মায়ের দুধের গুণাবলি
♦ হলদেটে রঙের শালদুধে (প্রসূতির স্তন থেকে বের হওয়া প্রথম দুধ) রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, আমিষ, শ্বেতকণিকা এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। এই দুধ শিশুর পেট পরিষ্কার করে, নিয়মিত পায়খানা হতে সাহায্য করে এবং জন্ডিসের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। একে জীবনের প্রথম টিকাও বলা হয়। এ জন্য জন্মের পরপরই শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
♦ মায়ের দুধে পুষ্টি উপাদান ছাড়াও রয়েছে ৯০ ভাগ পানি। এ জন্য শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত আলাদা পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
♦ মায়ের দুধে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড (লিনোলিক এসিড) আছে, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ, চক্ষু ও রক্তনালি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়।
♦ মায়ের দুধে রোগজীবাণু থাকে না। উপরন্তু শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায়। ফলে শিশুর অসুখ-বিসুখ, বিশেষ করে ডায়রিয়া, কানপাকা, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালির রোগ, হাঁপানি, অ্যালার্জি, চুলকানি ইত্যাদি কম হয়। জন্মের প্রথম সপ্তাহে মায়ের বুকের দুধ পান অন্ত্রের সংক্রমণ থেকে শিশুকে রক্ষা করে। মুখের তালু এবং মাড়ি শক্ত হয়।
♦ বুকের দুধে মিনারেল, ফ্যাট, ভিটামিন, পানি ছাড়াও থাকে বিশেষ ধরনের ফ্যাটি এসিডও, যা শিশুর চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের বিশেষ উপাদান।
♦ বুকের দুধ পান করার সময় পেটে বাতাস জমা হওয়া থেকে শিশু রক্ষা পায়, হজমেও সহায়তা করে।
♦ মায়ের দুধ পান করালে শিশুর সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক গভীর হয়। মায়ের গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম থাকে।
♦ বুকের দুধ পান করালে মায়ের জরায়ু, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তৈরি হয় সন্তান ও মায়ের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক।
মায়ের দুধের গুণাবলি
গ্রন্থনা : মাহবুবা চৌধুরী
পুষ্টিবিদ
ডায়েট প্লানেট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালট্যান্সি
♦ হলদেটে রঙের শালদুধে (প্রসূতির স্তন থেকে বের হওয়া প্রথম দুধ) রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, আমিষ, শ্বেতকণিকা এবং রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা। এই দুধ শিশুর পেট পরিষ্কার করে, নিয়মিত পায়খানা হতে সাহায্য করে এবং জন্ডিসের সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। একে জীবনের প্রথম টিকাও বলা হয়। এ জন্য জন্মের পরপরই শিশুকে শালদুধ খাওয়ানোর পাশাপাশি একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।
♦ মায়ের দুধে পুষ্টি উপাদান ছাড়াও রয়েছে ৯০ ভাগ পানি। এ জন্য শিশুকে ছয় মাস বয়স পর্যন্ত আলাদা পানি দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
♦ মায়ের দুধে অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি এসিড (লিনোলিক এসিড) আছে, যা শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ, চক্ষু ও রক্তনালি গঠনের জন্য প্রয়োজনীয়।
♦ মায়ের দুধে রোগজীবাণু থাকে না। উপরন্তু শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা জন্মায়। ফলে শিশুর অসুখ-বিসুখ, বিশেষ করে ডায়রিয়া, কানপাকা, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালির রোগ, হাঁপানি, অ্যালার্জি, চুলকানি ইত্যাদি কম হয়। জন্মের প্রথম সপ্তাহে মায়ের বুকের দুধ পান অন্ত্রের সংক্রমণ থেকে শিশুকে রক্ষা করে। মুখের তালু এবং মাড়ি শক্ত হয়।
♦ বুকের দুধে মিনারেল, ফ্যাট, ভিটামিন, পানি ছাড়াও থাকে বিশেষ ধরনের ফ্যাটি এসিডও, যা শিশুর চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের বিশেষ উপাদান।
♦ বুকের দুধ পান করার সময় পেটে বাতাস জমা হওয়া থেকে শিশু রক্ষা পায়, হজমেও সহায়তা করে।
♦ মায়ের দুধ পান করালে শিশুর সঙ্গে মায়ের সম্পর্ক গভীর হয়। মায়ের গর্ভধারণের সম্ভাবনা কম থাকে।
♦ বুকের দুধ পান করালে মায়ের জরায়ু, স্তন ও ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি কমে। তৈরি হয় সন্তান ও মায়ের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক।
মায়ের দুধের গুণাবলি
গ্রন্থনা : মাহবুবা চৌধুরী
পুষ্টিবিদ
ডায়েট প্লানেট অ্যান্ড নিউট্রিশন কনসালট্যান্সি