মাথাব্যথা কেন হয়? মাথাব্যথা প্রতিরোধের উপায় ও চিকিৎসা

মাথাব্যথা কেন হয়? মাথাব্যথা প্রতিরোধের উপায় ও চিকিৎসা

মাথাব্যথা বা যন্ত্রণা হয়নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া ভার। সচরাচর মাথাব্যথা হলেই আমরা প্যারাসিটামল খেয়ে পরিত্রাণের আশা করে থাকি।

আমরা কি জানি যে, মাথাব্যথা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। তার মধ্যে অন্যতম হলো টেনশন মাথাব্যথা বা টেনশন হেডেক বা মাংসপেশি সঙ্কুচিত মাথাব্যথা।

টেনশন হেডেক : এটা এক ধরনের ব্যথা বা অস্বস্তিকর অবস্থা যা মাথা, তার ওপরের চামড়া ও ঘাড়ের দিকে হয়ে থাকে। যার সাথে সাথে মাংসপেশি শক্ত শক্ত অনুভব হতে পারে।

মাথাব্যথা হওয়ার কারণ: এ ধরনের মাথাব্যথাই সবচেয়ে বেশি হয়ে থাকে। এটা যেকোনো বয়সে হতে পারে। তবে সবচেয়ে বেশি কৈশোর এবং যৌবনকালে হয়ে থাকে। মাইগ্রেন সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীদেরও টেনশন হেডেক হতে পারে।

সাধারণত মাথার চামড়া ও ঘাড়ের মাংসপেশি সঙ্কুচিত হলে এ ধরনের মাথাব্যথা হয়ে থাকে। মাংসপেশির সঙ্কোচন হতে পারে অতিরিক্ত চাপ, বিষণ্ণতা, মাথায় আঘা অথবা অ্যাংজাইটিয়ের ফলে। কোনো কারণে যদি দীর্ঘক্ষণ মাথা এক পাশে কাত হয়ে থাকে তার ফলেও এ ধরনের যন্ত্রণা হতে পারে।

কিছু কাজ যেমন-

  • টাইপিং, * কম্পিউটারের কাজ, * হাতের নিখুঁত কাজ, * অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার, * খুব ঠান্ডা রুমে ঘুমানো
    * ঘাড় ও মাথা ভুল অবস্থানে রেখে ঘুমানোর ফলে এ ধরনের যন্ত্রণা হতে পারে।
    অন্য কিছু কারণ-
    * মদ্যপান, * ক্যাফেইন গ্রহণ, * ঠান্ডা ও সর্দি হলে, * চোখে চাপ, * অতিরিক্ত ধূমপান, * দুর্বলতা, * নাক বন্ধ থাকলে, * সাইনাস সমস্যা ব্রেন বা মস্তিষ্কের গঠনগত কারণে টেনশন হেডেক হয় না।
  • রোগের লক্ষণ :
    এই যন্ত্রণা হতে পারে-

* মৃদু এবং চাপ চাপ ভাব, * মাথার চার পাশে একটা চাপ অনুভব, * পুরো মাথায় ব্যথা, * মাথার চামড়া, ঘাড়ের অংশেও ব্যথা অনুভব। এই যন্ত্রণা হতে পারে সারাক্ষণ। সাধারণত ৩০ মিনিট থেকে সাত দিন ধরে হতে পারে। অতিরিক্ত চাপ, বিষাদ, দুর্বলতা, হট্টগোল থাকলে এই যন্ত্রণা অধিকতর হতে পারে। কখনো কখনো ঘুমে সমস্যা হতে পারে। এ ধরনের মাথাব্যথার সময় বমি ভাব বা বমি হয় ।

রোগ নির্ণয়ের উপায়:

কোনো পরীক্ষা- নিরীক্ষার প্রয়োজন নেই এ ধরনের যন্ত্রণার ক্ষেত্রে। সাধারণত একজন অভিজ্ঞ নিউরোলজিস্ট তার রোগীকে বিভিন্ন প্রশ্ন জিজ্ঞাসার মাধ্যমেই এ সমস্যা উদঘাটন করে থাকেন।

চিকিৎসা:

আপনার মাথাব্যথার ধরন ও কারণ জানাই হলো এর সঠিক পরিত্রাণ পাওয়ার চাবিকাঠি। এই যন্ত্রণা কবে, কখন, কতক্ষণ হচ্ছে এবং এর ধরন ডায়েরিতে লিখে রাখুন। সাথে সাথে কী কী খেলেন এবং পান করলেন তা-ও লিখুন।

কতক্ষণ ঘুমালেন এবং কখন তা-ও লিখে রাখবেন। যন্ত্রণা হওয়ার আগে জীবনের সাথে হয়ে যাওয়ার ঘটনাও লিখতে পারেন।

কারো কারো ক্ষেত্রে ঠান্ডা কিংবা গরম পানি দিয়ে গোসল করলে এ ধরনের মাথার যন্ত্রণা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। টেনশনমুক্ত থাকুন, এই যন্ত্রণাকে গুডবাই বলুন।

ওষুধ: এনএসএআইডি ওষুধ দেয়া যেতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে অ্যান্টিডিপ্রেশেন্ট ওষুধও দেয়া হয়। মাংসপেশি প্রসারণ করে এমন ওষুধও দেয়া হয়। আবার কখনো কখনো এসব ওষুধের কম্বিনেশন দেয়া হয়।

প্রতিরোধের উপায়ঃ

* যদি ঠান্ডার দরুন হয় তাহলে উষ্ণ থাকুন,

* বালিশ পরিবর্তন করতে পারেন

* সঠিক অবস্থানে ঘুমান

* পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমান

* হট্টগোল থেকে বিরত থাকুন

* পড়াশোনা ও কাজের সময় দীর্ঘক্ষণ এক অবস্থান ত্যাগ করুন

* রিল্যাক্স থাকুন  এবং সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।

https://www.youtube.com/watch?v=Geg0SPadJxM&feature=youtu.be&fbclid=IwAR3_ZoKFZ4nJ9APbqnxu6Xmmi0zhbFLukoYvgP0jgcDql8UVgbhJ4-Gxi3k

 

মাথাব্যথা