১) কখনও সখনও দীর্ঘক্ষণ হাতের উপর ভর দিয়ে শোয়া বা পায়ের উপর পা তুলে রাখার ফলে অবশ হয়ে যাওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এমনটা বার বার তহে থাকলে এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও হলে সতর্ক হওয়া জরুরি। মাল্টিপল স্ক্লেরোসিসের কারণে এমনটা হতে পারে। এই সমস্যায় স্নায়ুতন্ত্রের মায়োলিন সিথ ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে। তাই দেশি না করে চিকিৎসকের কাছে যান।
২) যে সব মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত তাঁদের অনেকের মধ্যেই পেরিফেরাল স্নায়ু রোগের প্রকোপ লক্ষ্য করা যায়। পেরিফেরাল স্নায়ুর সমস্যায় পায়ের পাতা ঘন ঘন অবশ হয়ে যেতে পারে। পরবর্তীকালে এই অবশ ভাব শরীরের উপরের অংশেও ছড়িয়ে পড়ে।
৩) স্নায়ু ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার ফলে হাত, পা ও শরীরের অন্যান্য অংশে তীব্র ব্যথা এবং জ্বালা হতে পারে। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, নিউরালজিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। শরীরের যে কোনও অংশেই এই সমস্যা হতে পারে এই রোগ। বিশেষ করে কোনও সংক্রমণের কারণে বা বয়সের কারণে হতে পারে এই রোগ।
৪) মস্তিষ্কে যদি রক্ত সরবরাহ পর্যাপ্ত না হয় সে ক্ষেত্রে স্ট্রোক হয়। বিশেষ করে রক্তনালী কোনও কারণে বাধাপ্রাপ্ত হলে এমন হয়। স্ট্রোকের প্রথম লক্ষণ হল বাঁ হাত অবশ হয়ে যাওয়া যা ক্রণশ হাতের তালু পর্যন্ত ছড়িয়ে পরে।
৫) ‘লাইম ডিজিজ’-এর কারণে শরীরের কোনও কোনও অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে। এটি একটি পতঙ্গবাহিত রোগ যা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে শরীরের বিভিন্ন অংশে। এ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হচ্ছে জ্বর, ক্লান্তি, ঘাড়, পেশী ও জয়েন্টের ব্যথা ইত্যাদি। সময় মতো এর চিকিৎসা করা না হলে স্নায়ুর আরও নানা জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৬) চিকিত্সা বিজ্ঞানে এর নাম ‘সিস্টেমিক ডিজিজ’। এই রোগে কিডনি-সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আক্রান্ত হতে পারে। সিস্টেমিক ডিজিজে হরমোনের ভারসাম্য বিগড়ে যেতে পারে। এর জন্য ক্যান্সার সৃষ্টিকারী টিউমার বা স্নায়ুর নানা সমস্যা হতে পারে। প্রাথমিক ভাবে সিস্টেমিক ডিজিজে হাত, পা-সহ শরীরের একাধিক অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে।
৭) ফাইব্রোমায়ালজিয়ার মতো সমস্যার কারণে হাত, পা-সহ শরীরের একাধিক অংশ অবশ হয়ে যেতে পারে। এটি মস্তিষ্কের এমন একধরণের সমস্যা যার কারণে হলে স্মৃতির সমস্যা, পেশীতে ব্যথা বা ঘনমেজাজ হারানোর সমস্যা হতে পারে।