ক্যান্সার ও রক্তচাপসহ আরো যে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে ফুলকপি !

ফুলকপি

ক্যান্সার ও রক্তচাপসহ আরো যে রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখে ফুলকপি !

কথায় আছে শীতের সময় শাকসবজি খেয়েও মজা, দেশবিদেশে ঘুরেও মজা ৷ শীতকালেই বাজারে দেখা মেলে নানা রকমের সবজির৷ আর যার মধ্যে ফুলকপি সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়৷ ডাক্তাররা বলছেন ফুলকপির স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো৷ অনেক রোগ থেকে শরীরকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এই ফুলকপি৷ ফুলকপিতে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট৷ যা মানবশরীরের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। জেনে নিন সুস্বাদু আর উপকারি এই সবজিটির কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্য উপকারিতা-

১। খনিজ ও ভিটামিনের অন্যতম উৎস: 
ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, প্রোটিন, থায়ামিন, রিবোফ্লাভিন, নিয়াসিন, ম্যাগনেশিয়াম, ফসফরাস, ফাইবার ভিটামিন বি৬, ফলেট, পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজ। যা কিনা মানবশরীরের পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করতে সক্ষম। যারা নিয়মিত শারীরিক দুর্বলতার শিকার হন, তারা ফুলকপি বেশী বেশী করে খেতে পারেন।

২। রক্তচাপ ও ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে রাখে:
ফুলকপিতে সালফারের যৌগ সালফোরাফেন থাকে যা ব্লাড প্রেশারের উন্নতিতে সাহায্য করে। গবেষণা মতে সালফোরাফেন ডিএনএ এর মিথাইলেশনের সাথে সম্পর্কিত যা কোষের স্বাভাবিক কাজের জন্য এবং জিনের সঠিক প্রকাশের জন্য অত্যাবশ্যকীয়, বিশেষ করে ধমনীর ভেতরের প্রাচীরের। সালফোরাফেন ক্যান্সার সৃষ্টিকারী কোষ ধ্বংস করতে পারে এবং টিউমারের বৃদ্ধিকে বাঁধা দেয়।

৩। মস্তিষ্কের উন্নয়ন: 
ফুলকপিতে আরেকটি উপকারী যৌগ কোলাইন থাকে। কোলাইন একটি বি ভিটামিন। এটি মস্তিষ্কের উন্নয়নে সাহায্য করে। প্রেগনেন্সির সময়ে ফুলকপি গ্রহণ করলে ভ্রূণের মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। গবেষণায় নির্দেশ করা হয়েছে যে, জ্ঞানীয় কাজের, শিক্ষার এবং স্মৃতির উন্নয়নে সাহায্য করে কোলাইন।

৪। বাড়তি ওজন কমাতে: 
ফুলকপি শরীরের বাড়তি মেদ কমিয়ে শরীরকে একটি সুন্দর গঠনে আনতে সাহায্য করে। যারা তাদের শরীরের বাড়তি ওজন নিয়ে চিন্তিত ও ডায়েট করার কথা ভাবছেন তারা নির্দ্বিধায় ডায়েট লিস্টে ফুলকপির নাম অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

৫। হজমে সাহায্যকারী:
যেহেতু ফুলকপি ফাইবারের গুরুত্বপূর্ণ উৎস সেহেতু এটি হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে। ওয়ার্ল্ডস হেলদিয়েস্ট ফুডস এর মতে, ফুলকপি পাকস্থলীর প্রাচীরের সুরক্ষায় সাহায্য করে। ফুলকপির সালফোরাফেন পাকস্থলীর হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরি ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে এবং পাকস্থলীর প্রাচীরে এর আবদ্ধ হওয়াকে প্রতিহত করে।

৬। ইনফেকশন প্রতিরোধে: 
ফুলকপিতে ভিটামিন সি, বিটাক্যারোটিন, কায়েম্ফেরোল, কোয়ারসেটিন, রুটিন, সিনামিক এসিড সহ আরো অনেক উপাদান থাকে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলো ফ্রি র‍্যাডিকেলের ক্ষতির হাত থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। এগুলো বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে ধীর গতির করে এবং টিস্যু ও অঙ্গের ক্ষতি হওয়া প্রতিহত করে।

ক্যান্সারফুলকপিরক্তচাপ