পিরামিডের ওপর নগ্ন ছবি তোলার পর বান্ধবীর সঙ্গে যৌনতায় মিলিত হলেন এক ডেনিশ ফটোগ্রাফার। এ ঘটনার ভিডিও ও ছবি ধারণ করে সেটি আবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়েছেন তিনি। এ নিয়ে বিতর্কের ঢেউ উঠেছে রক্ষণশীল মিসরে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। সিএনএন, এনডিটিভি। ইউটিউবে পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায়, মিসরের রাজধানী কায়রোর গিজায় অবস্থিত খুফু পিরামিডের ওপরে ওঠছেন যুগল৷ সেখানে তখন কেউ ছিলেন না৷ নিজেরাই নিজেদের ছবি তুলছিলেন আর ভিডিও করছিলেন। কিছুক্ষণ পর ঊর্ধ্ব পোশাক খুলে ফেলেন নারী। এরপর ভিডিওটি শেষ হয়ে যায়।
বাকী ঘটনার ছবিও ইন্টারনেটে ছেড়েছেন ফট্রোগ্রাফার আন্দ্রিয়েজ হেভিড।
সেগুলোতে দেখা, প্রথমে নগ্ন হয়ে ছবি তুলছেন তারা। এরপর পিরামিড-এর চূড়ার ওপরই অবাধ যৌনতায় মাততে দেখা যায় যুগলকে।
মিসরে আলোড়ন
মিসরে পিরামিড-এর ওপর ওঠা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তার ওপর আবার নগ্ন হয়ে অবাধ যৌনতায় মেতে ওঠা৷ সব মিলিয়ে এই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ার পর পিরামিড-এর নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ নড়েচড়ে বসেছে দেশটির প্রশাসন ৷ কীভাবে ওই দুজন পিরামিডের ওপর উঠলেন, নগ্ন অবস্থায় ছবি তুললেন, ভিডিও করলেন, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন মিসরের কর্মকর্তারা।
মিসরের প্রত্নতত্ত্ববিষয়ক মন্ত্রী খালেদা আল-আনাই এ ঘটনাকে নৈতিকতাবিরোধী কাজ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, কীভাবে এ ঘটনা ঘটল, অ্যাটর্নি জেনারেল তা তদন্ত করে দেখছেন।
গিজার পিরামিড এলাকার মহাপরিচালক আশরাফ মোহি মিসরের আহরাম অনলাইনকে বলেন, ‘পিরামিড হলো বিশ্বের অন্যতম ঐতিহাসিক মাইলফলক। বিশ্বের বিভিন্ন এলাকার লোক নানা উদ্দেশ্য নিয়ে এখানে আসেন। পিরামিডের সৌন্দর্য দেখে কেউ কেউ তাদের ভালোবাসা একটু অন্য রকমভাবে প্রকাশ করে থাকেন।
যেভাবে পরিকল্পনা
ফটোগ্রাফার আন্দ্রিয়েজ হেভিড ডেনিশ ট্যাবলয়েডকে জানান এর আগে এক মিসরীয় বান্ধবীকে নিয়ে পিরামিডের চূড়ায় ওঠার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। তবে নিরাপত্তা কর্মীদের হাতে ধরা পড়ে যান। পরে ডেনমার্ক থেকে আরেক বান্ধবীকে নিয়ে আসেন উদ্দেশ্য সফল করতে।
তিনি বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই আমার পিরামিডের ওপর ওঠার ইচ্ছা ছিল। ওই দম্পতির ‘নগ্ন হয়ে ছবি তোলা’র ব্যাপারটি আমাকে অভিভূত করেছে। অনেকেই হয়তো এ ঘটনায় রাগ করছেন। তবে আমি ইতিবাচক সাড়াও পেয়েছি।’