গত অক্টোবরে #মিটু -তে ভরে গিয়েছিল সোশ্যাল ওয়াল। বহু মানুষ শেয়ার করেছিলেন নিজেদের অভিজ্ঞতা। ব্যতিক্রম নন বলি তারকারাও। নানা পটেকর-সহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিলেন তনুশ্রী দত্ত। তার পরই প্রায় আন্দোলনের চেহারা নেয় #মিটু। বহু জল গড়ানোর পর এ নিয়ে মুখ খুললেন রানি মুখোপাধ্যায়। আর মুখ খুলেই ট্রোলিংয়ের শিকার নায়িকা।
ঠিক কী বলেছেন রানি? সম্প্রতি এক আলোচনায় দীপিকা পাড়ুকোন, আলিয়া ভট্ট, তব্বু, অনুষ্কা শর্মা, তাপসী পান্নুর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন রানি। সেখানে তিনি বলেন, “নিজেকে রক্ষা করার মতো সাহস বা ক্ষমতা থাকা উচিত।’’ রানির কথার মধ্যেই দীপিকা বলে ওঠেন, ‘‘কিন্তু এমন অনেক মহিলা রয়েছেন, যাঁরা সে ভাবে তৈরি নন। তাঁরা তো নিজেদের অসহায় ভাববেন, এককোণে পড়ে থাকবেন।’’ দীপিকার কথার চটজলদি জবাবে রানি বলেন, ‘‘সে সব মহিলাদের সঙ্গে আমাদের কথা বলতে হবে। তাদের বোঝাতে হবে, নিজেদের পাল্টে ফেলার সময় এসেছে।’’
আসলে গোটা আলোচনায় রানিবোঝাতে চেয়েছেন, নিজেদের রক্ষা করাটা ছোট থেকে মেয়েদের শেখা উচিত। স্কুলেও এই বিষয়ে নজর দেওয়া উচিত বলে মত তাঁর। প্রয়োজনে মেয়েদের মার্শাল আর্টও শিখতে হবে। সে সময় দীপিকা প্রশ্ন তোলেন, শুধু মেয়েদেরই কেন আত্মরক্ষার পাঠ নিতে হবে? বাকি অভিনেত্রীরা অনেকটা এক সুরে কথা বললেও রানির গলায় শোনা যায় ভিন্ন সুর। তার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং শুরু হয়ে যায়।
কেউ বলেন, রানি যেমন ভাবছেন বাস্তবটা তার থেকেও কঠিন। কারও প্রশ্ন, চার মাসের শিশুকন্যার ধর্ষণের খবরও পাওয়া যায়। সেই শিশু কি মার্শাল আর্ট শিখে ধর্ষকদের মারবে? আবার কারও মতে, রানির কথা শোনার পর অনুষ্কা-দীপিকাদের কথা শুনলেই দুই প্রজন্মের ভিন্ন চিন্তাধারার আঁচ পাওয়া যাবে।
ইন্ডাস্ট্রির একটা বড় অংশের প্রশ্ন, এতদিন ধরে #মিটু আন্দোলনে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন অনেকে। তাতে অনেক বেশি করে মেয়েদের অসহায়তা উঠে এসেছে। রানি সেই জায়গা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর কথা বলতে চেয়েছেন। আত্মরক্ষার ব্যবস্থা নিজেকেই করতে হবে, মত তাঁর। অর্থাত্ চলতি ধারণার থেকে আলাদা। সে কারণেই কি সমালোচনার মুখে পড়লেন তিনি?
Post Views: 1,023