েছে। সাধারণ মানের প্রসেসর এবং প্লাস্টিক দেহ দেয়া হয়েছে।
গুগলের পিক্সেল বিভাগের প্রডাক্ট ম্যানেজমেন্টের ভাইস প্রেসিডেন্ট ব্রায়ান রাকোয়াস্কি জানান, যারা পিক্সেল কিনতে আগ্রহি কিন্তু দামের কারণে কিনতে পারেন না তাদের জন্যে এই ফোন। এমন অসংখ্য পিক্সেল ভক্ত আছেন যারা কমমূল্যে পিক্সেল কিনতে রাজি। ভালো মানের ক্যামেরা যদি এমন ফোনে মেলে তো কথাই নেই।
উচ্চমানের ক্যামেরা পাওয়ার সুযোগ মিললে যে কেউ তা পেতে চাইবে। পিক্সেল ৩এ-এর ক্যামেরায় একটি অভাবই থেকে গেছে। তা হলো এর ওয়াইড অ্যাঙ্গেল সেলফি ফিচার নেই। এটা আছে পিক্সেল ৩ এবং পিক্সেল ৩ এক্সএল মডেলে।
ক্যামেরাটি চালু হয় দ্রুত। পোট্রেট মোডে দারুণ ছবি ওঠে। এমনকি এর নাইট সাইটের মতো প্রসেসর সংশ্লিষ্ট ফিচারও আছে। আঁধারে ছবি তুলতে ফ্ল্যাশ নয় বরং সফটওয়্যার ব্যবহৃ করে ক্যামেরাটি। কোনো ছবি তুলে পাশাপাশি রাখার পর বিশেষজ্ঞরা পিক্সেল ৩ সিরিজ মডেল এবং ৩এ এক্সএল এর ছবির মধ্যে তেমন কোনো পার্থক্য দেখেননি।
যদিও এর প্রসেসর ধীরগতির। তবে সংক্ষিপ্ত পরীক্ষায় খুব বড় ধরনের ধীরগতির পারফরমেন্স দেখা যায়নি। আবার গেম খেলার সময় ভিডিও চ্যাট করতেও কোনো সমস্যা হয়নি। এর দেহ প্লাস্টিকের। বাটনগুলো তেমন সুবিধাজনক মনে হয় না।
এর সাথে নতুন কিছু ফিচার যোগ হয়েছে। এআর ওয়াকিং ডিরেক্টন্স রয়েছে। গুগল ম্যাপস এর আগে এই ফিচার প্রদানের কথা বলেছিল। আছে ফটোবুথ। এর মাধ্যমে ক্যামেরা দিকে তাকিয়ে হাসি দিলেও স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছবি উঠে যাবে।
অতি সম্প্রতি বেরিয়েছে এই ফোন। কাজেই ইচ্ছুকরা আর কিছু দিন অপেক্ষা করে এটা কিনতে পারেন।
সূত্র: বাজফিড নিউজ