পেটের মেদ কমাতে কোনটির দিকে বেশি নজর দিবেন?

পেটের মেদ কমাতে কোনটির দিকে বেশি নজর দিবেন?

প্রতিদিন নিয়মিত ১ ঘণ্টা কঠোর পরিশ্রম করে ৫০০ ক্যালরি কমিয়ে বাসায় এসে অনেক ক্ষুধা পাওয়ার কারণে একটা এক্সট্রা লার্জ চিকেন চীজ পিঁজা খেয়ে নিলেন। মাস শেষে কোনো উপকার পেলেন না আর হা হুতাশ করতে লাগলেন, “এতো ব্যায়াম করেও পেটের মেদ একটুও কমলো না!”

দিনে না হলেও ১ ঘন্টা করে জিম যাচ্ছেন অথচ পেটের মেদ কমার কোনো নাম নেই! যতই জিম করেন না কেন তবুও পেটের মেদ ১ ইঞ্চিও কমেনা! কমবে কী করে? জিম করেই যে ঢুকছেন রান্নাঘরে।

ব্যাপারটা ঠিক পরিষ্কার হলো না? চলুন পরিষ্কার করি-

খাবার খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করুন

পেটের মেদ কমানোর জন্য আপনার দৈনিক ক্যালরি বার্নের পরিমাণ ক্যালরি গ্রহণের তুলনায় অবশ্যই বেশি হতে হবে। যারা শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে চান তারা এই মূলমন্ত্রটি জপে নিন। এবার আসি হিসেবে।

ধরুন আপনি জিমে দৈনিক ১ ঘণ্টা ব্যায়াম করেন। এতে প্রায় ৫০০-১০০০ ক্যালরি বার্ন হয়। তারপর সারা দিন আপনি আর ব্যায়াম বা খাটাখাটনির কাজ করেন না। এত করে বড়ো জোর ৫০ ক্যালরি বার্ন হবে।

এবার আসি খাওয়ার কথায়। ১ ঘণ্টা ব্যায়াম আর ৮ ঘণ্টা ঘুমানো ব্যতিত বাকি দিনের ১৫ ঘণ্টাই আমরা কোনো না কোনো কিছু খাওয়ার উপরেই থাকি। বাঙ্গালি হিসেবে প্রতিদিন অন্তত ২ বেলা আমরা ভাত খেয়ে থাকি। অথচ শুনলে অবাক হয়ে যাবেন যে মাত্র এক কাপ ভাতে ১২০ ক্যালরি থাকে। এবার হিসেব করে দেখুন তো আপনি দিনে কতো ক্যালরি গ্রহণ করছেন শুধুমাত্র ভাত খেয়ে।

এছাড়া ক্ষুধা যেন আমাদের জাত শত্রু। ক্ষুধা লাগলে পৃথিবীর সবকিছু বাদ দিয়ে আগে পেট পূজা করতেই হবে তা সে যেভাবেই হোক না কেন। এই তাড়নায় অনেকেই ফাস্ট ফুড বা জাংক ফুড খেয়ে থাকেন যা পেটের মেদ আরও বাড়িয়ে দেয়।

তাছাড়া আবার ব্যায়াম তো করছেনই। এই সাহসে খাওয়ার যেন আর কোনো বাধই থাকেনা।

একটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে, যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে কিন্তু একটি নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলেনা তাদের তুলনায় যারা নিয়মিত ব্যায়াম করে এবং একটি নির্দিষ্ট ডায়েট মেনে চলে তারা ৩ গুণ তাড়াতাড়ি পেটের মেদ কমিয়ে আনতে পারে।

সুতরাং নজরটি রান্নাঘরে বেশি রাখুন, জিমে নয়।

মেদ কমাতে