হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়

হঠাৎ প্রেসার কমে গেলে করণীয়

হঠাৎ প্রেসার কমে যাওয়ার কিছু উল্লেখযোগ্য কারণ হলো অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা ইত্যাদি। প্রেসার কমলে মাথা ঘোরা, ক্লান্তি, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বমি বমি ভাব, বুক ধড়ফড়, অবসাদ, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যাওয়া এবং স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে অসুবিধা হতে দেখা দেয়। তাই প্রেসার কমে গেলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেয়া জরুরি। এতে তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আনা যায়।

১. স্ট্রং কফি, হট চকোলেট এবং যেকোনো ক্যাফেইন সমৃদ্ধ পানীয় দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে হঠাৎ করে লো প্রেসার দেখা দিলে এক কাপ কফি খেয়ে নিতে পারেন।
২. ভিটামিন ‘সি’, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও প্যান্টোথেনিক উপাদান যা দ্রুত ব্লাড প্রেসার বাড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে মানসিক অবসাদও দূর করে। পুদিনাপাতা বেটে এতে মধু মিশিয়ে পান করলে কাজে দেবে।

৩. লবণে আছে সোডিয়াম, যা রক্তচাপ বাড়ায়। তবে বেশি লবণ না খাওয়াই ভালো। সবচেয়ে ভালো হয়, এক গ্লাস পানিতে দুই চা-চামচ চিনি ও আধা চা-চামচ লবণ মিশিয়ে খেলে। তবে ডায়াবেটিস থাকলে চিনি বাদ দিন।

৪. আদিকাল থেকেই যষ্টিমধু বিভিন্ন রোগের মহৌষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এক কাপ পানিতে এক টেবিল চামচ যষ্টিমধু দিয়ে পান করুন। এছাড়া, দুধে মধু দিয়ে খেলেও উপকার পাবেন।

৫. বিটের রস হাই ও লো প্রেসার- উভয়টির জন্য সমান উপকারী। এটি রক্তচাপ স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখে। এভাবে এক সপ্তাহ খেলে উপকার পাবেন।

৬. হাইপার টেনশনের ওষুধ হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে ব্যবহৃত হয়ে আসছে কিসমিস। আধা কাপ কিসমিস সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে কিসমিস ভেজানো পানি খেয়ে নিন। এছাড়া, পাঁচটি কাঠবাদাম ও ১৫ থেকে ২০টি চিনাবাদাম খেতে পারেন।

https://www.youtube.com/watch?v=Geg0SPadJxM

 

প্রেসার কমে গেলে