বেশিরভাগ মুরগির দোকানেই দেখবেন ডিজিটাল ওজন মাপার মেশিন নেই। আছে কাঁটাওয়ালা এক ধরনের অ্যানালগ যন্ত্র। ওটা সহজেই ম্যানিপুলেট মানে এদিক ওদিক করা যায়। প্রতি কেজিতে অন্তত এক শ থেকে দেড়শ গ্রাম করে বেশি দেখায় ওই যন্ত্র। অর্থাৎ মুরগির কেজি ২০০ টাকা হলে ওজনেই আপনাকে ২০-২৫ টাকা ঠকাচ্ছেন বিক্রেতা। আর যদি দেশি বা সোনালি মুরগি কিনেন ৩০০ টাকায়, তবে ঠকবেন ৩০-৪৫ টাকা।
কাঁটাওয়ালা মেশিনে ওজন ঠিকঠাক এক কেজি দেখালেও সেই মুরগি পাশের কোনও ডিজিটাল মেশিনে ওজন করে দেখুন, দেখবেন সাড়ে ৮ শ গ্রাম দেখাচ্ছে।
দোকানদারের সঙ্গে বাক বিতণ্ডা ঝগড়া এড়িয়ে এখন মুরগি কিনবেন কী করে?
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুরগির দাম থাকে ফিক্সড। খুব একটা দর কষাকষির সুযোগ থাকে না। তাই প্রথমেই মুরগিওয়ালাকে ভরা মজলিশে বলুন, ভাই মুরগি কিনবো আপনার দামেই, কিন্তু শর্ত আছে। ওজন করতে হবে ডিজিটাল মেশিনে।
মুরগিওয়ালা আপত্তি জানাবে না সহজে। জানালেও চ্যালেঞ্জ করার সুযোগ পাবেন। ফোন করতে পারেন ভোক্তা অধিকারে।
সেক্ষেত্রে দেখা যাবে বেশিরভাগ মুরগি বিক্রেতাই ঝামেলায় জড়াতে চাইবে না। তারা বিরস চেহারায় ডিজিটাল মেশিনেই মাপ দিতে রাজি হবে।
আদাবরের বাসিন্দা রাজ্জাক জানালেন, ‘আমি মুরগি কিনতে গেলে খুব ভদ্রভাবে আগে দাম জানতে চাই। বিক্রেতার দামেই রাজি হই। তারপর অপেক্ষা করি লোকজন আসার। কারণ স্বাক্ষী রাখার দরকার আছে। লোকজন কেউ এলেই বলি, ভাই আমার মুরগিটা ডিজিটাল মেশিনে ওজন করে দিন। বিক্রেতার চেহারা সঙ্গে সঙ্গে পাংশু হয়ে যায়। আমাকে ঠকাতে না পেরে বেচারার সেকি দুঃখ। এরপর ডিজিটালে যা দাম আসে সেটাই পরিশোধ করি।’
এ প্রসঙ্গে যত মুরগিওয়ালাদের সঙ্গে কথা হয়েছে, সবাই জানিয়েছেন, কাঁটাওয়ালা মেশিন ব্যবহার না করলে নাকি তাদের ‘লস’ হয়। ওজনে ঠকিয়ে এভাবে লস ঠেকানো উচিত কিনা জানতে চাইলে কেউ আর কথা বলেন না।